ফরিদপুরে জমজ শিশু গর্ভে ধারণ করলেও চিকিৎসক অস্ত্রোপচার করে একটি শিশু বের করেন। অপরটি পেটের ভেতরে রেখেই ডাক্তার অস্ত্রোপচার শেষ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এ অভিযোগ ও আল্ট্রাসনোগ্রাম প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে ওই প্রসূতির পেটে ফের অস্ত্রোপচার করা হয়। তবে পেটে কোনো শিশু পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শনিবার রাত ৮টার দিকে এবং রোববার বিকেল ৫টার দিকে একই প্রসূতিকে দুইবার অস্ত্রোপচার করার এ ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুর শহরের নিলটুলী এলাকার ডা. জাহিদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালে।
দুই দফায় এ অস্ত্রোপচার করেছেন গাইনির চিকিৎসক রিজিয়া আলম।
ওই প্রসূতির নাম সেলিনা বেগম (৩৮)। তিনি ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের রসুলপুরের সৌদি প্রবাসী আজাদ খলিফার (৪০) স্ত্রী।
সেলিনা বেগমের বড় বোন জাহানারা পারভীন পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, শনিবার বিকেলে প্রসব ব্যথা নিয়ে ফরিদপুর শিশু হাসপাতালে ভর্তি হন সেলিনা। রাত ৮টার দিকে চিকিৎসক অস্ত্রোপচার করে একটি ছেলে নবজাতক বের করেন। চিকিৎসক একটি নবজাতক বের করলেও অপর আরেক নবজাতককে পেটের মধ্যে রেখেই অস্ত্রোপচার শেষ করেন।
জাহানারা বলেন, শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে নবজাতকটি মারা যায়। পাশাপাশি সেলিনাও অসুস্থ হতে থাকেন। পেটের ব্যথা বাড়তে থাকে। রোববার সকালে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ফের আল্ট্রাসনোগ্রাম করানো হয়। তাতে দেখা যায় আরেকটি বাচ্চা রয়েছে সেলিনার পেটে।
তিনি জানান, ৩টার দিকে প্রথম বাচ্চাটির শ্বাসকষ্ট শুরু হলে নার্সকে ডাকা হয়। নার্স এসে একটা ইনজেকশন দেয়। এর পরেই বাচ্চাটির নাক দিয়ে রক্ত আসে এবং মারা যায়।
তবে রোববার বিকেল ৫টার দিকে সেলিনার শরীরে দ্বিতীয় দফা অস্ত্রোপচার করেন রিজিয়া আলম। কিন্তু পেট কেটে দ্বিতীয় কোনো শিশু পাওয়া যায়নি- দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
ফরিদপুর শিশু হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আক্কাস মন্ডল বলেন, দ্বিতীয়বারের মতো অস্ত্রোপচার করে সেলিনার পেটে কোনো শিশু পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, প্রথমবারের অস্ত্রোপচারের আগে ও পরে যে দুটি আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয়, তার প্রতিবেদন সঠিক ছিল না। যদিও আল্ট্রাসনোগ্রামের প্রতিবেদনে কালো জাতীয় কিছুর অস্তিত্ব দেখা গিয়েছিল।
চিকিৎসক রিজিয়া আলম জানান, অস্ত্রোপচার নিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি। সবই স্বাভাবিকভাবে হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন