স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে সুন্দরবনের তিন দুর্ধর্ষ জলদস্যু বাহিনী।
মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় এই তিনটি বাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে।
র্যাব-৮ কমপ্লেক্সে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন র্যাব-৮ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার হাসান ইমন আল রাজীব।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করে দুর্ধর্ষ বড় ভাই, সুমন ও ভাই ভাই বাহিনীর ৩৮ জলদস্যু। এরমধ্যে বড় ভাই বাহিনীর সদস্যরা হলেন, বাহিনীর প্রধান আব্দুল ওয়াহিদ মোল্লা, বাচ্চু শেখ, মাহমুদ হাসান, রফিকুল ইসলাম, ওলি ইজারাদার, গোলাম মাওলা, অলিয়ার শেখ, বরকত আলী শেখ, রেজাউল মোল্লা, রিপন শেখ, খালিদ ইজারাদার, মিকাইল ইজারাদার, বায়েজিদ মোল্লা, লিটন আলী ইজারাদার, মাজেদ ইজারাদার, এসএম মেহেদী হাসান মিলন, আব্দুল মজিদ ভাঙ্গি ও ইউনুচ আলী।
এই বাহিনীর কাছ থেকে ১৮টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১৪২২ রাউন্ড তাজা গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
ভাই ভাই বাহিনীর সদস্যরা হলেন বাহিনী প্রধান ফারুক মোরল, রেজাউল সানা, আনিমেশ বাড়ই, কুতুব উদ্দিন, ইমদাদুল হক, আলমগীর হাওলাদার, আলামিন হাওলাদার ও হাবিবুর রহমান সিকদার।
এই বাহিনীর কাছ থেকে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩৩২ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে সুমন বাহিনীর সদস্যরা হলেন বাহিনীর প্রধান জামাল শরীফ সুমন, কাইউম জমাদ্দার, আলিম মৃধা, জামাল তালুকদার, রাজা ফরাজী, আলামিন খা, রফিকুল, আকরাম হোসেন গাজী, জুয়েল রানা, আবুল কালাম শেখ, মিলন হাওলাদার ও ছমির তালুকদার।
এই বাহিনীর কাছ থেকে ১২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১২১৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৮ এর মেজর সোহেল রানা বলেন, সোমবার রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
(ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন