প্রায়ই স্বপ্নে দেখতেন। কে যেনো তাকে বলছেন ‘পরিতোষ ঈমান আন।’ ঘুম এলেই কে যেন বলছেন ‘পরিতোষ ঈমান আন।’ এভাবেই ধীরে ধীরে একপর্যায়ে তিনি ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে চলে এলেন। পরিতোষ থেকে এখন তিনি মো. হুজাইফা ইসলাম।
বর্তমানে হুজাইফার মসজিদে মসজিদে সময় কাটাচ্ছেন। অনেক সময় টাঙ্গাইলের মারকাজ মসজিদে তাবলিগি সাথীদের সাথে তাকে দেখা যায়। এছাড়া তিনি স্কুলেও ইসলাম শিক্ষা পড়েছেন। পরীক্ষাও দিয়েছেন ইসলাম শিক্ষার ওপর।
ইসলাম ধর্মগ্রহণকারী মো. হুজাইফা ইসলামের (২২) বাড়ি টাঙ্গাইলের বাসাইলের ফুলকী ইউনিয়নের বাঘিল-ফুলবাড়ী গ্রামে। তার পিতার নাম সন্তোষ সুত্রধর।
জানা যায়, তিন ভাই-বোনের মধ্যে পরিতোষ প্রথম। মা-বাবার সাথে অনেকটা সময় কাটিয়েছেন নানাবাড়ি দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইলে। পাথরাইল হিন্দু সম্প্রদায়ের বসবাস হলেও হিন্দু বন্ধুবান্ধবের পাশাপাশি মুসলিম বন্ধুবান্ধবের সাথে অনেকটা সময় কাটাতো তার। অনেক সময় ভালো লাগতো ইসলাম ধর্মের কার্যক্রম। মুসলিম বন্ধুদের কাছ থেকে ধর্ম সম্পর্কে জানার আগ্রহ দেখাতেন সেই শৈশব থেকেই।
প্রথমে বিষয়টি জানাজানি না হলেও ফেনী জেলায় তাবলিগে তিন চিল্লা সময় লাগিয়ে এলাকায় এসে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি তার ফেসবুক আইডি থেকে ইসলাম গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করে একটি পোস্ট দেন।
এতে তিনি লেখেন, ‘আমি ছিলাম বে-দ্বীন!! আল্লাহ আমাকে হাজারো কোটি মানুষ হতে বাছাই করে ইসলামের ছায়াতলে নিয়ে এসেছে...। আমি ছিলাম সনাতন অনুসারী...। যাই হোক দোয়া করবেন সারাটা জীবন যেন... থাকতে পারি।’
তিনি পাঁচ মাস আগে নিজ ইচ্ছাতেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। তার চেহারাতেও পরিবর্তন এসেছে। পোশাকের পাশাপাশি রেখেছেন লম্বা দাড়ি।
হুজাইফা ইসলাম বলেন, ‘প্রায়ই স্বপ্নে দেখতাম পরিতোষ ঈমান আন। ঘুম এলেই কে যেন বলতো পরিতোষ ঈমান আন। পরে সিদ্ধান্ত নিলাম ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবো। বর্তমানে মসজিদে মসজিদে সময় কাটাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, দিনের দাওয়াতের ওপর মেহনত করছি। ইসলাম সম্পর্কে আরো জানতে মাওলানা লাইনে পড়ালেখা করছি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন