বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম স্টেশনের কাছে লালমনি এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেছে। এর ফলে ঢাকার সাথে উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে।
রেললাইন ধসে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-দক্ষিণের রেল যোগাযোগ বন্ধ
ভারী বর্ষণের ফলে পাবনার চাটমোহরে রেললাইনের ২১নং রেলব্রিজের মাটি সরে যাওয়ায় দেশের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
রবিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার গুয়াখড়া রেলস্টেশনের অদূরে ২১ নম্বর রেলব্রিজে এ ঘটনা ঘটে। এতে করে চাটমোহর রেলস্টেশনে রংপুর এক্সপ্রেস ও মেইল ট্রেনটি আটকা পড়েছে।
চাটমোহর রেলস্টেশন মাস্টার মাসুম আলী খান জানান, টানা বর্ষণের কারণে উপজেলার গুয়াখড়া রেলস্টেশনের অদূরে ২১ নম্বর রেলব্রিজের মাটি সরে যায়। এতে ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
ঈশ্বরদীতে উদ্ধারকারী ট্রেনকে খবর দেয়া হয়েছে। উদ্ধারকারী দল এসে মেরামতের কাজ শেষ করলেই রেল চলাচল ফের স্বাভাবিক হবে বলে জানান ওই স্টেশনমাস্টার।
উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগ বন্ধ
টাঙ্গাইলের পৌলী ব্রিজ এলাকায় রেললাইনের মাটি সরে যাওয়ায় উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
জানা গেছে, টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় পৌলী নদীর ওপর রেলসেতুর অ্যাপ্রোচের মাটি প্রায় ২০ ফুট ধসে পড়েছে। ফলে দুর্ঘটনা এড়াতে ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে।
রবিবার সকাল ৬টার দিকে রেলসেতুর অ্যাপ্রোচ থেকে মাটি সরে যেতে দেখেন স্থানীয়রা। সঙ্গে সঙ্গে তারা স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেন। এ ছাড়া স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে লাল কাপড় টানিয়ে সতর্কসংকেত দেন।
রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী রমজান আলী জানান, তারা ঘটনাস্থলে পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণ করছেন। সেখানে মাটি সরে প্রায় ২০ ফুট গভীর ফাঁকা স্থানের সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে ঢাকা থেকে প্রকৌশলীরা রওনা দিয়েছেন। তারা ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করে যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেবেন।
বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কে ফোর লেনের কাজ চলছে জানিয়ে রমজান আলী বলেন, এ কারণে পৌলী রেলসেতুর কাছে ফোর লেন প্রকল্পের সেতু নির্মাণের সময় থেকে সেখানে পানি বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে, যার প্রভাব পড়ছে রেলসেতুর ওপর। এ কারণে মাটি ধসে পড়ার ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা রেলস্টেশন মাস্টার জালাল উদ্দিন জানান, সকাল সাড়ে ৫টার দিকে খুলনা থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি যমুনা নদীর ওপর অবস্থিত কালিহাতী উপজেলার পৌলী রেলব্রিজ এলাকা অতিক্রম করার পর পরই পৌলী রেলব্রিজের ৩০ ফুট এলাকাজুড়ে অ্যাপ্রোচ অংশ ধসে পরে। বন্যার পানিতে মাটি নরম হয়ে যাওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে তার ধারণা।
এর ফলে রেললাইনের নিরাপত্তাজনিত কারণে ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান জালাল উদ্দিন। ঘটনাস্থলে নীলফামারীর চিলাহাটি থেকে ঢাকাগামী নীলফামারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকা পড়েছে। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব স্টেশনে ঢাকাগামী রংপুর এক্সপ্রেস, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম স্টেশনে দিনাজপুর থেকে ঢাকাগামী একতা এক্সপ্রেস এবং ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো জয়দেবপুর রেলস্টেশনে আটকা পড়ে আছে। সবমিলেই এ পথে চলাচলকারী ট্রেনযাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন