ভারত থেকে গ্যাসঅয়েল আমদানি করতে ‘ভারত পেট্রোলিয়াম করপোরেশন লিমিটেড’ (বিপিসিএল)’র সাথে ১৫-বছর মেয়াদী চুক্তি সই করবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। বিষয়টির সাথে সরাসরি যুক্ত থাকা দুই কর্মকর্তা রয়টার্সকে একথা জানান।
কোন ভারতীয় সরবরাহকারীর সাথে এই প্রথম দীর্ঘমেয়াদী জ্বালানি চুক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এই চুক্তি অনুযায়ী মধ্যপ্রাচ্যে কোটার চেয়ে ব্যারেলপ্রতি ৫.৫০ ডলার বেশী মূল্য দিতে হবে বিপিসিকে। এটি দেশের দক্ষিণ-পূর্বের চট্টগ্রামের বন্দর দিয়ে আনা গ্যাসওয়েল কার্গো প্রিমিয়াম ২.২০ ডলারের দিগুণেরও বেশী বলে উল্লেখ করেছেন কর্মকর্তারা।
বিপিসি’র কর্মকর্তা জানান, আগামী ২২ অক্টোবর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের ঢাকা সফরকালে এই চুক্তি সই হবে।
বিপিসিএল’র মালিকানাধীন নুমালগড় শোধনাগার থেকে বছরে ২৫০,০০০ টন গ্যাসঅয়েল সরবরাহ করবে। প্রথম তিন বছরের জন্য এটি ভারতের তৈরি ১৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইনের মাধ্যমে বিপিসি’র উত্তরাঞ্চলীয় জ্বালানি ডিপোতে সরবরাহ করা হবে।
পাইপলাইন নির্মাণ শেষ হওয়ার পর চুক্তি কার্যকর হবে উল্লেখ করে এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন যে চাহিদা অনুসারে সরবরাহের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে। নুমালগড় শোধনাগার ইতিমধ্যে দেশের উত্তরাঞ্চলের জন্য বিপিসি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিপিসির জন্য অল্প পরিমাণ গ্যাসঅয়েল সরবরাহ করছে।
ভারতের আসাম রাজ্যে অবস্থিত শোধনাগারটি অক্টোবরে এবং ডিসেম্বরের মধ্যে রেলপথে ৫০০ পিপিএম সালফার সামগ্রীসহ ২২,০০০ টন গ্যাসঅয়েল সরবরাহ করবে বলে কর্মকর্তারা জানান।
তবে এটি কার্যকরভাবে সাশ্রয়ী হবে বলে মনে করেন ওই কর্মকর্তা। কারণ তা দেশের উত্তরাঞ্চলের ডিপোতে নিতে অতিরিক্ত পরিবহন খরচ বহন করতে হবে না।
২০১৬ সালের পর থেকে তিন মাস-মেয়াদি চুক্তির অধীনে বিপিসি তার প্রথম ব্যাচ তেল সরবরাহ সরবারহ এই মাসেই গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশ বছরে প্রায় ৩.২ মিলিয়ন টন ডিজেল ও ২.৫ মিলিয়ন টন জ্বালানি তেল জাহাজযোগে আমদানি করে। যেসব প্রতিষ্ঠান থেকে বাংলাদেশ তেল আমদানি করে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে কুয়েত পেট্রোলিয়াম করপোরেশন, মালয়েশিয়ার পেট্রোলিয়াম ন্যাশনাল বারহাদ, এমিরেটস ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি, ফিলিপাইন ন্যাশনাল অয়েল কো., ভিয়েতনামের পেট্রোলেক্স, থাইল্যান্ডের পিটিটি, ইন্দোনেশিয়ার বোমি সাইক পুসাকো এবং জেনহুয়া অয়েল।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন