রাজনৈতিক দলগুলো তাদের শর্ত প্রতিপালন করছে কিনা তা জানাতে ইতোমধ্য চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি)। ১ নভেম্বর দলগুলোর কাছে পাঠানো চিঠিতে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে ইসিকে এ বিষয়ে অবগত করার জন্য বলা হয়। সে হিসেবে মঙ্গলবার ইসির দেয়া সময়ের শেষ দিন। কিন্তু শেষ দিন পর্যন্ত নিবন্ধিত ৪০টি দলের অর্ধেকের মতো দল তাদের জবাব দিয়েছে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া নির্ধারিত সময়ে জবাব দিতে না পারায় কমিশনের কাছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি এই তিনটি দল সময় চেয়েছে।
.
পরিবর্তন ডটকমকে মঙ্গলবার এ তথ্য জানান ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
তিনি বলেন, তিনটি দল জবাব দেয়ার জন্য সময় চেয়েছে। তাদেরকে সময় দেয়া হবে। এছাড়া যদি কোনো দল সময় মতো জবাব দিতে না পারে, তাহলে তাদেরকে জবাব দেয়ার জন্য আবারও তাগাদা দিয়ে চিঠি দেয়া হবে।
ইসির সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে জানা যায়, মঙ্গলবার পর্যন্ত জাকের পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), ইসলামী ঐক্যজোট, জাতীয় পার্টি (জেপি), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিটি), গণফ্রন্ট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ), খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ও বিকল্পধারা বাংলাদেশসহ প্রায় ২০টি দলের জবাব ইসির সংশ্লিষ্ট শাখায় পৌঁছেছে।
এর আগে ১ নভেম্বর শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থ হলে দলের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে ৪০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে চিঠি দেয় ইসি।
ইসি সূত্র জানায়, দলগুলো শর্তপূরণ করেই নিবন্ধিত হয়েছিল। তাদের বেশ কিছু বিষয় প্রতিপালনের বাধ্যবাধকতাও রয়েছে। এজন্য ইসির ঘোষিত কর্মপরিকল্পনা মেনে সর্বশেষ অবস্থা জানাতে নিবন্ধিত দলগুলোকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
ইসির রোডম্যাপে বলা হয়েছে- নিবন্ধিত দলগুলো বিধি-বিধানের আলোকে পরিচালিত হচ্ছে কি না, খতিয়ে দেখার আইনানুগ দায় ইসির রয়েছে। তারা শর্ত যথাযথভাবে প্রতিপালন করছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে সিদ্ধান্ত হয়েছে। যাতে সব নিবন্ধিত দল একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, দলগুলোর প্রতিবেদন পাওয়ার পর নির্বাচিত কমিটি ও মাঠ অফিসের কার্যক্রম ঠিক রয়েছে কিনা তা সঠিকভাবে যাচাইয়ে একটি ‘বিশেষ দল’ তদন্তে নামবে। নিবন্ধনের সময় দেওয়া শর্ত পূরণ করতে না পারলে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ‘কারণ দর্শানো’ নোটিশ দিয়েই প্রাথমিক পদক্ষেপ শুরু হবে।
ইসি সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালুর পর এ পর্যন্ত ৪২টি দল বিন্ধিত হয়েছে। এরমধ্যে স্থায়ী সংশোধিত গঠনতন্ত্র দিতে না পারায় ২০০৯ সালে ফ্রিডম পার্টির নিবন্ধন বাতিল এবং আদালতের আদেশে ২০১৩ সালে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ রয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন