খালেদা জিয়ার প্রস্তাবিত সরকারের রূপরেখায় নাখোশ হয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

লিখেছেন লিখেছেন হোসাইন ব্লগ ২৩ অক্টোবর, ২০১৩, ০৩:৪৬:৩৩ দুপুর

ঢাকা: খালেদা জিয়ার প্রস্তাবিত

অন্তর্বর্তী সরকারের রূপরেখায়

নাখোশ হয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

প্রস্তাবে জামায়াতের মতামত

নেওয়া হয়নি বলে দল দু’টির

মধ্যে শুরু হয়েছে টানাপড়েন।

জামায়াতে ইসলামীর একাধিক

দায়িত্বশীল নেতার

সঙ্গে কথা বলে জামায়াতের এই

অসন্তুষ্টির কথা জানা গেছে।

জামায়াত নেতাদের দাবি,

খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলন ১৮

দলের পক্ষ থেকে করা হলেও

সেখানে জোটের অন্যতম শরিক

জামায়াতের কোনো পরামর্শ

বা মতামত নেয়নি বিএনপি।

এমনকি নেওয়া হয়নি জোটের

অন্যান্য শরিক দলগুলোর মতামতও।

খালেদা জিয়া সোমবার

নির্বাচনকালীন সরকার

নিয়ে যে প্রস্তাব দিয়েছেন তার

মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক

দেউলিয়াত্ব ও অপরিপক্কতার

প্রমাণ দিয়েছেন বলে অভিযোগ

জামায়াত নেতাদের।

জামায়াতের দাবি,

খালেদা জিয়া যে প্রস্তাব

দিয়েছেন তা নিয়ে কোনো হোমওয়ার্ক

করা হয়নি। মতামত

নেওয়া হয়নি জোটের।

এমনকি বিএনপির

নীতিনির্ধারণী মহলের বড়

একটি অংশও এই প্রস্তাবের

বিষয়ে জানতো না।

এটি অনেকটা গা বাঁচানো প্রস্তাব।

বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে

ধরাশায়ী করতেই এমন প্রস্তাব

দেওয়া হয়েছে।

বিএনপির প্রস্তাব অসাংবিধানিক

এবং গ্রহণযোগ্য নয় বলে এরই

মধ্যে আওয়ামী লীগ

প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। সুশীল

সমাজও এ ব্যাপারে মিশ্র

প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।

জামায়াত সূত্র জানায়, রোববার

রাতে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর

রূপরেখার

পাল্টা রূপরেখা দেওয়া হবে,

সেখানে জামাযাতের

প্রতিনিধিকে আসতে বলা হয়

বিএনপি’র পক্ষ থেকে। কিন্তু

পাল্টা রূপরেখায় কী আছে তার

একটি বাক্যও

জানানো হয়নি দলকে। এরকম

অসন্তুষ্ট থেকে খালেদার সংবাদ

সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার সিন্ধান্ত

নিলেও শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত

পাল্টায় জামায়াত। কারণ জোটের

অন্যান্য দল সম্মেলনে যাওয়ার

সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সৌজন্যবশত

হাজির হয় জামায়াতের

নায়েবে আমির নাজির আহমেদ।

জানা গেছে, শনিবার জাতির

উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ও

সর্বদলীয় সরকারের রূপরেখা দেওয়ার

আধা ঘণ্টার মধ্যে তা প্রত্যাখ্যান

করে বিবৃতি দেয় জামায়াত। কিন্তু

বিএনপি চেয়ারপারসনের

প্রস্তাবের ৫০ ঘণ্টা পর

তা মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের

প্রতি দায়সারা দাবি জানায়

দলটি।

জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত

সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম খান

সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন,

রাজনৈতিক সংকট নিরসনের জন্য

নির্বাচনকালীন সরকার

পদ্ধতি সম্বলিত যে প্রস্তাব

খালেদা জিয়া পেশ করেছেন

তা মেনে নিয়ে সব দলের

অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও

নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ সুগম

করুন।

খালেদা জিয়ার প্রস্তাবে দেশের

জনগণের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে উল্লেখ

করে নিজের দলের দায় এড়িয়ে যান

রফিকুল ইসলাম খান।

জামায়াত নেতাদের দাবি,

বিএনপির প্রস্তাব বর্তমান সময়ের

সঙ্গে কতটা যুক্তিসঙ্গত,

সাংবিধানিকভাবে তা গ্রহণযোগ্য

কিনা, উপদেষ্টাদের কতজন

মারা গেছেন, কতজন বেঁচে আছেন,

কারা বির্তকিত এসব

বিষয়ে কোনো গবেষণা ছিল

না প্রস্তাবে।

দলটির দাবি,

প্রস্তাবটি যদি জোট ও বিএনপির

শীর্ষ নেতাদের

সঙ্গে আলোচনা করে করা হতো তাহলে

এই কাঠামোর মধ্যেই

আরো ভালো প্রস্তাব দেওয়া সম্ভব

হতো যা সর্বজন গৃহীত হতো বলেও

জানায় জামায়াতের

নির্বাহী পরিষদের একজন সদস্য।

তিনি জানান, বিএনপি এখন

রাজনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ

আমলা নির্ভর হয়ে পড়েছে, তার

প্রমাণ মিললো।

তার দাবি, শুধু জামায়াত নয়,

স্বয়ং বিএনপির

নীতিনির্ধারণী অনেকেই এই

প্রস্তাবে সন্তুষ্ট নন।

এ প্রস্তাব নিয়ে সরকারের

সঙ্গে আলোচনা করে কোনো সমাধানে

আসা যাবে না বলেও মত দেন এই

জামায়াত নেতা।

জামায়াত সূত্রের দাবি, সরকার ও

বিরোধীদলের এসব প্রস্তাব শুধু

‘আইওয়াশ’ ছাড়া কিছু না।

বরং আওয়ামী লীগের

তৈরি করা জালে বন্দি হচ্ছে

বিএনপি।

চিঠি চালাচালি করে সময়ক্ষেপণ

করে আন্দোলন থেকে বিচ্যুত করার

যে যড়যন্ত্র, সেই

জালে আটকে পড়তে যাচ্ছে প্রধান

বিরোধী দল।

সরকার নিজ

উদ্যোগে কোনো সমঝোতায় না এলে এই

মুহূর্তে কোনো ধরনের সমঝোতায়

না যাওয়ার পক্ষে মত দেয়

জামায়াত। কিন্তু বিএনপির

একটি গ্রুপ

আন্দোলনে না গিয়ে সরকারের

সঙ্গে আঁতাত করছে বলে ক্ষোভ

প্রকাশ করেছেন জামায়াত নেতারা।

সরকারের

সঙ্গে আঁতাতকারী গ্রুপটি

বিএনপি থেকে জামায়াতকে আলাদা

করতে তৎপর। তারাই গুলশান

অফিসে বসে এমন হাস্যকর প্রস্তাব

তৈরি করেছে ---এমনটাই

দাবি মহানগর জামায়াতের

দায়িত্বশীল এক নেতার।

বিষয়: রাজনীতি

১১৬০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File