বিএনপি সমর্থকদের দল, নেতাদের দল নয়!! ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণঃ ✔✔✔আব্দুর রহিম

লিখেছেন লিখেছেন নুর আয়শা আব্দুর রহিম ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০২:২২:৩৪ রাত



কেন বলছি বর্তমান এবং অতীত রাজনৈতিক ইতিহাস তাই বলেছে। সাধারণ সমর্থকরা যখনই ভোট দেয়ার সুযোগ পেয়েছে তখনই তারা তার সমর্থন ব্যালটের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে।



সাধারণ যারা সমর্থক তারা কেনো জীবন বিসর্জনের রাজনীতিতে জড়িত হবেন? বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় বিএনপির যারা রাজনৈতিক সুযোগ সুবিধা নিয়ে দম্ভভরে শষে বেড়িয়েছেন। তারা নিঃশব্দ নিঃসক্রিয়!! যারা সুবিধা ভোগ করেছেন তারা ৯৯% সুবিধার চকলেট চ্যাটে খেয়েছেন, খাচ্ছেন! তাদের ত্যাগের রাজনীতি শিখিয়ে দেয়া হয়নি। ভোগেই প্রকৃত সুখ, এটাই তাদের শিক্ষা!

বিএনপি সাংবাদিকও তৈরি করতে পারেননি!

এমন সাংবাদিক যারা জীবন বাজি রেখে সরকারের ভুলত্রুটি ও দূর্নীতি তুলে এনে এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট করবেন। দুর্নীতির রিপোর্ট পত্রিকায় প্রকাশিত না হলেতো স্বাভাবিকভাবেই বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের দুর্নীতির সূচক নিচে নামবে। ব্যতিক্রম ছিলো একমাত্র মাহমুদুর রহমান তাহার পত্রিকা ও তাহার কলমের সাহসী লেখা সরকারের ভুলত্রুটি গুলো যেমন দেখিয়ে দিয়েছে ঠিক তেমনি বিএনপির সাধারণ সাপোর্টারদের উজ্জীবিত করেছে। তবে দুঃখের বিষয়! একজন মাহমুদুর রহমানও বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় ঠিকে থাকতে পারেনি। অথচ বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় মন্ত্রী এমপিদের দুর্নীতির ফিরিস্তি প্রতিনিয়ত পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে। তবুও বিএনপির সময়ে মাহমুদুর রহমানের পরিনতি তেমন কাউকে ভোগ করতে হয়নি।

বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় একছত্র আধিপত্য আওয়ামীলীগের।

আগামীতে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় না গিয়ে যদি জাতীয়পার্টিও ক্ষমতায় যায় তা হলে বাংলাদেশ আবারো দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন অথবা তার আশেপাশে থাকবে। তার কারণ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস হচ্ছে উন্নয়ন! আর যে সরকার যতো বেশি উন্নয়ন করবে বা করেছে তার ততবেশী দুর্নীতি হবে এবং হয়েছে এটাই স্বভাবিক। আমি শুধু একটি বিষয় উল্লেখ করবো! রাস্তা পিচডালায় নিয়ে কয়েকটি উন্নয়নশীল দেশের খরচের তালিকা দেখেছি। তালিকায় সর্বোচ্চ খরচ বাংলাদেশর এবং রাস্তার মান সর্ব নিম্ন তাও বাংলাদেশের। বাঁশের ব্যবহারের কথা বলা অপ্রয়োজনীয়।

:বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তাদের কিছু নেতা নিজেদেরকে অতিরিক্ত সৎ প্রমাণ করতে গিয়ে R A B

গঠন করে নিজেদের দলের নিবেদিত প্রাণ গুলো নিঃশেষ করে দিয়েছেন ক্রসফায়ারের মাধ্যমে। কথায় আছে যারা জীবন নিতে জানে তারা জীবন দিতেও জানে। তাদেরকে যখন নির্মুল করা হলো তখন ফলপ্রসূ আন্দোলন আশা করা গবাদি পশুর যাবর কাটার মতোই! আমি বলছিনা একটি সন্ত্রাসী দল রাখতে হবে বিএনপিকে। বলছিঃ একটি সংগঠিত রাজনৈতিক শক্তির খুবই প্রয়োজন ছিলো। তাদেরকে দলে যোগদানের সময় দলের পক্ষ থেকে কিছু রাজনৈতিক নীতিমালা দেয়া উচিত ছিলো। দলের ভালো সময়ে এই তোমার কাজ, মন্দ সময়ে এই তোমার কাজ। সাংগঠনিক কাজ করতে গিয়ে তোমার এই ক্ষতি হলে তোমার জন্য এই!, ক্ষতি না হলে এই। এইসব নীতি নিয়ে মালা তৈরি করে না দিলে কেনো তারা অহেতুক নিজেদের সময় নষ্ট করবে?? আমার জানা মতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মাঠে যারা স্বকৃয় রাজনীতি করে তাদের সুস্পষ্ট নীতিমালা আছে। এবং তারা নীতিমালার কার্যকরীতা প্রয়োগ করে সুদৃতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। বিএনপি কেবলই সমর্থক নির্ভর দল!!

বর্তমান বাংলাদেশের পেক্ষাপটে শুধু জনসমর্থন নিয়েতো রাজনীতি করা সম্ভব নয়! জনসমর্থনকে ফোকাস করতে হলে প্রত্যেক জায়গায় যোগ্য নেতৃত্ব দরকার। যা বর্তমান বিএনপির মাঝে নেই। আমার মনে হয় কেন্দ্রীয় এবং আঞ্চলিক নেতাদের দুরত্বও আছে, আছে সমন্বয়হিীনতা! প্রথমসারির কয়েকজন নেতা ছাড়া বাকিরা সবাই যেনো হুজুগে! কালের আবর্তনে তা বারবার প্রমাণিত হয়েছে।

বিঃদ্রঃ- আমি বিএনপির কেউ নই।

বিএনপি দেশের বড় একটি রাজনৈতিক দল। জিয়াউর রহমান দেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট ছিলেন, বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়েছে, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে। তাদের হাত ধরে কিছু আঙ্গুল কলা গাছ হয়েছে। কিছু কলা গাছ কেচুর খাবার হয়ে ধ্বংস হয়েছে। সুতরাং নেতৃত্ব দিতে গেলে ভালো মন্দ সবই হয়। যা বর্তমান সময়ের নেতৃত্ব যারা দিচ্ছেন তাদের বেলায়ও দেখছি। তবে প্রত্যেকের একটি নিজস্বতা থাকা দরকার। সুস্পষ্ট অঙ্গীকার থাকা দরকার যাতে করে আগামী প্রজন্ম ভুল পথে পা না বাড়ায়। পরিতাপের বিষয় সেটা বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনুপস্থিত!

বিষয়: বিবিধ

১০৪১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

384822
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ দুপুর ০৩:৪৪
হতভাগা লিখেছেন : ঠিকই বলেছেন। বিএনপি নেতাদের দল হলে ২০১৪ এর নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ ৩ মাসের বেশী ক্ষমতায় থাকতে পারতো না । একই রকম নির্বাচন করে ১৫ই ফেব্রুয়ারী ১৯৯৬ তে জিতেও বিএনপি বাধ্য হয়েছিল আওয়ামী লীগের তত্ত্ববধায়ক সরকার পদ্ধতিকে মেনে নিতে । দেড় মাসও ক্ষমতায় থাকতে পারে নি।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ বিকাল ০৫:২৯
317394
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File