পুলিশের এক কনস্টেবলের দুঃসাহসিক অভিযানে দিনাজপুরের সীমান্ত উপজেলা বিরামপুরে ধরা পড়ল ভারত থেকে চোরাই পথে আসা ফেনসিডিলের একটি চালান।
তবে এ ব্যাপারে কেউ আটক হয়নি। আর এই দুঃসাহসিক অভিযানের জন্য পুলিশ সদস্য ফিরোজ আলমকে পুরস্কৃত করেছেন বিরামপুর থানার ওসি মোখলেছুর রহমান।
পুলিশ জানায়, সোমবার ভোরে বিরামপুর সীমান্তের ডাঙ্গাপাড়া এলাকা থেকে মাছের ড্রামবাহী একটি পিকআপে ফেনসিডিলের চালান বহনের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দিনাজপুর-ঢাকা মহাসড়কে তল্লাশি চালায় পুলিশ। বিরামপুর থানার ওসি মোখলেছুর রহমান ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (বিরামপুর সার্কেল) এএসএম হাফিজুর রহমান মহাসড়কের বিরামপুর দক্ষিণ রেলগেটে অবস্থান নেন।
সোমবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নীল ড্রামবাহী হলুদ রংয়ের পিকআপটি রেলগেট অতিক্রম কালে পুলিশকে দেখে দ্রুত পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের টহল দলের সদস্য কনস্টেবল ফিরোজ আলম জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পেছন থেকে ওই পিকআপে লাফিয়ে উঠে পড়লে পিকআপের ড্রাইভার এলোমেলোভাবে গাড়ি চালিয়ে তাকে ফেলে দেয়ার চেষ্টা করে।
এ সময়ে সিনিয়র এএসপি ও ওসিকে দেখে ফিরোজ চিৎকার করে বলেন, স্যার আমি পিকআপের উপরে, স্যার এই পিকআপকে আটক করেন।
অবস্থা বেগতিক বুঝে মির্জাপুর মোড়ে পিকআপ থামিয়ে চালক ও সঙ্গীরা দ্রুত সটকে পড়ে। অনুসরণকারী পুলিশ দল কনস্টেবল ফিরোজকে উদ্ধার ও পিকআপে মাছের ড্রাম থেকে ৫৮৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে।
সোমবার সকালে বিরামপুর থানায় সাংবাদিকদের ব্রিফিং দেয়ার সময় বিরামপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এএসএম হাফিজুর রহমানের উপস্থিতিতে থানার ওসি মোখলেছুর রহমান দুঃসাহসী কনস্টেবল ফিরোজ আলমকে দুই হাজার টাকা পুরস্কার দেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন