পিতা, গ্রাম ও পোস্টঅফিসের নাম ভুলের কারণে ৪৬ বছরেও সরকারি ভাতা পাননি মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের। তিনি কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের মরহুম ছেরাগ আলীর পুত্র।
ভারতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রামান্য তালিকায় কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামের এই মুক্তিযোদ্ধার নাম থাকলেও পিতার নাম, গ্রামের এবং পোস্ট অফিসের নামের ভুল রয়েছে।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের কল্যাণ বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. মনজুর আলমের স্বাক্ষরিত এক পত্রে দেখা গেছে, আবুল খায়ের, পিতা খের আলী, গ্রাম বাশকারা, ডাকঘর বাটাশিয়া, থানা চৌদ্দগ্রাম ও জেলা কুমিল্লার নাম ভারতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় ৪নং- খণ্ডে ৩০৬৩৩ ক্রমিকে রয়েছে। এর স্মারক নং-৪৮.০১.০০০০.৪০৬.১৮.০২০.১৭/৮৬১৩, তারিখ: ৩১.১২.২০১৭ইং।
অপরদিকে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন তারিক আলী স্বাক্ষরিত পত্রে উল্লেখ করা হয়, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রামান্য তালিকার ১২৬নং খণ্ডে ৩০৬৩৩ ক্রমিকে আবুল খায়েরের নাম অন্তর্ভুক্ত আছে। এর স্মারক নং-মু-জা/২৮-১৭/৩৪০৯, তারিখ : ০৮.০১.২০১৮ইং। এ পত্রে আবুল খায়েরের পিতার নাম মরহুম খের আলী, গ্রাম বাঁশপাড়া, ডাকঘর বাতাশিয়া, থানা চৌদ্দগ্রাম ও জেলা কুমিল্লা লেখা হয়। প্রকৃতপক্ষে খের আলী নামে কোন ব্যক্তি, বাশকারা, বাঁশপাড়া নামের কোন গ্রাম, বাটাশিয়া, বাতাশিয়া নামের কোন ডাকঘর চৌদ্দগ্রাম থানায় নেই।
মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পরিবর্তন ডটকমকে জানান, ভারতের শিকেরা আমিসহ আরও কয়েকজনের পিতা, গ্রাম ও ডাকঘরের নাম ভুল লিখেছে। তাছাড়া আমার মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেটটি চুরি হয়ে গেছে। তিনি সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের নিকট এ বিষয়ে উপযুক্ত সমাধান দাবি করেন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের কল্যাণ বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. মনজুর আলম পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, আমি সংরক্ষিত ডকুমেন্ট থেকে তথ্য দিয়েছি। তবে আবুল খায়েরের পিতা, গ্রাম ও ডাকঘরের নাম ভুল হলে তিনি মন্ত্রণালয়ে তথ্যগুলো সংশোধনের আবেদন করতে পারেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন