রোহিঙ্গা নারীদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যৌন নিপীড়নের ঘটনা অনুসন্ধান করতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ও পরিকল্পিত ধর্ষণের আলামত পেয়েছে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি।
এক অসুন্ধানী প্রতিবেদনে তারা জানিয়েছে, কখনও সামনে স্বামীকে বেঁধে রেখে, কখনও আবার স্বামী-সন্তানকে হত্যার পর ধর্ষণ করা হয় ওই নারীদের। ধর্ষণের আগে-পরে রোহিঙ্গা নারীদের যোনিতে বন্দুকের নল ঢুকিয়ে দেয়ার মতো ঘটনাও জানতে পেরেছেন এপির প্রতিবেদক।
বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে অবস্থানরত ২৯ রোহিঙ্গা নারীর সঙ্গে পৃথক পৃথক সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীদের সংখ্যা বিস্মিত করেছে এপির প্রতিবেদককে। তবে নিজেদের অনুসন্ধান সম্পর্কে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অবস্থান জানার চেষ্টা করলেও তাদের কাছে কোনও সাড়া পায়নি এপি।
জাতিসংঘ এবং দুই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও গার্ডিয়ানের পৃথক তিন অনুসন্ধানে একইরকম বাস্তবতা উঠে এসেছিল। ২০১৬ অক্টোবর থেকে চলতি বছর সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত এই নিপীড়ন চলে। পৃথকভাবে তাদের সাক্ষাতকার নেয়া হলেও সবার ঘটনা প্রায় একই বলে জানায় তারা।
ধর্ষণের শিকার নারীরা জানান, চোখের সামনেই হত্যা করা হয় তাদের সন্তানদের। স্বামীকে গুলি করে বা পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। প্রিয়জনকে মাটি দিয়ে রাতের অন্ধকারেই পালিয়ে আসতে হয় সবাইকে। নিপীড়নের কথা বলতেই থাকেন নারীরা। সেই কষ্ট নিয়েই পায়ে হেটে লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে আসেন বাংলাদেশে। ‘এন’ নামে একজন বলেন, তিনি ধর্ষণের পর বেঁচে গেছেন। কিন্তু নিজের স্বামী, দেশ ও শান্তি হারিয়েছেন। তারপরও তিনি কথা বলেন হয়তো কেউ তার কথা শুনবেন। তিনি বলেন, ‘আমার কিছুই নেই। আমি শুধু কথাই বলতে পারি।’
শীর্ষনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন