চট্টগ্রামের হাটহাজারির সেফ হোম থেকে নিখোঁজ ৭ কিশোরীর একজনকে লক্ষ্মীপুর আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ভোরে সদর উপজেলার টুমচর থেকে তুহিন আক্তার পিনু নামে ওই কিশোরীকে আটক করা হয়। পিনু সদর উপজেলার আবিরনগর এলাকার শাহীন আলমের মেয়ে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. লোকমান হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি রাতে হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নে থাকা সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত মহিলা ও শিশু কিশোরী হেফাজতিদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্র (সেফ হোম) থেকে ৭ কিশোরী নিখোঁজ হন।
ওই দিন রাতে সেফ হোমের খাবার কক্ষের পেছনের গ্রিল ভেঙে তারা পালিয়ে যায় বলে কর্তৃপক্ষ দাবি করে। এ ঘটনার পর তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ঘটনার দিন কর্তব্যরত আনসার সদস্যের অবহেলার কারণেই কিশোরীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে বলে উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে।
পালিয়ে যাওয়া সাত কিশোরীর বয়স ১২ থেকে ১৭ এর মধ্যে। বিভিন্ন মামলার ভুক্তভোগী হিসেবে আদালতের নির্দেশে তারা এ সেফ হোমে ছিল। এখানে মোট ৫৬ জন হেফাজতি মহিলা ও শিশু ছিল।
এখনো নিখোঁজ থাকা কিশোরীরা হলো— ময়না, জান্নাতী, আরিফা ইসলাম, লিজা আকতার, দিলরুবা সিদ্দিকা পাখি ও লিজা মণি। পালিয়ে যাওয়া সুমাইয়া (১৯) নামের এক তরুণীকে ১০ জানুয়ারি সকালে স্থানীয় বাজার নূর আলী মিয়ার হাট থেকে জনতা আটক করে সেফ হোমের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করে। তাই ৮ জন পালালোও এখনো নিখোঁজ আছে ৭ জন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন রাত ২টা পর্যন্ত একজন আনসার সদস্য ডিউটিতে ছিলেন। ডিউটি শেষে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ২টা থেকে যে আনসার সদস্যের ডিউটি ছিল তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় হেফাজতিরা কেন্দ্রের রান্না ঘরের পেছনের জানালার লোহার গ্রিল ধাক্কা দিয়ে ভেঙে পালিয়ে যায়। গ্রিলটি মরিচা ধরে নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন