নাম কি? জানি না, বাড়ি কোথায়? বাড়ি নাই, থাকেন কই? আম গাছে, খান কি? যা পায়,উঠে বসেন, বল নাই,এমন আবোলতাবোল বকে চলেছে রাজশাহীর বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া অজ্ঞাত এক বৃদ্ধ।
ঠিকানাহীন এই বৃদ্ধের কাণ্ডে দিশেহারা হয়ে পড়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
ভর্তির পর থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিছানায় মলমূত্র ত্যাগ করে পরিবেশদূষণ আর আবোলতাবোল গালাগাল সইতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।
কখনো বাংলা ভাষায়, আবার কখনো হিন্দি ভাষায়, এমন বকাবকি করে চলেছে অজ্ঞাত এই বৃদ্ধ (৬০)।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে এসে, বাইরে আম গাছের নিচে শুয়ে আছে এই বৃদ্ধ।
চিকিৎসকরা ধরে এনে বেডে শুয়ে দিলে কিছুক্ষণ পর ফের বাইরে গিয়ে আবার গাছতলায় শুয়ে থাকছে।
জানা যায়, গত ১০ দিন আগে উপজেলার পদ্মার মধ্যে পলাশী ফতেপুর এলাকার এক গম ক্ষেতে থাকত এই বৃদ্ধ। শীতের তীব্রতায় ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
সোমবার স্থানীয় চেয়ারম্যান আজিজুল আযম পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে গম ক্ষেত থেকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তারপর থেকে এই বৃদ্ধ শুরু করে এমন আচরণ। পদ্মার চরের মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুল আযম জানান, গত এক সপ্তাহ আগে জানতে পারি এক পাগল মলমূত্র ত্যাগ করে অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় গম ক্ষেতে শুয়ে আছে। ওই গম ক্ষেতে গিয়ে তার নাম জিজ্ঞাসা করলে বলে ফজুলু। বাড়ি ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানার এরশাদনগর গ্রামে। পরিবারে অন্যান্য সদস্যদের নাম জানতে চাইলে শুধু ভাতিজার নাম গনি বলে জানান। আর কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়নি।
পরে অনেক চেষ্টা করেও তার কোনো ঠিকানার সন্ধান করতে না পেরে, স্থানীয় পুলিশকে অবগত করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন