শিগগিরই জিনগতভাবে উন্নত ‘থ্রি-আর পটেটো’ অথবা বায়োটেক পটেটো জাতের আলুর চাষ শুরু করবে বাংলাদেশ । ছত্রাকজাতীয় মড়ক রোগ প্রতিরোধী (লেট ব্লাইট) এই বিটি আলু চাষে ২৫ থেকে ২৮ শতাংশ উৎপাদন খরচ সাশ্রয় হবে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) সম্মেলন কক্ষে ‘ফিড দ্য ফিউচার বায়োটেকনোলজি পটেটো পার্টনারশিপ’ শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
এ সময় গবেষণা অংশীদারিত্ব প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএআরআই) মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ছত্রাকজাতীয় মড়ক রোগ (লেট ব্লাইট) থেকে সুরক্ষার মাধ্যমে থ্রি-আর জিন পটেটো কৃষকদের উৎপাদন খরচ অন্তত ২৫ থেকে ২৮ শতাংশ সাশ্রয় করবে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, বিএআরসি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান ভাগ্যরাণী বণিক এবং যুক্তরাষ্ট্রের মিসিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. ডেভিড ডাউচেস বিশেষ অতিথি ছিলেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
ভাগ্যরাণী বলেন, ‘প্রচলিত আলুতে ওয়ান আর-জিন সন্নিবেশিত করা হয়েছে। তবে নতুন জাতের থ্রি-আর জিন সন্নিবেশিত আলু রোগবালাই ও পতঙ্গ প্রতিরোধে আরও সক্ষম।’
বায়োটেকনোলজি পটেটো পার্টনারশিপ প্রকল্পের মেয়াদ পাঁচ বছর। প্রকল্পের ৫.৮ মিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন করছে ইউএসএআইডি। এই প্রকল্পে দু’টি প্রতিষ্ঠানের অংশীদারিত্ব রয়েছে। একটি বাংলাদেশ অপরটি ইন্দোনেশিয়া।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের আলু উৎপাদনকারী কৃষকরা ছত্রাকজাতীয় মড়ক রোগের বিস্তার থেকে আলু রক্ষায় প্রতি মৌসুমে ১০০ কোটি টাকার কীটনাশক ছিটানোয় ব্যয় করে। বায়ু ও পরিবেশ দূষণের প্রভাবে এই মড়কের ঝুঁকি বাড়ছে। জিএম পটেটো কৃষকের এই ব্যয় সাশ্রয় করবে এবং এতে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির অবসান ঘটবে।’
বিশ্বে আলু উৎপাদনে বাংলাদেশ বর্তমানে ৭ম অবস্থানে রয়েছে।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন