বিবিআইএন স্বাক্ষরিত হওয়ার ফলে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের মধ্য দিয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি, যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহন চলাচল করতে পারবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, এরইমধ্যে ভারত, বাংলাদেশ ও নেপাল চুক্তিটিতে অনুসমর্থন দিয়েছে। আশা করা যাচ্ছে ভুটানও শিগগিরই চুক্তিটি অনুসমর্থন করবে। চার দেশের অনুসমর্থনের পর চুক্তিটি বাস্তবায়িত হবে।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাতে সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম এ মালেকের লিখিত প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন মন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পাশ্ববর্তী দেশের সঙ্গে স্থলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করার লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আন্তঃদেশীয়, আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক যোগাযোগ মহাসড়ক নেটওয়ার্ক সর্বাধিক গুরুত্ব বহন করে। ভৌগলিক অবস্থানগত সুবিধার কারণে ৫টি আন্তঃদেশীয়, আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক মহাসড়ক নেটওয়ার্ক উদ্যোগের সঙ্গে বাংলাদেশ সম্পৃক্ত।
মন্ত্রী আরও জানান, বিসিআইএম-ইসি এর অধীনে বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমারের স্টাডি গ্রুপের সভা গত ডিসেম্বরে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিমসটেকের আওতায় লজিস্টিক স্টাডিও ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি জানান, পাশ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার অংশ হিসেবে ৮টি মহাসড়ক করিডোরে ৫৯০ কিলোমিটার মহাসড়ক ধীরগতির যানবাহনের জন্য পৃথক লেনের ব্যবস্থা রেখে দুই লেন থেকে ৪-লেনে উন্নীত করার সমীক্ষা ও নকশা প্রণয়নের কাজ চলছে। স্টাডি সমাপ্তের পর বিনিয়োগের ভিত্তিতে বাস্তব কাজ সম্পন্ন হবে।
পদ্মা সেতুর সামগ্রিক অগ্রগতি ৪৯ ভাগ:
সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বেগম উম্মে রাজিয়া কাজলের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের জানান, বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকার প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ মেগা প্রকল্পের মধ্যে পদ্মা সেতু প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ চলমান রয়েছে। চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রথম স্প্যান স্থাপনের মাধ্যমে সেতুটি দৃশ্যমান হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রকল্পের ৪৮ শতাংশ ভৌত কাজ সম্পাদিত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে একাধিক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে এপ্রোচ সড়ক, ব্রিজ নির্মাণ কাজ
প্রায় সমাপ্ত হয়েছে। মূল সেতুর নির্মাণ কাজও সমান গতিতে চলছে। গত মাসে পিলারের ওপর স্প্যান স্থাপন করা হয়েছে। এই স্প্যান স্থাপনের ফলে স্বপ্নের পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হয়েছে। এক কথায় বলতে গেলে পদ্মা সেতুর নির্মাণের সামগ্রিক অগ্রগতি শতকরা ৪৯ ভাগ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন