Walking For Chittagong কার্যক্রমে সিবিএফ’র সক্রিয় অংশগ্রহন (ছবিব্লগ)
লিখেছেন লিখেছেন সিবিএফ- চট্টগ্রাম ১৩ এপ্রিল, ২০১৪, ০৯:৪৯:১৮ সকাল
যদিও সিবিএফ কেন্দ্রিয় আহবায়ক ওয়াকিং ফর চিটাগং কার্যক্রমের সাথে আরো একমাস আগে থেকেই সক্রিয় ছিলেন তবে গত ৩রা এপ্রিল চট্টগ্রাম সিবিএফ মাসিক সভা ও মিটটুগেদার করে আনুষ্ঠানিক ভাবে ও:ফ:চি কে সমর্থন প্রদান করে । গতকাল চুড়ান্ত কার্যক্রমে শুরু থেকেই সিবিএফ চট্টগ্রাম পুরো কার্যক্রমে সক্রিয় থেকে সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করতে সক্ষম হয়।
ছবির মাধ্যমে দেখুন সিবিএফকে:
১)
২)
৩)
৪)
৫)
৬)
৭)
৮)
৯)
১০)
১১)
১২)
১৩)
১৪)
১৫)
১৬)
দু’বারের এভারেষ্ট বিজয়ী এম.এ.মুহিতের সঙ্গে সিবিএফ’র সদস্যবৃন্দ।
১৭)
সাধারন মানুষের উপস্থিতির একাংশ
১৮)
১৯)
২০)
২১)
ডিসিহিলে উপস্থিতির একাংশ:
২২)
বিষয়: বিবিধ
১৫৩১ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এখন আমরা ভাবতে পারি 'WALKING FOR BANGLADESH' নিয়ে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
নিজস্ব প্রতিবেদক
সকাল আটটা। বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারে কয়েকশ’ মানুষের জমায়েত। সবার হাতে রঙ-বেরঙয়ের ব্যানার-ফেস্টুন। কোন জাতীয় দিবস কিংবা রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়। চট্টগ্রামকে বাসযোগ্য ও বিশ্বমানের নগরী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মানুষকে সচেতন করতে এক ব্যতিক্রমধর্মী পথযাত্রার জন্যই এ প্রস্ত্ততি। চিটাগাং রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (সিআরআই) এর উদ্যোগে গতকাল শনিবার, পালিত হয় পদযাত্রা ‘ওয়াকিং ফর চিটাগাং’। সকাল আটটা দশ মিনিটে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয় পদযাত্রার। ‘ওমা ফাগুণে তোর আমের বনের গ্রাণে পাগল করে’-জাতীয় সংগীতের মধুর সুর ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। গলা ছেড়ে সবার সাথে জাতীয় সংগীতে কণ্ঠ মেলান দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা। এরপরই ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে শুরু হয় পথচলা। ‘নিয়ম মানব, অনিয়মের সংস্কৃতি ভাঙব’, ‘আমি ফিট, দেশ ফিট’, ‘পরিচ্ছন্ন থাকব বাসযোগ্য চট্টগ্রাম গড়ব’-এমন সব স্লোগান লেখা ব্যানার-ফেস্টুনে বর্ণিল রুপ নেয় পদযাত্রা। সময়ের সাথে সাথে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। নতুন নতুন ব্যক্তি ও সংগঠন যোগ দিতে থাকে পদযাত্রায়।
বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার থেকে শুরু হয়ে মুরাদপুর, ষোলশহর ২নং গেট, জিইসি মোড়, গোলপাহাড়, সার্সন রোড, আসকার দিঘির পাড়, জামালখান প্রেসক্লাব, চেরাগী পাহাড়, আন্দরকিল্লা, লালদীঘি হয়ে ডিসি হিলে গিয়ে শেষ হয় পদযাত্রা কর্মসূচি।
সিআরআই’র তিন শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী পদযাত্রার পথে পথে ময়লা-আবর্জনা অপসারণ কর্মসূচীতে অংশ নেন। তারা নিজেরাই রাস্তায় পড়ে থাকা ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করে ব্যাগে ভরে তা সিটি কর্পোরেশনের ট্রাকে তুলে দেন। ষোলশহর দু’নম্বর গেট এলাকায় আবর্জনা কর্মসূচিতে অংশ নেন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। তিনি বেলচা দিয়ে ২নং গেট এলাকার ডাস্টবিনের ময়লা আবর্জনা তুলে চসিকের ট্রাকে তুলে দেন।
প্রায় ১০ কিলোমিটারব্যাপী এ পদযাত্রায় কয়েক হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করে। সিআরআই’র প্রধান সমন্বয়ক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তণ ভিসি প্রফেসর আলমগীর মো. সিরাজ উদ্দিন, চবি শিক্ষক আবুল কাশেম ফজলুল হক ও মনজুরুল কিবরিয়া, ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর সৈয়দ হাশেমী, এভারেস্ট বিজয়ী এম এ মুহিত, দৈনিক আজাদীর পরিচালনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, বিএসআরএম এর চেয়ারম্যান আলী হোসেন আকবের আলীসহ বিশিষ্ট নাগরিকগণ এতে অংশ নেন।
ডিসি হিলে কর্মসূচি সমাপ্ত করার আগে কবিগান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সমাপনী বক্তব্যে ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, চট্টগ্রামকে বাসযোগ্য ও বিশ্বমানের নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে উন্নত নাগরিক সংস্কৃতির প্রচলন জরুরি। অযৌক্তিক দোষারোপ সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সমৃদ্ধ জাতি গঠন অপরিহার্য। চট্টগ্রামে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটলেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নেই। দায়িত্বরত সংস্থাসমূহের যেমন পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে তেমনি নাগরিক সমাজেরও এ বিষয়ে ব্যাপক সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি পরিচ্ছন্ন কাজে নিজেদের নিয়োজিত করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের আত্মতৃপ্তি নিয়ে বসে থাকার সুযোগ নেই। আমাদের অনেকদূর এগিয়ে যেতে হবে। চট্টগ্রামকে বাসযোগ্য করতে সচেতনতা কর্মসূচি ধারাবাহিকভাবে চলবে। এ কার্যক্রমের চট্টগ্রামের সবখানে ছড়িয়ে দিতে হবে।
আগামী শনিবার মতবিনিময় সভার মাধ্যমে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান হোসেন জিল্লুর। চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন পদযাত্রায় একাত্মতা প্রকাশ করে বিভিন্ন রোটারি ক্লাব, লায়ন্স ও লিও ক্লাব, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি, ডা. খাস্তগীর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম লেডিস ক্লাব, বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি, হালদা নদী রক্ষা কমিটি, নিরাপদ সড়ক চাই, চট্টগ্রাম মহানগর, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর আইটি ক্লাব, ইকো ক্লাব, ইকো ফেন্ডস, ইনেস্ট ক্লাব, রিহ্যাব, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, সেহের অটিজম সেন্টার, প্রত্যাশী, পূর্বাশার আলো, গ্রিন ফর পিস(চুয়েট), বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, চমেক সন্ধানী, রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, রক্তদাতা সংগঠন কণিকা, গ্রীন সাইক্লিস্ট ক্লাব, এডভেঞ্চার ক্লাব অব চিটাগং, কার্ডিকেয়ার ক্লিনিক, কাইটস ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ, শুকতারা সমাজকল্যাণমূলক সংগঠন, সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজ, আমিরবাগ রিক্রিয়েশন ক্লাব, চন্দনাইশ ছাত্র সমিতি, মেরিট বাংলাদেশ স্কুল এন্ড কলেজ, ফটিকছড়ি টাউন ক্লাব, ইকো ফেন্ডস চট্টগ্রাম কলেজ, কমিউনিটি ব্লগারস ফোরাম ছাড়াও আরো অনেক সংগঠন এতে অংশ নেয়।
ওয়াকিং ফর চিটাগং কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা করে- চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, ট্রাফিক পুলিশ বিভাগ-চট্টগ্রাম মহানগর, ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়, ডা. খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এনআইটি), চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাট্রিজ, চট্টগ্রাম লেডিস ক্লাব, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রত্যাশী, রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইম্যানের এইউডব্লিউ আইটি ক্লাব-ইকো ফ্রেন্ডস-ইনেক্ট ক্লাব, মেরিট বাংলাদেশ স্কুল এন্ড কলেজ, সন্ধানী- চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিট, নওজোয়ান, বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি, রিহাব, হালদা নদী রক্ষা কমিটি, আমরা চাটগাঁবাসী, চন্দনাইশ ছাত্র সমিতি, সেহের অটিজম সেন্টার, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা), কমিউনিটি ব্লগার্স ফোরাম, পূর্বাশার আলো, শুকতারা, ইকো ফ্রেন্ডস ইয়ুথ ফোরাম-চট্টগ্রাম কলেজ, কাইটস ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, গ্রীন ফর পীচ (চুয়েট), থ্যাঙ্কস, গ্রীন সাইক্লিস্ট ক্লাব, এডভেঞ্চার ক্লাব অব চিটাগং, ফটিকছড়ি টাউন ক্লাব, আমিরবাগ রিক্রিয়েশন ক্লাব, কার্ডিকেয়ার ক্লিনিক, চট্টগ্রাম টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশেন, রক্ত দাতা সংগঠন কণিক্বা, সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজ, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-চট্টগ্রাম মহানগর, প্রতিধ্বনি ফাউন্ডেশন ও রোটারি, লায়ন্স, লিও ক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।
একটি সুন্দর স্লোগান। বেশ ভাল লাগলো। সিবিএফ যেহেতু একটি নেশনওয়াইজ সংগঠন তাই এবার উদ্যেগ নিতে হবে সাড়া দেশের বিভিন্ন শহর ও নগরে এ ধরণের কর্মসূচীর উদ্যেগ নিয়ে মানুসকে সচেতন করার।
মন্তব্য করতে লগইন করুন