ট্রিনিটি এবং ক্রিসমার্সের ২০,০০০ হাজার পাতার ইতিহাস [বড় পোস্ট]

লিখেছেন লিখেছেন চিলেকোঠার সেপাই ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১১:৩২:২৫ সকাল

না জেনে না বুঝে অন্ধ অনুকরণ করার অর্থ ব্যক্তিত্বহিনতা, জ্ঞানগত এবং মানসিক দৈন্যতা। তাই মেরি ক্রিসমার্স বলার আগে আমাদের এ সম্পর্কে অল্পকিছু হলেও জানা উচিত।

খৃষ্ঠধর্মের ইতিহাসে অনান্য ধর্মের মত বেশ কিছু বড় বড় মোড় আছে। জিসাস [PBUH] এর পরে সেন্ট পল খৃষ্ঠধর্মের সবচেয়ে প্রভাবশালি ব্যক্তি। সেন্ট পল খৃষ্ঠধর্মে বেশ কিছু সংস্কার আনেন। সেন্ট পলের পরে খৃষ্ঠধর্মে বেশ কিছু ধারা চালু হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালি ধারা ছিল পলিন ধারা। এছাড়া ছিল বারনাবাস ধারা। সেন্ট পলের মূল কথা ছিল, জিসাস এসেছেন পূর্বের সব আইন বন্ধ করতে।

তখনো ট্রিনিটির ধারনা ছিল না খৃষ্ঠধর্মে। পলিন খ্রিষ্টয়ানিটিতে ট্রিনিটি ধরনাটি দ্বিতীয় শতাব্দীর শেষের দশকে চালু হয়। সেন্ট আগস্টিন এবং সেন্ট টেরটোলিয়ান ট্রিনিটি ধারনা প্রতিষ্ঠার পেছনে সবচেয়ে প্রভাবশালি ব্যক্তিত্ব হিসেবে ধরা হয়। ক্রমেই পলিন খ্রিষ্টয়ানিটি সবচেয়ে প্রভাবশালী ধারায় পরিণত হয়। ইতিমধ্যে রোমান সম্রাট কন্টাসটাইন খৃষ্ঠধর্ম গ্রহণ করেন। কন্টাসটাইন খৃষ্ঠধর্মের একতা রক্ষার্থে সব কার্ডিনালদের [কার্ডিনাল-খ্রিষ্টান ধর্ম যাজকদের সবচেয়ে উঁচু পদ] নিয়ে একটি সম্মেলন করেন [এটা হয় তৃতীয় শতাব্দীতে]। এই সম্মেলন ঐতিহাসিক নাইসির সম্মেলন নামে পরিচিত।

এই সম্মেলনের বেশিরভাগ কার্ডিনাল পলিন খ্রিষ্টয়ানিটিকে খৃষ্ঠধর্মের বিশুদ্ধতম রুপ হিসেবে মত দেন। তবে সবাই নয়। সেন্ট আরিয়াস এর প্রবল বিরোধিতা করেন [নোট- আরিয়াস ট্রিনিটি মতবাদে বিশ্বাসি ছিলেন না। ৭ম শতাব্দীতে ব্রাজেন্টাইন সাম্রাজের ঐতিহাসিক এবং থিয়োলজিয়ান সাপতায়াজ ভি “ইসলামকে” অভিহিত করেন “আরিয়াস খৃষ্ঠিনিয়াটি” এর পরবর্তি রুপ হিসেবে- Continuation of Arious Christianity ]। আরিয়াসের বিরোধিতা প্রবল মতের সামনে টেকে না। সম্মেলন সংখ্যা গরিষ্ঠায় পলিন খ্রিষ্টয়ানিটিকে খৃষ্ঠধর্মের একক রুপ হিসেবে গ্রহন করে।

সম্রাট কন্টাসটাইন অন্য সব ধারার যাবতীয় লিটারেচারকে নষ্ট করার আদেশ দেন। আরিয়াস নাইসির থেকে পালিয়ে সিরিয়ার দিকে চলে যান। তাকে আর পাওয়া যায়নি। এবং ট্রিনিটি খৃষ্ঠ ধর্ম বিশ্বাসের একটি মৌলিক উপাদানে পরিনিত হয়।

ট্রিনিটি অর্থ ঈশ্বরের তিনটি রুপ। পিতা, পুএ ও পবিএ আত্না। পবিএ আত্নার স্পর্শে ডিসেম্বারের ২৫ তারিখ এ জিসাস [PBUH] কুমারি মা মেরির গর্ভে জন্ম গ্রহন করেন। জিসাস হলেন ঈশ্বরের পুএ। এবং তিনিই হলেন ঈশ্বর। তাই ২৫ ডিসেম্বর খৃষ্ঠধর্ম বিশ্বাসিরা ক্রিসমাস ডে বা বড় দিন হিসাবে পালন করে থাকে। বলা বাহুল্য জিসাসের জন্ম ২৫ ডিসেম্বর হয়েছিলো কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট মতভেদ খোদ খৃষ্টানদের মধ্যেই রয়েছে। কেউ কেউ মনে করে জন্মদিন জুলাই মাসের চার তারিখ, কেউ বলেন নভেম্বর ১৮, কেউ বলেন মার্চ ২৮, কেউ সেপ্টেমবর ১১। এই ২৫ ডিসেম্বরের মত বেশ দুর্বল। তিনি শীতকালে না, গরমকালে জন্মনেন এই মত শক্তিশালী বেশি। কারণ বাইবেলে উল্লেখ আছে, গসপেল অব লুক [২:৯:৮],

“জিসাস জন্মের সময় একদল মেষ পালক তাদের ভেড়ার পাল নিয়ে বেথেলহামের পাশেই ছিল। একজন ফেরেশতা তাদের কাছে গিয়ে জিসাসের জন্মের সুখবর দেন”।

ফিলিস্তিনে শীতকালে রাতে কেউ ভেড়ার পাল বাইরে রাখে না। বাইবেলের নিউ টেস্টামেন্টে জিসাস [PBUH] এর জন্ম তারিখ সম্পর্কে কোন তথ্য নেই। ইতিহাসে জিসাসের প্রথম জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর হিসেবে পালন করা হয় ৩৩৬ সালে। সেই সম্রাট কন্টাসটাইনের সময়ে। তারও কয়েক বছর পরে পোপ জুলিয়াস ২৫ ডিসেম্বরকে জিসাস [PBUH] এর জন্ম তারিখ বলে ঘোষণা করে।

আসলে প্রাচীন ইউরোপের প্যাগানরা ডিসেম্বরের শেষের দিকে অনেক আগে থেকেই বেশ কয়েকটা উৎসব প্রচলিত ছিল। উত্তর গোলার্ধ ২২ ডিসেম্বর সবচেয়ে ছোট দিন এবং বড় রাত। তারা ভাবতো, সূর্য দেবতার অসুখ হয়েছে। তারা উৎসব পালন করতো যেন সূর্য আবার সুস্থ হয় উঠে তারাতারি। সবুজ গাছের ডাল ছিল সে উৎসবের প্রধান অনুষঙ্গ। সবুজ ডাল মনে করিয়ে দিতো, আবার সূর্য আলো দেবে। তুষার কেটে সুবুজে ভরে যাবে। [ক্রিসমার্স ট্রি এই উৎসব থেকেই নেওয়া]।

স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশগুলোতে এই সময়ে শীতকালে খাবার জন্য প্রচুর প্রাণী জবেহ করে মাংস সংরক্ষণ করা হতো। বছরের এই সময়ে তারা ফ্রেস মাংস পেতো। এই সময়েই ওয়াইন এবং বিয়ার ফ্রাগমেন্ট হয়ে খাবার উপযোগী হতো।

জার্মান প্যাগানরা তাদের প্রাচীন দেবতা ওডেনের উপাসনা করে উৎসব করতো এই সময়েই।

এ সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎসব ছিল রোমে। ১৭ থেকে ২৫ ডিসেম্বর, এক সপ্তাহব্যাপী এই উৎসবের নাম ছিল সাটুরনালিয়া [Saturnalia]। এটা ছিল রোমের সবচেয়ে বড় উৎসব। প্যাগান রোমানদের এগ্রিকালচারের দেবতা স্যাটান এর সম্মানে ছিল এই উৎসব। ইউরোপের সব প্যাগানদের খৃষ্ঠধর্মের অধীনে একত্রিত করতে কন্টাসটাইনের একটা কমন উৎসবের দরকার ছিলো। তাই কন্টাসটাইন ইউরোপের সব প্যাগানদের উৎসবের দিন বিবেচনা করে সাটুরনালিয়ার শেষদিনকে জিসাস [PBUH] এর জন্মদিন হিসেবে ঘোষণা করে। ক্রিসমাসের সাথে জরিত সব কিছু যেমন ক্রিসমাস ট্রি, সান্তাক্লজ, ক্রিসমাস গিফট সবই বিভিন্ন প্যাগান উৎসব থেকে গ্রহন করা।

কন্টাসটাইনের খৃষ্ঠধর্ম গ্রহনের ব্যাপারে অনেকগুলো মত প্রচলিত। এর মধ্যে একটা শক্তিশালী মত হল রাজনীতি। কন্টাসটাইন খৃষ্ঠধর্ম গ্রহন করেছিলো রোমান সম্রাজ্যের একতা টিকিয়ে রাখতে এবং নিজের ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করতে। খৃষ্ঠধর্ম গ্রহন করে কন্টাসটাইন নিজেই দেবতা সেজে বসে। খ্রিষ্টয়ানিটিতে দুইটি বিখ্যাত অভিধার [Term] জন্ম হয় কন্টাসটাইনের খৃষ্ঠধর্ম গ্রহনের পরেই। এই দুইটা অভিধা হল, এক- Shadow of God, দুই- Representative of God. Shadow of God হল চার্চ এবং Representative of God হল সম্রাট। এই দুই অভিধা উদ্ভবের পেছনে কন্টাসটাইনের থিংক ট্যাংকের বড় ভূমিকা আছে বলে মনে করা হয়। কারন কন্টাসটাইনের খৃষ্ঠধর্ম গ্রহনের যে গল্প প্রচলিত আছে এবং কন্টাসটাইনের পরের কাজ এই মতকে সমর্থন করে। গল্পটা হল এমন এক রাতে কন্টাসটাইন স্বপ্ন দেখেন যে জিসাস এসে কন্টাসটাইনকে আদেশ দিচ্ছেন খৃষ্ঠধর্ম গ্রহন করতে। ধর্ম গ্রহনের পরে, কন্টাসটাইন খৃষ্ঠধর্ম মতে কোন পদ পান না। কার্ডিনালদের কোন কনফারেন্সে অংশও নেননি। কিন্তু তারপরও তাকে চার্চের অভিভাবক ধরা হত। বলা হত তার সাথে স্বর্গীয় শক্তি এবং সাথী রয়েছে।

এই হল ট্রিনিটি এবং ক্রিসমাসের ২০,০০০ পাতার ইতিহাসে এক পাতায়।

এখন ট্রিনিটির ব্যাপারে ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গি কি?

ইসলাম এবং খৃষ্ঠধর্ম পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী দুইটি ধর্ম। এবং এই দুই ধর্ম বিশ্বাসের মধ্যে প্রচুর সাদৃশ্য রয়েছে। ইসলাম নিজেই নিজেকে খৃষ্ঠধর্মের পরের ধাপ হিসেবে বিবেচনা করে। তবে ট্রিনিটির ব্যপারে ইসলামের অবস্থান বেশ কঠিন এবং সুস্পষ্ট-

“তারা বলে, দয়াময় সন্তান গ্রহণ করেছেন। তোমরা তো এক বীভৎস কথার অবতারণা করেছ। এতে যেন আকাশসমূহ বিদির্ণ হয়ে যাবে, পৃথিবি খন্ড-বিখন্ড হবে ও পর্বতসমূহ চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে আপতিত হবে। যেহেতু তারা দয়াময়ের উপর সন্তান আরোপ করে। অথচ সন্তান গ্রহণ করা দয়াময়ের জন্য শোভনিয় নয়। আকাশসমূহে এবং পৃথিবিতে এমন কেউ নেই , যে দয়াময়ের নিকট উপস্থিত হবে না বান্দারূপে”। [সূরা মারিয়াম: ১৯,৮৮-৯৩]

ব্যাপারটা আরও পরিস্কার হতে আমাদের যেতে হবে পবিএ কুরানের ১১২ নম্বর সূরায়।

“বলুন আল্লাহ এক

আল্লাহ অমুখাপেক্ষী

তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি

এবং তার সমতুল্য কেউ নেই”। [সূরা ইখলাসঃ ১-৪]

“রাসূলুল্লাহ [সঃ] বলেছেন, যে কেউ কোন সম্প্রদায়ের সাদৃশ্যতা ধারন করলো, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত” [আবু দাউদ]

[তাদের উৎসবে যাওয়া, শুভেচ্ছা জানানো, তাদের সাথে সাদৃশ্যতা]

ইমাম ইবনুল কায়্যিম [রহ:] তার ‘আহকাম আহ্ল আল-দিম্মা’ গ্রন্থে বলেন,

“অবিশ্বাসীদের উৎসবে সম্ভাষণ জানানো মুসলিম ঐক্যমতের ভিত্তিতে নিষিদ্ধ”।

শায়খুল হাদিস ইমাম ইবনে তাইমিয়া [রহঃ] বলেন-

“অবিশ্বাসীদের উৎসবের নিদর্শন এমন কিছুতে অংশ নেয়া মুসলমানদের জন্য জায়েয নয়”। [সূত্রঃ মাজমু আল ফাতাওয়া- ২৯/১৯৩]

কিন্তু, ধর্ম যার যার উৎসব তো সবার!!

ধর্ম যার যার উৎসব সবার- এই কথাটা সোনার পাথর বাটির মত। মানে কল্পনায় আছে বাস্তবে নেই। ঈশ্বর প্রদও জীবন ব্যবস্থাই হল ধর্ম। আর উৎসব হল ধর্ম অনুসারে পাপ মোচনের আনন্দ অথবা ঈশ্বরের অনুগ্রহ পাওয়ার চেষ্টা। যদি বিশ্বাসই না থাকে, পাপ মোচনের ব্যাপার না থাকে, তাহলে আনন্দের প্রশ্ন আসে কীভাবে?

অন্য ধর্মের উৎসবের ব্যাপারে আমার অবস্থান হল “আমি তাদের সমর্থন করি লিগালি অর্থাৎ আইনগতভাবে। সব ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের ধর্ম পালন করবে। কাউকে জোর করা যাবে না। কাউকে বাঁধা দেওয়া যাবে না। কেউ যদি কারো ধর্ম পালনে কোনরূপ সমস্যা বা বাঁধার সৃষ্টি করে তাদের অবশ্যই শাস্তি দিতে হবে। তবে নৈতিক ভাবে আমি কোন ভাবেই এসব কাজ সমর্থন করি না। আমি মনে করি না এই কাজগুলো সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাছে গ্রহণযোগ্য। এই অনুষ্ঠান তাদের মোটেও স্বর্গের দিকে নেবে না বরং তাদের নরকে নিয়ে যাবে”।

এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল- আমি এটা আশা করি অন্য ধর্মের বিশ্বাসিরাও আমার বিশ্বাস নিয়ে এমন কিছু মনে করুক।

“ধর্ম যার যার, উৎসব সবার” এই কথাটি মূলত অজ্ঞেয়বাদ এবং নাস্তিকতাকে প্রমোট করে। একজন অজ্ঞেয়বাদি- তিনি ঈশ্বরের ব্যাপারে নিশ্চিত না, একজন নাস্তিক ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন না, সুতরাং সব ধর্মের উৎসবে তারা অংশ নিতেই পারেন। অংশ নিয়ে তারা এই বার্তা-ই দেন আসলে কোন ধর্ম-ই ঠিক না। কারন সকল ধর্মীয় বিশ্বাসে কিছু সাদৃশ্য থাকলেও, মৌলিক বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে বৈপরিত্য রয়েছে।

মানে, ধর্ম যার উৎসবও তার!

নোটঃ আমার লেখার তথ্যসূত্র কোনটিই কোন মুসলিম লেখকদের না। সবই বাইবেল, বিখ্যাত খৃষ্টান বিশেষজ্ঞ ও খৃষ্টানদের পরিচালিত বিখ্যাত ওয়েব সাইট থেকে নেওয়া।

রেফারেন্সঃ

Bible- New International Version

https://plato.stanford.edu/entries/trinity/

http://www.simpletoremember.com/vitals/Christmas_TheRealStory.htm

http://www.history.com/topics/christmas/history-of-christmas

http://www.history.com/topics/christmas/history-of-christmas-trees

http://www.bbc.co.uk/history/ancient/romans/christianityromanempire_article_01.shtml#five

http://history-world.org/christianity%20conversion_of_constantine.htm

https://www.christianhistoryinstitute.org/study/module/constantine/

বিষয়: বিবিধ

১২০৪ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

380893
২৫ ডিসেম্বর ২০১৬ সকাল ১১:৫৫
তবুওআশাবা্দী লিখেছেন : খুব ইনফোরমেটিভ আর সুন্দর হয়েছে আপনার লেখা | কনস্টান্টিনের নাইসিয়ার সম্মেলনের পেছনে রাজনীতিও ছিল অনেকখানি|রাজ্যের ঐক্য রাখতে তার একক একটি খ্রিস্টান ধর্মের দরকার ছিল|এই রাজনীতির ব্যাপারটা আরো একটু আসতে পারতো আপনার লেখায়| অনেক ধন্যবাদ|
২৫ ডিসেম্বর ২০১৬ দুপুর ১২:৫০
315132
চিলেকোঠার সেপাই লিখেছেন : ধন্যবাদ ভাই
380895
২৫ ডিসেম্বর ২০১৬ দুপুর ১২:৫০
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান। অনেক দারুন লেখা পড়লাম। আল্লাহ আপনার উপর রহম করুন
380903
২৬ ডিসেম্বর ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৪০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
380914
২৭ ডিসেম্বর ২০১৬ সকাল ০৬:১৯
তিমির মুস্তাফা লিখেছেন : ভাল লাগল ! একটু এডিট করলে আরও সুপাঠ্য হবে ! ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার- এই ‘বাণী’ কোন মহামানবের ? ছাগল শ্রেণীর ‘ফালতু কথাবার্তা কে প্রথমে বলেছে আর বাঁকিরা এর চর্বিত চর্বণ শুরু করেছে! গোড়ায় গলদ !

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File