ফিরছি অবাধ যৌনচারে !

লিখেছেন লিখেছেন রাজু আহমেদ ২৮ মে, ২০১৫, ১১:১২:০৪ সকাল

কড়া নোটিশ><বাচ্চারা চকলেট খেতে যাও ! [ জৈবিক চাহিদা অস্বীকার করার সাধ্য কোন সুস্থ নারী-পুরুষের নাই । তাই বলে স্বেচ্ছায় কিংবা জোড়পূর্বক অবাধ যৌনাচার জৈবিক চাহিদা মেটানোর মাধ্যম হতে পারেনা । সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া ধর্ষণ ও যৌন পাশবিকতা নিয়ে লিখিত আমার একটি কলাম ধারাবাহিকভাবে বন্ধুদের সমীপে উপস্থাপন করার প্রয়াস রাখছি । চার পর্বে এ লেখাটি দেওয়ার আশা রাখি। যেখানে পারিবারিক প্রথার আদি ধরণের পূর্ববর্তীরুপ থেকে বর্তমান পর‌্যন্ত এবং আমাদের ভবিষ্যত গতিবিধি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি । আশা করি আপনাদের খারাপ লাগবে তবে শেয়ার করে অন্যদের সচেতন করলে মন্দ হয়না ]

ফিরছি অবাধ যৌনাচারে !

আজ প্রথম কিস্তি

হোটেলে আপত্তিকর অবস্থায় শতাধিক তরুণ-তরুণী আটক, মাইক্রোবাসে তুলে তরুণীকে ধর্ষণ, বয়ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে গিয়ে বয়ফ্রেন্ড ও তার বন্ধুদের কর্তৃক রাতভর ধর্ষিতা তরুণী, দেবরের কুপ্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় প্রবাসী ভাইয়ের স্ত্রীকে বন্ধুদের নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ অতপর হত্যা, শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী ধর্ষণ, ভাইয়ের কাছে বোন ধর্ষিতা, বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে মাসের পর মাস তরুণীকে ধর্ষণ, শ্বশুড় কর্তৃক পুত্রবধুকে ধর্ষণ, বাবার কুদৃষ্টিতে থেকে রেহাই মেলেনি মেয়ের-এমন হাজারো লোমহর্ষক সংবাদে নিত্যাকার পত্রিকার পাতাগুলো ভরে যায় । এসব ঘৃণিত ঘটনার জন্ম দিয়ে মানুষ লজ্জিত না হলেও পত্রিকার বোবা পৃষ্ঠাগুলো এ ধরণের সংবাদ ধারণে ভারাক্রান্ত হয় । সভ্য দুনিয়ায় বসবাসের দাবীদার মানুষগুলো এমন কতিপয় জঘন্য শব্দ উচ্চারণে লজ্জা অনুভব করলেও সমাজের বিভিন্ন স্থানে অহরহ ঘটে চলেছে এমন সব ভয়াবহ, বর্বরোচিত ঘটনা । কালে-ভদ্রে ধর্ষণে অভিযুক্ত অপরাধী শাস্তির মুখোমুখি হলেও তা যেমন অপরাধের তুলনায় একেবারেই যথেষ্ট নয় তেমনি কোথাও অপরাধী থেকে যাচ্ছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে । আইনের ও নিয়মের দোহাই দিয়ে ধর্ষিতাকে কথার জালে আরও হাজার বার মানসিক ধর্ষণ করা হয় । পরিবার কিংবা সামাজের মানুষের দ্বারা বারবার ধর্ষিতা হয়েও কেউ কেউ লজ্জায় মুখ খুলতে পারে না কেননা বিচিত্র এই সমাজ ধর্ষককে সমাদার করলেও ধর্ষিতাকে পরিবার, সমাজ কিংবা রাষ্ট্রে ঠাঁই দিতে কুণ্ঠিত । ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিতের দাবী আদায়ের পরিবর্তে কেউ আবার ধর্ষণ কর্ম ঘটার কারণ উদঘাটনে ব্যস্ত । ধর্ষণের জন্য নারীর পোশাক কিংবা অঙ্গভঙ্গী দায়ী নাকি পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি-এ রহস্য উদঘাটন করতেই তাদের সব চেষ্টা-প্রচেষ্টা । ধর্ষণের প্রাথমিক কারণ অনুসন্ধান গুরুত্বপূর্ণ তবে মূল কারণগুলো স্পষ্টভাবে চিহ্নিত হওয়া সর্বাগ্রে প্রয়োজন । নারীর পোশাক কিংবা পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গির চেয়েও ধর্ষণ সংগঠিত হওয়ার অন্তরালে যে ভয়াবহ অবক্ষয় লুকিয়ে রয়েছে তা উদঘাটনের মানসিকতা অনেকের মধ্যেই অনুপস্থিত । ধর্ষণের মত একটি জঘন্য ও মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটিয়ে যখন কোন কোন অপরাধী বিভিন্ন ধরণের ব্যানারের আশ্রয় পায় তখন মানবতা ডুকরে কাঁদে । কয়েকবছর পূর্বে ভারতের দিল্লীতে চলন্ত বাসে ‘নির্ভয়া’ কান্ড ঘটার পর ধর্ষকের শাস্তির জন্য শুধু দিল্লী নয় বরং গোটা ভারত কেঁপে উঠেছিল । বিশ্ব মিডিয়া চড়াও করে সে খবর দিনের পর দিন প্রকাশ করেছে । এরপরেও ভারতে ধর্ষণের ঘটনা কমেনি বরং ধারাবাহিকভাবে ধর্ষণের অনেকগুলো ঘটনা ঘটে চলেছে । ভারতের এদেশস্থ সমালোচকরা তখন আড়চোখে মিটি মিটি হেসে ভারতকে ধর্ষকদের দেশ বলে তিরস্কার করেছে । যারা বাংলাদেশের নারীদের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে গর্ব করতাম তাদের মুখে কুলুপ আটার সময় বোধহয় উপস্থিত । ঢাকার মত জনাকীর্ণ শহরে প্রকাশ্যে রাস্তা থেকে মাইক্রোবাসে তুলে তরুণীকে ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটবে এমনটা কল্পনাতেও ছিল না অথচ ? ভারতের নির্ভয়া কান্ড আর ঢাকার আদিবাসী তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় পার্থক্য কোথায় ? দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যে সংখ্যক ধর্ষণ এবং সংশ্লিষ্ট সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকার পৃষ্ঠায় স্থান পায় তা সুস্থ মানুষকে আতঁকে দিতে যথেষ্ঠ । ধর্ষকরা যেহেতু পুরুষ গোত্রীয় তাই একজন পুরুষ হিসেবে এসব সংবাদ পাঠ করে লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে আসে ।

[বিশেষ নোটিশ : পাঠকের অপছন্দ অনুযায়ী আগামীর কোন এক মুহুর্তে তাদেরকে বিরক্ত করতে দ্বিতীয় পর্ব দেওয়া হবে ]

বিষয়: বিবিধ

৯৬৬ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

323018
২৮ মে ২০১৫ সকাল ১১:৪৩
হতভাগা লিখেছেন : বাংলাদেশের মসনদের শীর্ষে নারীরা আসীন সেই ১৯৯১ থেকে ।কি সরকারি দল , কি বিরোধী দল - সবখানেই তারা প্রধান। আর এই সময়েই কি না নারী নির্যাতন রেকর্ড ভেঙ্গে দিচ্ছে প্রতি নিয়ত ?

একজন নারী কি আরেকজন নারীর দুঃখ অনুভব করতে পারে না ?

নারী শাসকরা কি পারেন না তাদের স্বজাতির এই হেনস্তা দূর করতে ?

নারীরা কি তাদের স্বজাতি শাসকদের দিয়ে এসব থামাতে ব্যবস্থা করাতে পারে না ?

পারবে না , এটা কোনকালেই হয় না , হবেও না । কারণ নারীদের চাওয়া শুধুই পুরুষদের কাছে এবং পুরুষদের কাছ থেকেই পেতে তারা জোর করে , পছন্দ করে । কোন নারীকে দেখেছেন কোন নারীর জন্য বাসে সিট ছেড়ে দিতে ?

নারীর দুঃখ নারীই বুঝে - এটা যতই মুখে বলা হোক না কেন বাস্তবতা সম্পূর্ন উল্টো । নারীকে দুঃখ দিলেও এই পুরুষেরাই নারীর কষ্ট লাঘবে কার্যকর ব্যবস্থা নেয় । নারীরা নয় ।
২৮ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪৪
264351
শেখের পোলা লিখেছেন : নারী নেত্রীরা এটাকে নারীদের প্রশিক্ষন হিসেবে দেখছেন৷ কেননা তারা নারী পুরুের মাঝে তফাৎ দেখেননা, তাই অচিরেই নারীরা পুরুষকে ধর্ষণ করে সমতা আনয়ন করবে৷
323041
২৮ মে ২০১৫ দুপুর ০২:১৬
মিরু লিখেছেন : যখন হতে নারী পুরুষের কে তাদে উন্নতির গন্তব্য মনে করেছে
তখন হতেই তাদের লান্চনা বারতে চলেছে।।
323132
২৮ মে ২০১৫ রাত ১০:১৮
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সমস্যাটা শুধু পুরুষ কেন্দ্রিক না। সমাজ কেন্দ্রিক। এখানে বিয়ে কঠিন। বিয়ে করা বউ নিয়ে শহরে সংসার করা অসম্ভব। অথচ ঢাকা ছাড়া অন্য বড় শহরগুলির বিশেষ উন্নতি নাই।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File