শহিদুল ইসলাম নামের দশ বছরের ছেলেটার রোববার (১৯ নভেম্বর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত থাকার কথা ছিল ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার হলে। এর বদলে তার সময় কেটেছে ঘরে বসে। পরীক্ষার আগেরদিন (শনিবার) মাছ চুরির অভিযোগ এনে তাকে বেদম মেরেছে প্রতিবেশি কয়েকজন। তাই যে হাতে পরীক্ষার খাতায় লেখার কথা ছিল, সে হাতে আজ প্রচণ্ড ব্যথা। শরীরের এখানে-ওখানে রক্ত জমাট বাধা কালচে দাগ।
শহিদুল ইসলাম কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের নুরীরপাড়া এলাকার নুরুল আজিমের ছেলে। সে পেকুয়ার এসএ সিনিয়র মাদ্রাসা থেকে এবার ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার্থী ছিল।
ছেলেকে মারধরের ঘটনায় পেকুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নুরুল আজিম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চিংড়ি ঘেরে থেকে মাছ চুরির অভিযোগে শনিবার সন্ধ্যায় শিশু শহিদুল ইসলামকে ধরে নিয়ে গিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে কয়েকজন প্রতিবেশি। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাই শিশুটি রোববার অনুষ্ঠিত প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনীর প্রথম ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে নি।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে বলেন, চিংড়ি ঘেরে চুরির অভিযোগে ওই শিশুকে মারধর করে প্রতিবেশিরা। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ছেলেটি মানসিকভাবে অনেকটা ভেঙে পড়েছে। মারধরের কারণে শিশুটি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে নি।
এ ঘটনায় এখনো কাউকে এখনও আটক করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান ওসি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন