সিবিএফ চট্টগ্রাম কমিটির সভায়..Walking For Chittagong কে সমর্থন প্রদান
লিখেছেন লিখেছেন সিবিএফ- চট্টগ্রাম ০৪ এপ্রিল, ২০১৪, ১১:২৫:৫০ রাত
গত কালের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিবিএফ চট্টগ্রাম কমিটির সিক্রেট গ্রুপে একটি পোষ্ট দেয়া হয় আজ বিকাল ৪টায় চট্টগ্রাম ওয়ার সেমিট্রিতে সবাই একত্রিত হবে । কয়েক জনে দায়িত্বে নিয়ে পরস্পরকে মোবাইল করে প্রোগ্রামের কথা জানিয়ে দেয়া হল ।
আজ নির্ধারিত সময়ে কেন্দ্রিয় আহবায়ক এ.আর.বাহাদুর (বাহার) সবার আগে উপস্থিত হন। পরে একে একে অন্যান্য ব্লগারেরা আসতে শুরু করে ।
ওয়ার সেমিট্রি হচ্ছে ২য় বিশ্ব যুদ্ধের সময় নিহত সামরিক অফিসারদের সমাধীস্থান যা কমনওয়েলথ যুদ্ধ সমাধি কমিশন কর্তৃক সমাধিক্ষেত্র ও স্মৃতিশোধ তৈরী করেন এবং বর্তমানে এর রক্ষনাবেক্ষন করেন ।
ওয়ার সেমিট্রি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে, এরপর বন্ধ করে দেয়া হয় ।
হেটে হেটে সবাই চট্টেশ্বরী রোড হয়ে জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদ সংলগ্ন মাঠে চলে গেলেন।
ওখানে সভার ২য় পর্ব শুরু হয় । প্রানবন্ত আলোচনা হয় ।
প্রথমেই কেন্দ্রিয় আহবায়ক জনাব এ.আর.বাহাদুর বাহার কেন্দ্রিয় কমিটির কার্যক্রম সকলকে অবহিত করেন।
অত:পর নিম্নোক্ত কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
১. চট্টগ্রামে সিআরআই’র উদ্যোগে বিভিন্ন সামাজিক ও নাগরিক কমিটির সহযোগিতায় আগামী ১২ই এপ্রিল’১৪ইং শনিবারের ওয়াকিং ফর চিটাগং’’কে সিবিএফ’র পক্ষ থেকে পুর্ন সমর্থন ব্যক্ত করা হয় ।
২. প্রত্যেক ব্লগার ফেসবুকে ঢুকলে প্রথমেই সিবিএফ’র পেজে ঢুকে লাইক শেয়ার কমেন্ট করে তারপর অন্যান্য লিংকে ঢুকবেন।
৩. প্রত্যেকের ফেসবুকের বন্ধুদের থেকে ভাল মানের লেখকদেরকে ব্লগে লিখার উৎসাহ দিয়ে ব্লগার বৃদ্ধি করবেন ।
৪. দুরবর্তী মিলন মেলাটি কখন কোথায় হবে তা সিক্রেট গ্রুপে জানানো হবে।
পরিশেষে সিনিয়র ব্লগার ও চট্টগ্রাম সিবিএফ কমিটির উপদেষ্টা কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন শিকদার সবাইকে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেন ।
।
আজকের চট্টগ্রাম সিবিএফ এর প্রোগ্রামটি একটি নিউজ পোর্টাল নিউজ করেছে
http://www.newschittagong24.com/?p=25191
#সিটিজিনিউজ২৪ডটকম
http://ctgnews.com/14/28814.php
বিষয়: বিবিধ
১৮১২ বার পঠিত, ৩৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ছবিগুলির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
কিন্তু একটা বিষয় অত্যন্ত তায়াজ্জবের সাথেই লক্ষ্য করা যায় যে, বিশ্বযুদ্ধে জীবন দানকারী সোলজারদের কবরস্থানকে পর্যন্ত বিনোদোন স্পট আর উলঙ্গ বেহায়পনার উন্মুক্ত স্থানে পরিনত করা হয়েছে।
একজন মুসলমান হিসেবে ওখানে গিয়ে সামান্য কবর জিয়ারতের নিয়তে কিছু দোয়া দরুদ পড়বো সে পরিবেশটা পর্যন্ত যেখানে নেই। তথাকথিত আধুনিক ও প্রগতিশীলতার কুপ্রভাবে আক্রান্ত উদ্ভট পোষাকের নারীদের যেন অবাধ বিরণ ক্ষেত্র!
ওয়ার সেমিট্রি যারা নিয়ন্ত্রল করেন তাদের উদ্দেশ্য বললো- অন্তত এ জায়গাটিকে বিনোদনের স্পটে পরিনত না করে প্রকৃত অর্থেই যে একটি কবরস্থান যা প্রথম দর্শনেই একজন মানুষের পরকালের অনন্ত জীবনের প্রতি তার জবাবদিহিতার অনভুতি জাগ্রত হয় সে উদ্যেগ নেয়া উচিত।
এ কবরস্থানটিতে আমি জীবনে একবারই ঢুকেছিলাম। আমার কাছে মনে হয়েছে এখানে কবস্থানের গাম্ভীর্যতাপূর্ণ মানুষের অনন্ত জীবনকে স্মরণ করার চেয়েও বর্তমান জীবনের সামায়িক চিত্ব বিনোদনের অনুভুতিই সৃষ্টি করার পরিবেশ তৈরী করে রাখা হয়েছে।
এখানে আরেকটি কথা উল্লেখ করা দরকার আমার মেহমানদারীর আগে ব্লগার বিদ্রোহী নজরুল ভাইও আমাদের মেহমানদারী করিয়েছেন।
আর আমাকে লজ্জা না দিলেও মনে হয় সারতে পারতেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন