অনুভূতি উপলব্ধির বিষয়। এটা মুখে বলে প্রকাশ করা যায় না। একুশে পদক পাওয়া অনেক বেশি আনন্দের। তবে পদক পাওয়ার আশায় নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন গড়ে তুলিনি। অর্থাৎ কোনো পদকের আশায় নয়, আমি কাজ করছি মানুষের কল্যাণের জন্য। একুশে পদক পাওয়ার পর নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে টিভিএনএকে এসব কথা বলেন নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।
তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা থেকে আমি আমার স্ত্রীকে বাঁচাতে পারিনি। তাই আমি শপথ নিয়েছিলাম যারা আমাকে ইলিয়াস কাঞ্চন বানিয়েছেন তাদেরকে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষায় কাজ করে যাব। এ চিন্তা থেকেই নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন গড়ে তুলেছিলাম। জনগণের জন্য কাজ করছি এবং করে যাব। ইতোমধ্যে এই আন্দোলনের মাধ্যমে কিছু সাফল্য এসেছে। তবে পরিপূর্ণ সাফল্য পাওয়া পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাব।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে মানুষকে আরো বেশি সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং সরকারকেও এর সাথে সম্পৃক্ত করা এখন আমাদের মূল লক্ষ্য। এর মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করা গেলে এবং সরকার নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকটা কমে আসবে। আগামী দিনে সরকার সহযোগিতা করবে এমনটাই আশা করছি।
তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় যেসব জরিমানাগুলো প্রচলিত আইনে ছিল তা খুব দ্রুতই আইন পরিবর্তনের মাধ্যমে বৃদ্ধি করতে হবে। বড় দুর্ঘটনাগুলোতে যারা দোষী প্রমাণিত হবেন তাদের ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হবে। তাছাড়া যে সকল ড্রাইভার দুর্ঘটনা ঘটাবেন তাদের পয়েন্ট কাউন্টের মাধ্যমে তাদের লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। এতে দোষী ড্রাইভার নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ড্রাইভিং-এর জন্য নিষিদ্ধ হবেন।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, সরকার এখন পর্যন্ত এ কাজগুলোর জন্য কোনো অর্থায়ন করেনি। আমরা অর্থের জন্য আবেদন করেছি। ২০১২-১৩ অর্থ বছরে আমাদের জন্য অর্থ বরাদ্দও হয়েছিল। কিন্তু আমরা তা নিতে পারিনি। মূলত টাকা চাওয়া হয়েছিল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট করার জন্য। যারা বর্তমানে গাড়ি চালাচ্ছেন তাদের এবং যারা নতুন করে গাড়ি চালাতে আগ্রহী তাদের ট্রেনিং করানো। কিন্তু সরকার থেকে বলা হয়েছে টাকা নিয়ে কোনো ঘর করা যাবে না এবং কোনো গাড়ি কেনা যাবে না। তাই আমরা টাকা নেইনি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন