ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে সিনিয়র-জুনিয়রের দ্বন্দ্বে কলেজিয়েট স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র আদনান ইসফার (১৫) ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদি হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ খুনিদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বেলা আড়াইটার দিকে নগরীর জামালখানের ডা. খাস্তগীর স্কুলের সামনে আদনানকে পিঠে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
আদনান এলজিইডির খাগড়াছড়ির প্রকৌশলী আখতারুল আজমের ছেলে। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের পেছনে আম্বিয়া ভবনের একটি বাসায় মা ও বোনের সাথে থাকত সে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. জহিরুল হক ভূঁইয়া বাংলানিউজকে জানান, ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত কলেজিয়েট স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র আদনান ইসফারকে আইডিয়াল স্কুলের শিক্ষক এমরান হোসেন ও দুই শিক্ষার্থী চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, আদনানকে ৩ জন ছেলে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। কলেজিয়েট স্কুলে সিনিয়র-জুনিয়রদের দ্বন্দ্বে আদনানকে খুন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহতের খালু সৈয়দ মাহুমদ শিবলী বাংলানিউজকে বলেন, ‘আদনানের বেশ কয়েকজন সহপাঠী ও বন্ধুর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বেশ কিছু তথ্য আমাদের জানিয়েছে। গত সপ্তাহে নাকি কলেজিয়েট স্কুলের মাঠে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে নবম ও দশম শ্রেণির ছাত্রদের দু’গ্রুপে ঝগড়া হয়। এসময় আদনানের সঙ্গে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কথা কাটাকাটি হয়। এর রেশ ধরে আদনানকে টার্গেট করে দশম শ্রেণির বড় ভাইয়েরা। ওরা আদনানকে ছুরিকাঘাতে খুন করেছে। আমরা এর বিচার চাই।’
ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন আগে স্কুলমাঠে ছাত্রদের দু’গ্রুপে মারামারি হয়েছিল জানিয়ে কলেজিয়েট স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, আদনান মেধাবী ছাত্র ছিল। পঞ্চম শ্রেণি থেকে কলেজিয়েট স্কুলে পড়ছে। গতবার জেএসসিতে সে জিপিএ-৫ পেয়েছে। তাকে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়েছে শুনে বিশ্বাস হয়নি। তাই মর্গে ছুটে এলাম। আমি তাকে এক বছর প্রাইভেটও পড়িয়েছি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন