বরিশালের মুলাদী উপজেলা সমাজসেবা অফিস সহকারী আতাউর রহমানকে ঘুষ না দেয়ায় ৬ মাসেও অনুদানের টাকা পাননি এক প্রতিবন্ধী। আতাউরের স্বেচ্ছাচারিতায় অনুদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রতিবন্ধী আবুল কালাম।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের নির্দেশ উপেক্ষা করে আতাউর দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের ডিক্রিরচর গ্রামের রত্তন বেপারীর ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী আবুল কালামকে অনুদানের টাকা না দেয়ায় অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন।
প্রতিবন্ধী আবুল কালাম সমাজসেবা অফিস সহকারী আতাউরকে উৎকোচ না দেয়ায় তার নামে বরাদ্দকৃত অনুদানের টাকা দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন।
প্রতিবন্ধী আবুল কালাম জানান, পোলিও রোগে আক্রান্ত হয়ে তার বাম পা চিকন হয়ে যায়। দরিদ্র কালাম পেটের দায়ে প্রায় ১২/১৩ বছর আগে এক হোটেলে কাজ নেন।
অসাবধনতাবশত গরম তেলে তার চিকন বাম পা পুড়ে যায়। বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করিয়ে পোড়া পা সারিয়ে তুলতে ব্যর্থ হন তিনি। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বারদের সহায়তায় তিনি পঙ্গু তালিকাভুক্ত হন।
গত জুন মাসে আবুল কালাম পঙ্গু ভাতা নিতে সমাজসেবা অফিসে গেলে তৎকালীন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. সাজ্জাদ হোসেন তার পোড়া পা দেখে চিকিৎসার জন্য সমাজসেবা অধিদফতর থেকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা করে দেন।
পরবর্তীতে সমাজসেবা অফিসার বরাদ্দকৃত টাকার চেক প্রদানের জন্য অফিস সহকারী আতাউর রহমানকে নির্দেশ দেন। কিন্তু আতাউর রহমান ১০ হাজার টাকা চেক দেয়ার জন্য পঙ্গু কালামের কাছে ঘুষ দাবি করেন।
অফিস সহকারীর ঘুষের টাকা না দেয়ায় গত ৬ মাসেও অনুদানের টাকা হাতে পাননি অসহায় কালাম। বিষয়টি তিনি স্থানীয় সংবাদকর্মীদের জানালে আতাউর ক্ষিপ্ত হন এবং পঙ্গু কালামকে অনুদান দূরের কথা পঙ্গুভাতা বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেন।
এ ব্যাপারে মুলাদী সমাজসেবা অফিসের সহকারী মো. আতাউর রহমান বলেন, আবুল কালামের নামে অনুদান বরাদ্দ আছে কিনা ফাইল ঘেটে দেখা হয়নি। তাই টাকা দেয়া যাচ্ছে না।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার উত্তম কুমার বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। তাই বিষয়টি আমার জানা নাই। খোঁজ নিয়ে কারও অবহেলা বা গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন