ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে বিয়ের দাবিতে উপজেলার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) বাড়িতে অবস্থান নেন মমতা নামের এক নারী। পরে শুক্রবার রাতে ওই বাড়ির লোকজন তাকে প্রথমে ইউএনওর বাসায় নিয়ে যায় এবং পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে আটোয়ারী উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের কুড়ান চন্দ্র পালের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে ওঠে রামাকান্ত কান্ত পালেরর প্রেমিকা দিনাজপুর সদরের নির্মল রায় এর মেয়ে মমতা রায় (২০)। এ অবস্থা দেখে এসিল্যান্ড সটকে পড়েন।
পরে খবর পেয়ে আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন সুলতানা ও আটোয়ারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে সমাধানের চেষ্টা চালান। কিন্তু ওই কর্মকর্তারা সুরাহা করতে না পেরে ফিরে যান। পরে ইউএনও’র নির্দেশে ওই দিন রাত আনুমানিক একটায় রমানাথ কান্তের পরিবারের লোকজন মমতাকে শারীরিক নির্যাতন করে জোড়পূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসায় রেখে আসেন।
মমতা রায় জানান, দীর্ঘ দিন থেকে তাদের মধ্যে মন দেয়া নেয়া চলছিল। রামানাথ কান্ত পাল বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে বলে দাবি করেন ওই প্রেমিকা।
এরপূর্বে রামানাথ কান্ত পাল মমতাকে তার নিজ বাড়ি দেখার অজুহাতে নিয়ে এসে তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ তার।
সে সময় রমানাথ কান্ত নিজেকে রক্ষা করার জন্য মমতাকে আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাস ভবনে নিয়ে গেলে নির্বাহী অফিসার বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মমতাকে তার দিনাজপুরের বাড়িতে ফেরৎ পাঠায়।
এরপর নিয়মিত মোবাইলে কথা বার্তা হলেও বিয়ের কোনো ব্যবস্থা না হওয়ায় নিরুপায় হয়ে বৃহস্পতিবার মমতা রায় রমানাথ কান্ত পালের বাড়িতে এসে ওঠে।
এলাকাবাসীর অভিমত রামানাথ কান্ত বিসিএস ক্যাডার হওয়ায় সরকারি লোকজন তাকে সহায়তা করছে। এতে অসহায় হয়ে পড়ে প্রেমিকা মমতা।
এ ঘটনায় এসিল্যান্ড রামানাথ কান্ত পালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন সুলতানা জানান, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসককে জানিয়ে তিনি তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেন। আগামী ১৮ ডিসেম্বর প্রশাসনিক ও পারিবারিকভাবে বৈঠকের মাধ্যেমে সমাধান করা হবে। এই মর্মে পুনরায় মমতাকে দিনাজপুরের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৩৪ জন আটক
ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৩৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত জেলা সদরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
এছাড়া অভিযানে ২৫০ গ্রাম গাঁজাসহ বিভিন্ন মামলার আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, পুলিশ সুপার ফারহাত আহমেদের নিদের্শে এই অভিযানে পরিচালিত হয়। পুলিশের এ ধরনের ব্লক রেইড অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ওসি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন