বরেণ্য মুক্তিযোদ্ধা ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর চিকিৎসার খরচ বহনে হিমশিম খাচ্ছে তার পরিবার। চিকিৎসার জন্য যে পরিমাণ টাকা দরকার তা নেই তার পরিবারের কাছে।
.
বর্তমানে হৃদরোগ, ডায়াবেটিকস, কিডনি জটিলতা ও পায়ের সমস্যা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউ-তে আছেন ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী।
বরেণ্য এই মুক্তিযোদ্ধার পাশে থেকে সারাক্ষণ চিকিৎসা তদারকি করছেন তার দুই ছেলে কারু তিতাস ও তূর্য কাজি এবং মেয়ে ফুলেশ্বরী। মায়ের প্রতিদিনকার চিকিৎসার খরচে নিয়ে সকাল-সন্ধ্যা দুশ্চিন্তায় কাটছে তিন সন্তানের।
চিকিৎসকদের সূত্রে জানা গেছে, প্রিয়ভাষিণীর মেডিকেলের কেবিন ভাড়া বা চিকিৎসক ফি লাগছে না। কিন্তু তিনি যে সকল জটিল শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন, সেসব নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিন গড়ে ২০/৩০ হাজার টাকার ওষুধ এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা লাগছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গল এবং বুধবারই কেবল প্রায় ৫০ হাজার টাকার ওষুধ দরকার হয়েছে প্রিয়ভাষিণীর। মায়ের ওষুধের পেছনে এতো টাকা ব্যয় করা সন্তানদের জন্য একরকম অসাধ্য হয়ে উঠেছে।
বরেণ্য এই মুক্তিযোদ্ধা কোনো দিন সরকারি কোনো বাড়তি সুবিধা নেননি। এমনকি নিজে তেমন কোনো বিত্ত-বৈভবেরও মালিক হননি। তার চার সন্তানও মধ্যবিত্ত জীবন যাপনে অভ্যস্থ। সে ক্ষেত্রে প্রতিদিন এতো টাকা ওষুধের পেছনে ব্যয় তাদের জন্য একরকম অসাধ্য হয়ে উঠেছে।
জানতে চাইলে প্রিয়ভাষিণীর ছেলে কারু তিতাস পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘গত ১৫ দিনেই প্রায় তিন লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এটা কি জোগাড় করা সম্ভব? এখন নিজেরা কিছু জোগাড় করে এবং ব্যক্তিগত সহায়তা থেকে চিকিৎসা চালিয়ে নেয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এখন কিভাবে কি হবে আমি বুঝতে পারছি না! প্রধানমন্ত্রী কি আসলে মায়ের যতটা খারাপ অবস্থা তা জানেন? এই দায়িত্ব এখন রাষ্ট্রের নেয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।’
তিতাস সংশয় প্রকাশ করে বলেন, ‘এমন তো হচ্ছে না যে কেউ ২০ হজার টাকা সহায়তা দিয়ে গিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে হয়তো বলছেন ২০ লাখ টাকা দিয়েছেন। এমনটাতো আমাদের দেশে হয়।’
জানতে চাইলে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সব জানেন, আমি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি।’
দৈনন্দিন যে খরচ লাগছে তা নিয়ে কি কিছু করা যাবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দেখি, প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরুক। আমিও দু-একদিনের মধ্যে দেখতে যাব। এরইমধ্যে ল্যাব এইডে আমরা সাড়ে সাত লাখ টাকা বিল দিয়েছি।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন