বিজ্ঞানমনষ্ক মুক্তমনা প্রবাসী লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যার ঘটনায় জড়িত আরও একজন চার্জশিটভুক্ত আসামি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম (আনসারুল্লা বাংলা টিম) ইনটেলিজেন্স উইং এবং মিডিয়া উইং এর প্রধান মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগ। গ্রেফতারকৃতের সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার বলে জানা যায়।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে বিষয়টি ব্রেকিংনিউজকে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মো. মাসুদুর রহমান।
তিনি জানান, শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের একটি টিম রাজধানীর তুরাগ থানাধীন বাউনিয়া বাদালদি রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। সায়মন ‘জঙ্গির সাথে কথোপকথন’ ফেসবুক পেজ, বালাকট মিডিয়া, আল হিকমা মিডিয়া, অনুসন্ধিৎসু মিডিয়ার পরিচালনার দায়িত্বে ছিল।
গত ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি একুশে বই মেলায় কতিপয় সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত আমেরিকা প্রবাসী মুক্তমনা লেখক ব্লগার অভিজিৎ রায় ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যার উপর হামলা চালায়। উভয়কে নির্মমভাবে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অভিজিৎ রায় মৃত্যুবরণ করেন। অভিজিতের স্ত্রী চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বর্তমানে আমেরিকায় বসবাস করছেন।
গ্রেফতারকৃত আসামি মোজাম্মেল হুসাইন তার সংগঠনের অন্যান্য সহযোগীদের সহযোগিতায় অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। তারা বই মেলার স্থান রেকি করে অভিজিৎ রায়কে হত্যার উদ্দেশ্যে টার্গেট করে। ২৬ ফেব্রুযারি ২০১৫ তাদের রেকির উপর ভিত্তি করে সংগঠনের অপস শাখার লোকজন এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। সে সময় আসামি মোজাম্মেল হুসাইনসহ সহযোগী অন্যান্যরা অপস্ শাখার লোকদের চারপাশে গার্ড হিসাবে অবস্থান নেয়।
সায়মন আরও জানায়, তাদের সংগঠনের বড় ভাই (মেজর জিয়া) এর নির্দেশে এবং পরিচালনায় এ হত্যাকাণ্ডে তারা অংশগ্রহণ করেছিল। অভিজিৎ রায়ের হত্যাকারীদের ভিডিও ফুটেজে প্রকাশিত আসামিদের মধ্যে সে অন্যতম।
সে জুলহাস-তনয়, নিলয় ও দীপন হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছিল এবং আনসার আল ইসলাম এর সকল হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করতো বলেও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন