বিশ্বখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ তারিক রামাদানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন সালাফি থেকে সেক্যুলার ও লিবারেল বনে যাওয়া ফরাসি নারীবাদী হেন্ডা আয়ারি।
প্রথম জীবনে সালাফিপন্থীর হেন্ডার অভিযোগের তীর ধরে আলোচনায় চলে এসেছেন তারিক রামাদান। অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনিও।
তারিক রামাদান ডটকম ওয়েবসাইটে তারিক রামাদানের যে সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে সেটি হলো-
তারিক রামাদান অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সমসাময়িক ইসলাম শিক্ষা পড়ান। তিনি অরিয়েন্টাল স্টাডিজ ও থিওলজি অ্যান্ড রিলিজিয়ন নামে দুটি অনুষদে পড়ান। এছাড়া অক্সফোর্ডের সেইন্ট এনটনি কলেজের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ও গভর্নিং বডি ফেলো। কাতারের হামাদ বিন খলিফা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ভিজিটিং প্রফেসর। তিনি জাপানের দোশিশা বিশ্ববিদ্যালয়েরও ভিজিটিং প্রফেসর। এছাড়া ইউরোপীয়ান মুসলিম নেটওয়ার্ক (ইএমএন) নামে একটি থিংক ট্যাংকের প্রেসিডেন্ট তারিক রামাদান। ইএমএন এর সদরদপ্তর ব্রাসেলসে অবস্থিত।
তারিক রামাদান জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন ও ফরাসি সাহিত্যে এমএ করেছেন। এছাড়া একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি ও ইসলামি শিক্ষায় পিএইচডি ডিগ্রিও নিয়েছেন।
মিশরের কায়রোর বিখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও ইসলামিক শিক্ষায় পাণ্ডিত্য অর্জন করেছেন। সেখান থেকে অন্তত সাতটি বিষয়ে শিক্ষাদান করার ‘ইজাজত বা অনুমোদন’ পেয়েছেন তিনি।
নিজের লেখনি ও বক্তৃতার মাধ্যমে পাশ্চাত্যে মুসলমান প্রশ্ন নিয়ে আলাপ এবং মুসলিম বিশ্বে ইসলামিক পুনর্জাগরণের ভূমিকা রাখছেন তারিক রামাদান।তার গবেষণা বিষয়ের মধ্যে আছে- ইসলামি আইন, রাজনীতি, নীতিবিদ্যা, সুফিজম এবং পাশ্চাত্য ও মুসলিম বিশ্বে সমসাময়িক বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতাসমূহ।
ইংরেজিতে তার যেসব বই পাওয়া যায় সেগুলো হচ্ছে- ‘ইসলাম: দ্য এশেনসিয়ালস্, দ্য অ্যারাব অ্যাওকেনিং: ইসলাম অ্যান্ড দ্য নিউ মিডল ইস্ট, হোয়াট আই বিলিভ ইত্যাদি।
তারিক রামাদান ১৯৬২ সালের ২৬ আগস্ট সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে একটি মিশরীয় পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা সাঈদ রামাদান এবং মা ওয়াফা আল বান্না। তারা মিশর থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিল। ওয়াফা আল বান্না ছিলেন মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতিষ্ঠাতা হাসান আল বান্নার বড় কন্যা।
হাসান আল বান্না ১৯২৮ সালে প্রতিষ্ঠিত মুসলিম ব্রাদারহুড মিশরসহ পুরো মধ্যপ্রাচ্যে একটি বড় ধর্মীয় আন্দোলন হিসেবে স্বীকৃত। মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতিষ্ঠাতা হাসান আল বান্নাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল।
ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থিত রাজনৈতিক দল থেকেই নির্বাচিত হয়েছিলেন। মিশরে সবচেয়ে প্রভাবশালী ধর্মীয় আন্দোলন হিসেবে পরিচিত মুসলিম ব্রাদারহুড।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন