জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর পরামর্শক্রমে সুন্দরবন এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় ‘কৌশলগত পরিবেশ পরীক্ষণ’ (এসইএ) চালাবে সরকার।
রামপাল কয়লা বিদুৎকেন্দ্র নির্মাণকে সামনে রেখে এই পরীক্ষা চালাতে যাচ্ছে সরকার। এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ওই প্রকল্প নির্মাণ করা হলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ম্যানগ্রোভ বনের কোনো ক্ষতি হবে কি না- এ বিষয়টি দেখাই জরিপের মূল উদ্দেশ্য।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, গত জুলাইতে ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্য বিষয়ক কমিটির ৪১তম অধিবেশনে গৃহীত প্রস্তাবনা অনুসারে এই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সরকার।
সুন্দরবনে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে সংস্থাটি বাংলাদেশ সরকারের কাছে একটি প্রস্তাবনা দেয়। এতে বনাঞ্চল এবং এর আশপাশের এলাকায় জরিপ পরিচালনার কথা বলা হয়।
রামপাল প্রকল্পের নাম উল্লেখ না করে ইউনেসকোর প্রস্তবনায় সুন্দরবনে সব ধরনের বৃহৎ শিল্প কারখানা স্থাপন স্থগিত রাখার কথা বলা হয়।
১৯৯৭ সালে সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান দেয় ইউনেসকো। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকারের জরিপে সুন্দরবনের প্রধান সাতটি উপাদান নিয়ে গবেষণা করা হবে: পানি, কারখানা, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, নগরায়ন, পর্যটন এবং নৌ-পরিবহণ।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির ৪২তম অধিবেশনে গবেষণা প্রতিবেদনটি দাখিল করার কথা রয়েছে। তবে এই এক বছরে এমন একটি গবেষণার কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে কি না- এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেক পরিবেশবিদ। তাদের মতে, এ ধরনের প্রকল্প শেষ করতে অন্তত ১৮ থেকে ২৪ মাস লাগার কথা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) মহাসচিব এম এ মতিন বলেন, ১৮ থেকে ২৪ মাস সময় নিয়ে কাজটি শেষ করলে পরিবেশের জন্য তা উপকারী হতো।
ইতোমধ্যে রামপাল প্রকল্পের ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সেখানে কাজ শুরু করেছে। ২০১৯ সালের জুনে রামপালের প্রথম ইউনিটের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। দ্বিতীয় ইউনিট শেষ হবে ডিসেম্বরে।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন