রাজধানীর অভিজাত থেকে ফুটপাত বেশিরভাগ হোটেলেই তৈরি হচ্ছে ভোজন রসিকদের প্রিয় খাবার কাবাব, ফালুদা। এসব খাবাবের অধিকাংশেই রয়েছে টাইফয়েডের জীবাণু। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে রোহিঙ্গাদের সেবায় ২১ দিন ও নিরাপদ খাদ্য' শীর্ষক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানিয়েছেন রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রোকন উদ-দৌলা।
তিনি বলেন, বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় পাওয়া গেছে, ঢাকায় যে কাবাব বা শিক কাবাব তৈরি হয় তার বেশিরভাগেই টাইফয়েড জীবাণু রয়েছে, যা খেয়ে আমরা প্রতিদিনই টাইফয়েডে আক্রান্ত হচ্ছি।
পুরান ঢাকার একটি অভিজাত খাবার হোটেলের ফালুদা খেয়ে অসুস্থ হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে রোকন উদ-দৌলা বলেন, একজন ক্রেতা বললেন ফালুদা খাওয়ার পর তার টাইফয়েড হয়েছে। আমি গোপনে গিয়ে হোটেলে ফালুদা বানানো হয় অর্থাৎ রান্নাঘরে গিয়ে দেখি মাছ বা মাংস সংরক্ষণের জন্য যে বরফ তৈরি করা হয়েছে ওই বরফ দিয়ে ফালুদা বানানো হচ্ছে। তাহলে কেন মানুষের টাইফয়েড হবে না?
তিনি বলেন, এটার চেয়ে আরেকটি বিপজ্জনক খবর হলো আমদানি হচ্ছে ভেজাল এলাচ (মসলা), যা আমি একজন প্রথম সারির রাজনীতিবিদের কাছে শুনেছি। ভিয়েতনাম থেকে একজন ব্যবসায়ী এলাচ আমদানি করছেন, যা নকল এলাচ। ১০-১২ কন্টেইনার এলাচ আনলে দেড় থেকে দুই কোটি টাকা লাভ হয়। বেশি লাভের আসায় এ এলাচ আমদানি করছেন।
এ বিষয়ে ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীরা বলছেন, এটি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে শিখেছেন। আমরা কখনও নকল করতাম না। আমরা যে নকল এলাচ দিচ্ছি তা আসল এলাচের চেয়ে দেখতে বেশি সুন্দর। ক্রেতারাও পছন্দ করে। কিন্তু আসলে এটা পুরোটাই বিষ। মানুষ কি খাবে। এটি খেলে প্রতিটা মানুষের ক্যান্সার হবে। কিডনি নষ্ট হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা সমিতি আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক)। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম, প্রধান বক্তা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রমুখ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন