জীবন বাঁচাবে যে ওষুধ তার মেয়াদ নেই। মোড়কজাত ওজনে কম। মোড়কে খাদ্যপণ্য তৈরির তারিখ, মেয়াদ, সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (এমআরপি) না থাকা। এমআরপির বেশি দামে কোমল পানীয় বিক্রি। এসব অপরাধে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ৭টি প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
সোমবার (২০ নভেম্বর) অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় বন্দর, খুলশী, কোতোয়ালি ও আকবর শাহ থানা এলাকায় পৃথক তিনটি অভিযান পরিচালনা করে।
সহকারী পরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস আকবরশাহ থানা এলাকার দীপ মেডিসিন সেন্টারকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫১ ধারায় ২৫ হাজার, আবীর মেডিসিন সেন্টারকে একই অপরাধে ৩০ হাজার টাকা, জমজম ড্রিংকিং ওয়াটারকে ৪৩ ধারায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার বন্দর থানার মুসলিম বেকারিকে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রক্রিয়ায় খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন করায় একই আইনের ৪৩ ধারায় ৫০ হাজার, কোহিনূর বেকারিকে মোড়কজাত পণ্য বিধিমালা লঙ্ঘন করায় ৩৭ ধারায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান খুলশি ও কোতোয়ালি থানা এলাকায় তদারকি করেন। তিনি ভোক্তার লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে এমআরপির চেয়ে বেশি দামে কোমল পানীয় বিক্রি করায় সুইট কিংকে ৪০ ধারায় ১০ হাজার টাকা, প্রতিশ্রুত ওজনের চেয়ে কম থাকায় ৪৬ ধারায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ ছাড়া পিটসটপ সুইটস অ্যান্ড বেকারিকে পণ্যের মোড়কের গায়ে উৎপাদন, মেয়াদ মুদ্রিত না থাকায় ৩৭ ধারায় ৫০ হাজার টাকা, প্রতিশ্রুত ওজনের চেয়ে কম দেওয়া হয়েছে ভোক্তার এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৪৬ ধারায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয।
এক প্রশ্নের উত্তরে হাসানুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, এক প্রতিষ্ঠানের ৩০০ গ্রামের বেলা বিস্কুটের প্যাকেটে ৪০ গ্রাম কম পাওয়া গেছে। আরেকটি প্রতিষ্ঠানের ড্রাইকেকের প্যাকেটে ৪৫ গ্রাম কম পাওয়া গেছে।
ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণের জন্য অধিদপ্তরের নিয়মিত এ অভিযান চলবে বলে জানান তিনি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন