বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেতে পালিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে দশম শ্রেণীর নাহিদুল ইসলাম। সে উপজেলার দক্ষিণ মটকপুর কাজিপাড়া এলাকার কৃষক বাবলু রহমানের ছেলে এবং মটকপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র।
.
নাহিদুল ইসলাম জানিয়েছে, কোনো কিছু না জানিয়ে আমার পরিবারের সদস্যরা বুধবার রাতে বিয়ে ঠিক করে। কার সাথে বিয়ে হবে সে কথাও আমাকে জানায়নি তারা। আমি এতো কম বয়সে বিয়ে করতে চাই না। পড়ালেখা করতে চাই। এ জন্য সকালে বাড়ি থেকে পালিয়ে আসি ইউএনও স্যারের কাছে। ইউএনও স্যার অফিসিয়াল কাজে বাইরে থাকায় বিয়ে বন্ধের জন্য আমি স্থানীয় সাংবাদিকদের দ্বারস্থ হই। এসময় ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ উপস্থিত ছিলেন। আমি তাকেও বিয়ের কথা জানাই।
নাহিদুলের বাবা বাবলু রহমানের কাছে ছেলের বাল্যবিয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি নিজের ভুল স্বীকার করে বলেন, আমি আর ছেলের বিয়ে দেবো না। ওকে পড়ালেখা করাবো।
পাঙ্গামটকপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলেন, আমি খবর শুনে বাবলুকে বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে বলি এবং ইউএনও অফিসে গিয়ে বাল্যবিয়ে হবে না বলে নাহিদুলকে জানিয়ে দেই।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন