নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে ল্যাবএইড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতালের চিফ কার্ডিয়াক অ্যানেসথেসিওলজিস্ট ডা. মাহবুবুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, মেয়র আইভীর শারীরিক অবস্থা এখন স্বাভাবিক। তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে। তার চিকিৎসার জন্য পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ড. রিফাত সরকার জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার পরপরই আমরা তাকে সিসিইউতে নিয়ে যাই। সেখানে সিনিয়র চিকিৎসকরা তাকে দেখছেন। আইভীকে বর্তমানে ল্যাবএইডের সিসিইউ-১ এর ১৬ নম্বর বেডে ডা. বরেন চক্রবর্তীর অধীনে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মূলত বুকে ব্যথা ও প্রেসার কমে যাওয়ার কারণে অসুস্থবোধ করলে তাকে ভর্তি করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে মেয়র নাসিক নগর ভবনের নিজ কার্যালয়ে হঠাৎ অসুস্থ বোধ করেন। বমি বমি ভাব হলে তিনি বাথরুমে গিয়ে বমি করেন। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে সিটি কর্পোরেশনের মেডিকেল অফিসার গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে একটি চিকিৎসক দল তার প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় আনা হয়।
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মেয়রের ভগ্নিপতি আব্দুল কাদির মেয়র অসুস্থ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মেয়রকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। তিনি নগরবাসীর কাছে মেয়রের জন্য দোয়া প্রার্থনা করেছেন।উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ শহরে হকার ইস্যু নিয়ে মঙ্গলবার চাষাঢ়ায় হকার ও এমপি শামীম ওসমানের অনুসারীদের সঙ্গে মেয়রের লোকজনদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় গ্রুপের লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজন পিস্তল উচিয়ে বেশ কয়েক রাউন্ড করে। সংঘর্ষের সময় মেয়র আইভীসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়। সেই সঙ্গে আহত হয় সাংবাদিক, আওয়ামী লীগ নেতাসহ বেশ কয়েকজন। আহত হওয়ার দুইদিন পর অসুস্থ হলেন মেয়র আইভী।
মানবকণ্ঠ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন