নীলফামারীতে তিন চিকিৎসককে দীর্ঘদিন ধরে খুঁজে পাচ্ছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
নিখোঁজ হয়ে যাওয়া চিকিৎসকরা হলো- নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. ইমরান হাসান ও একই উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. মামুনুর রশীদ চৌধুরী ও ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. শওকত আলী শাফায়াত।
এই তিন চিকিৎসক কর্মস্থল থেকে বিনা ছুটিতে লাপাত্তা রয়েছে। লাপাত্তার পর হতে তারা এ পর্যন্ত সরকারি কোষাগাড় হতে বেতন-ভাতাদিও উত্তোলন করেননি।
কর্মস্থলে তাদের অনুপস্থিতির বিষয়টি ধরতে পেরে তাদের বাড়ির ঠিকানায় তিন দফায় পত্র প্রেরণ করে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। কিন্তু কোনো উত্তর মেলেনি।
শুক্রবার সকালে এ ব্যাপারে কথা বলা হলে নীলফামারী সিভিল সার্জন ডা. রনজিৎ কুমার বর্ম্মন জানান, কর্মস্থলে অনুপস্থিত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সরেজমিন তদন্ত করেছে। এই তিন চিকিৎসকের ২০১৭ সালের চলমান নভেম্বর মাস পর্যন্ত এখনও কোনো সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডা. মামুনুর রশীদ চৌধুরী (কোড নম্বর ১২৬০১৬) ২০১২ সালের ২৪ জুন ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাধ্যমে নাউতারা ইউনিয়নের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার হিসাবে যোগদান করেন। সেখানে কর্মরত থাকা অবস্থায় ওই বছরের ৪ আগস্ট হতে অনুপস্থিত রয়েছে। সেখানে তিনি মোট চল্লিশ দিন কর্মরত ছিলেন।
অপরজন ডা. ইমরান হাসান (কোডনম্বর ১২৮৮৪৩) ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার হিসাবে যোগদান করেন ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট। এরপর ২০১৫ সালের ১লা আগস্ট হতে বিনা ছুটিতে লাপাত্তা হন। এখানে তিনি প্রায় এক বছর কর্মরত ছিলেন।
এদিকে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. শওকত আলী শাফায়াত ২০১০ সালের ১লা জুলাই যোগদান এবং যোগদানের পরের দিন হতেই অনুপস্থিত রয়েছেন। তার নামের ফাইলে এর -বেশি কিছু লিখা নেই। এমন কি তার চাকরির কোড নম্বর পাওয়া যায়নি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন