ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল বলেছেন, নিজস্ব দক্ষতা ও রক্তের গুনেই প্রাধনমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ উপাধি পেয়েছেন। এছাড়াও তিনি মানবিক মূল্যবোধে পিছিয়ে পড়া জাতিকে এগিয়ে নিতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন ।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের উদ্যোগে ‘ইসলামিক মূল্যবোধ সংরক্ষণে শেখ হাসিনা সরকারের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক বলেন, বঙ্গবন্ধু ভেতরে কোরআনের জ্ঞানবোধ ছিল বলে তিনি একটি জাতিকে নিরপেক্ষ জায়গা থেকে নেতৃত্ব দিয়ে স্বাধীন করতে পেরেছেন। বঙ্গবন্ধু জানতেন, ইসলাম বা মহানবী (সা.) কোনো নির্দিষ্ট ধর্ম বা জাতির জন্য নয়। তিনি সবার, তিনি সার্বজনীন। আর এমন উপলব্ধি থেকে ১৯৪৬ সালে বঙ্গবন্ধু ভারতবর্ষে মহাত্মা গান্ধীকে সেসময়ের মুসলিম নারী-পুরুষের উপর নির্যাতনের ছবি উপহার দিয়েছিলন। ভারতবর্ষে মুসলমানদের উপর নির্যাতনের কথা জানিয়েছিলেন মহাত্মা গান্ধীকে। পরবর্তীতে বাংলাদেশে আলিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার ইসলামের মূল বিষয়টা তুলে ধরতে কাজ করে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি কাওমী মাদ্রাসা শিক্ষাকে মাস্টার্স সমান মর্যাদা দিয়েছেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রাহমান বলেন, মানবিক বিবর্জিত ধর্মভীরু মানুষ যদি অশিক্ষিত হয় আর যদি ধর্ম সমন্ধে ভুল শিক্ষা দেয় তাহলে ধর্মভীরু মানুষ ধর্মান্ধ হতে বাধ্য। এই ধর্মান্ধতাই হচ্ছে আজকের বিকৃত সমাজ ও রাজনীতি।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যেকোনো ইসলামিক সেমিনার যেমন মানুষকে ইসলামিক দাওয়াত দেওয়ার জন্য, ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার জন্য, ধর্মান্ধ হতে বেরিয়ে আসার জন্য জবি পরিবারের শিক্ষক কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা সরাসরি অংশ নেবেন।
বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সেমিনারে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল ‘ইসলামিক মূল্যবোধ সংরক্ষণে শেখ হাসিনা সরকারের ভূমিকা’ প্রবন্ধটি উপস্থাপন করেন।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কলা অনুষদের ডিন আতিয়ার রহমান, শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক
শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেল প্রমুখ। সেমিনারে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী কর্মকর্তা-কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন