তথাকথিত বাল্যবিবাহ VS বেহায়া সভ্যতা

লিখেছেন লিখেছেন অন্ধকারের বাতি ৩১ আগস্ট, ২০১৪, ১০:৩৭:৩১ সকাল



আপনারা হয়তো অনেকে ভাবতে পারেন

এই, তরবারির আবার হলো কি?

.

আজ হঠাৎ বাল্য বিবাহ

নিয়া হেতে উঠে পড়ে লাগলো কেন??

আমি বলবো, হ্যা, আমার ধোর্যের বাঁধ

ভেঙ্গে যাচ্ছে তাই আজ এই লেখা।

.

তাও আপনারা বলবেন, কেন নিজের

টা নিজে করে নিলেই তো পার,

এখানে প্যচাল পারেন ক্যা???

.

.

আর আমি তখন বলব সমস্যাটা শুধু আমার

হলে আমি নিজেই এর সমাধা করতাম।

কিন্তু সমস্যা টা জাতীয়, তাই প্রচারের

উদ্যোগ নিতে হলো।

প্রথমে বাল্য বিবাহের দিকে যাই,

আমরা জানি আমাদের দেশ সহ

আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী মেয়েদের

বিয়ের সর্বনিনাম বয়স সীমা ১৮ বৎসর।

এবং পুরুষদের বেলায় তা ২১।

এই নিয়ম

করা হয়েছে জনসংখ্যা বৃদ্বিরোধ

এবং উপযুক্ত বয়সে সন্তান গ্রহন নিশ্চিৎ

করতে।

যার ফলে দেশের

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনে থাকবে এবং মাতৃ

মৃত্যহারর কমবে।

.

কিন্তু আমার চোট্র মাথায়

এটা ধরে না যে একটা প্রজ্ঞা দিয়ে কিভাবে মানুষের

যৌবনের চাহিদাকে বন্ধ করা যায়??

.

আসুন আগে বাড়ি, এবার আমার দ্বিতিয়

বিষয় হলো উপরোক্ত বিবাহ নিতি কতটুকু

বাস্তব!

প্রকৃতপক্ষে আমরা এই

নিতি পেয়েছি আন্তর্জাতীক

সংস্কৃতি বিনিময় প্রথার মাধ্যমে।

আর তা আমরা নিয়েছি খ্রিষ্টীয়

পশ্চিমা সংস্কৃতি হতে।

.

আমরা আজকে পশ্চিমা সংস্কুতির

দিকে তাকালে দেখতে পাই

বিয়ে বহির্ভুত নারি পুরুষের অবাধ

মেলামেশা, বেহায়াপনা,

পারিবারিক অশান্তি, অনিয়ন্ত্রিত

সমাজ ব্যবস্থা।

.

আজ তারা নানান রকম মরন

ব্যধিতে দিশেহারা, ক্যন্সার এইড্স সহ

বিভিন্ন জীবন ঘাতী রোগ তাদের

নিত্য সঙ্গী।

.

জনসংখ্যার স্বল্পতায় আজ

তারা দিশেহারা,

এখন তাদের সরকারগুলো তাগিত

দিচ্ছে তারা যেন বেশী করে সন্তান

জনন্ম দেয়!

.

অথচ

তারা তা করতে পাররছেনা বিভিন্ন

কারনে।

সর্বপরি তারা আজ এক অপচ্ছায়ার

কুপ্রভাহে অন্ধ!!

.

আমরা জাননি সেই শেয়ালের গল্প,

যে নিজেরর লেজ কেটে অন্যদের ও

তা কররতে অনুপ্রানিত করেছিল।

কিন্তু আমরা ভুলে গেছি আমাদের

নেতা, দি গ্রেট সালাদিনের ভবিষ্যত

বানী " তারা(খ্রিষ্টানেরা)

তোমাদের সাথে সম্মুখ যুদ্বে অংশগ্রহন

করবে না, তারা তোমাদের

সাথে বন্ধুত্বের চুক্তি করে আর

সংস্কৃতি বিনিময়ের নামে তোমাদের

চরিত্র নষ্ট করে তাদের

গোলামে পরিনত করবে".

.

আজ তারা তাই করছে, এবং আজ

তারা সফল!!

আমরা বাল্যবিবাহের দোহাই

দিয়ে আমাদের বিবাহ কে ত্বরান্বিত

করতে পেরেছি কিন্তু আমাদের যৌবন

তে সুপথে নিতে পারি নি।

.

আজকে ঢাকা শহর সহ সারাদেশের

খোলা রাস্তায়

ছেলে মেয়ে জড়াজড়ি করে হাটে,

আমরা তা দেখে স্বস্তি বোধ করি কারন

তারা বন্ধু। নারি পুররুষের দূরত্ত্ব কমছে!!

.

অনেকে হয়তো এদের দেখে ধিক্কার

দেন মনে মনে। কিন্তু তা অপ্রকাশিত!!

আপনি কিচু বলতে গেলে আপনি হবেন

মৌলবাদী জঙ্গী!!

.

আজ কোন ছেলে যখন কোন

মেয়েকে দেখে টাক

মারে জিহব্বা দিয়ে। সে হয় ইবটিজার।

কিন্তু কোন মেয়ে যখন পাতলা টপস পরে,

টাইট গেঞ্জি পরে শরিরের

ভাজগুলো প্রদর্শন করে বেড়ায়, সে হয়

প্রতিবাদী নারীর মডেল!!!

.

যদি কোন আলেম তার সামর্থ

অনুযায়ী ইসলামের নিয়ম মানতে যায়

সে হয়ে যায় সবার

চোঁখে ফতোয়াবাদী, সে হয়

আন্তর্জাতীক জঙ্গী গোষ্ঠির রুকন।

তার শাস্তি হয় সুপ্রিম কোর্টে ডাকঢোল

পিটিয়ে

।।

সংবাদ সংস্থা গুলো এই ধরনের সংবাদ

লুটে নেয়, অথচ সেই সংবাদ

সংস্থা ফলাও করে, গর্বের সাথে প্রচার

করে সেই অবকাশ কেন্দ্রের কথা,

যেগুলোতে অবাধে হরন

করা হচ্ছে নারির মূলবান সম্পত্তি, ইজ্জত

আব্রু!

অথচ সেখানে বাঁধা দেয়ার বললে সচাই

বাহবা দিতে ব্যস্ত!!!

.

কোন কন্যাদায়গ্রস্ত কিংবা যুবকের

পিতা যদি যৌবনের শুরুতে তার সন্তান

কে পাপ কাজ হতে তূরে রাখার

তাগিদে বিয়ে দেয়।

তখন আমরা সকলে তার দিকে আঙ্গুল

দেখিয়ে বলি, ছি ছি ছি ছি ছি!!!

অথচ আমরা নিজের সন্তান

কে স্বাধীনতার দোহাই

দিয়ে অসামামাজিক কাজে উৎসাহ

দিতে লজ্জা বোধ করি!!

.

.

আমার স্বল্প জ্ঞানে এর

চেয়ে বেশী বলা অনেকে হয়তো যুক্তিসঙ্গত

মনে নাও করতে পারেন।

শুধু আপনাদের সব্য সমাজের বিবেকের

কাছে আমার প্রশ্ন,

ধর্মের পরে অন্তত উপরের

সুবিধা অসুবিধা বিবেচনা বরে আপনি কি গ্রহন

করবেন??

তথাকথিত বাল্যবিবাহ?? নাকি সভতার

নামে বেহায়াপনা???????

লিখা: তরবারি দি গ্রেট

বিষয়: বিবিধ

১২৯৭ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

259933
৩১ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১১:০৭
কাহাফ লিখেছেন : বাল্য বিবাহ কে আইনে পরিণত করা হোক, বেহায়াপনা কে নিষিদ্ধ করা হো।।
259943
৩১ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১১:২৪
বুড়া মিয়া লিখেছেন : এটা নিয়ে কি আমাদের দেশের বিশিষ্টরা শুধু শুধু চিল্লায়? ওদেরকে ডলার/ইউরো দেয়া হয় এসব চিল্লানোর প্রজেক্ট বানিয়ে, তার বিনিময়ে ওরা চিল্লায়! পশ্চিমা দেশগুলোয় ১৪/১৫ বছরের ছেলে-মেয়েগুলোকে যৌনতা থেকে না ফিরাতে পেরে এখন তারা প্ল্যান করতেছে ফ্রী-সেক্সের বয়স ১৪/১৫ তে নিয়া আসবে কি-না। আর আমাদেরগুলাকে এখনো ডলার-ইউরো পেয়ে এসব আজগুবী কথা-বার্তা বলতে শোনা যায়! অবশ্য বলবেই না বা কেন? তাদের সব কথাবার্তা আর কাজকর্ম তো ঐ ডলার-ইউরো এর জন্যই, ঐগুলা নিয়া আবার ওদের দেশে গিয়াই বাড়ী-গাড়ী করতে হবেতো ওদের, তাই দালালী করে যাচ্ছে, দেশ/জাতি ধ্বংস হলেই বা তাদের কি আসে আর যায়!
259944
৩১ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১১:৩১
হতভাগা লিখেছেন : সহমত ।

কিন্তু অল্প বয়সে বিয়ে করলে বৌয়ের ভরনপোষন কিভাবে করবে যেখানে পাত্র সবে মাত্র অনার্সে ঢুকেছে এবং বের হতেই লাগবে ৪/৫ বছর?
৩১ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০১:৪৮
203787
নোমান২৯ লিখেছেন : আপনার বাবার জনসংখ্যা কয়জন ?
ধরি,মোট চারজন ।
এখন প্রশ্ন করি,যদি এই সংখ্যা যেকোন ভাবে পাঁচ হত তবে তিনি কি পঞ্চমজনকে খাওয়াতেন না ?
তাছাড়া,বাবা যদি তার মেয়েকে বিয়ে দেয় এবং ছেলেকে বিয়ে করায় তবে তো সমান সমান হয়ে যায় ।
আসলে আমরা সমস্যাগুলো সমাধান না করে বরং জিইয়ে রাখছি । ধন্যবাদ ভাইয়া ।
৩১ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০২:৪৪
203819
হতভাগা লিখেছেন : কোন বাবার যদি শুধু ৫ জনই মেয়ে থাকে এবং সে যদি তার ৫ জন মেয়েকে একই ফ্যামিলির ৫ জন ছেলের সাথে বিয়ে দেয় যাদেরও শুধু ছেলেই আছে ও তাদের বয়স ১৮-২৩ এর মধ্যে - তাহলে ছেলের বাবার ব্যাপারে কি মিসাল যেখানে তার ৫ ছেলেই এখনও পড়াশুনা করছে ?
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:১৪
204223
নোমান২৯ লিখেছেন : ভাইয়া|আপনি যখন আমেরিকার কোন বীচে যাবেন তখন কি দেখতে পাবেন ?তা আপনার কাছে অস্বাভাবিক লাগবে|কিন্তু ওদের কাছে তা স্বাভাবিক|
এখন আসি আপনার প্রশ্নে|এমন অনেক দম্পতি আছে যাদের ছেলেমেয়ে নেই।আবার এমনও আছে যাদের ছেলেমেয়ে ১০জন|কি নাই কি ?আছে| আমাদের ওখানে এক মায়ের বিশতম জন বেঁচে আছে|বাকি সব মারা গেছে(৪৫ বছর আগের কথা)|
যা হোক,আমরা যদি অবাধ মেলামেশা,যৌনতা ইত্যাদির সমাধানকল্পে তারাতারি ছেলেমেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করি তখন সেটা রীতি হয়ে দাঁড়াবে|এবং তা তখন আপনার কাছে আমেরিকান বীচে যাওয়ার পর সৃষ্ট অনুভুতির বিপরীত অনুভুতি জাগাবে|ধন্যবাদ|
Winking Winking
260013
৩১ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০১:৪৯
নোমান২৯ লিখেছেন : সহমত । আপনার সাথে ।
260041
৩১ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০৩:০১
অন্ধকারের বাতি লিখেছেন : Je jai boluk,+ - er bevosta allah e korecen.apni jodi poshon na korte paren to, Tini nished korecen tokhon songom na korar jonno,jokhon korle bacca hobe.

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File