ঈদের জবাবদিহিতা

লিখেছেন লিখেছেন সুমাইয়া হাবীবা ১৯ জুন, ২০১৬, ০৯:৪৬:০৮ রাত

গতকাল সাধারন মানুষের কেনাকাটার জায়গা এমন একটি মার্কেটে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। খুবই ঘিঞ্জি এবং গরম। পথ চলতে খুবই কষ্ট। এরই মধ্যে কানে এলো আব্বা ঘড়িটা খুবই দরকার। আমি তাকালাম। ক্লাস ফোর বা ফাইভে পড়ুয়া একটি ছেলে। সাথে মা বাবা। আমি খুব আগ্রহ নিয়ে ওদের কথা শুনলাম।ছেলেটা দেখছে জুতা। বলছে ঘড়ির কথা। বাবা দরদাম করছে দোকানীর সাথে। ৩০০টাকার উপর বাবা যাবেনা। তারপর ছেলের দিকে তাকিয়ে বাবা বললো আব্বু, যে কোন একটা নিতে হবে। যে ঘড়ি পছন্দ করসিলা দুই তিনশোর নীচে দিবোনা। কোনটা নিবা জুতা না ঘড়ি। ছেলে দ্বিধান্বিত চোখে একবার মা তারপর বাবার দিকে তাকিয়ে বললো জুতাটাতো ভালোই আছে...!

আল্লাহ মানুষকে সামর্থ্যবান করেছেন, সচ্ছল করেছেন, ধনী করেছেন বেশি বেশি খরচ করার জন্য। তবে নিজের জন্য নয়। অপরের জন্য। ঈদুল ফিতর দান সাদকাহর উৎসব। বিলাসিতার নয়। আল্লাহর রাসূল (সা) ঈদের দিন সকালে মদীনার রাস্তায় রাস্তায় বাড়ী বাড়ী ঘুরতেন সাদকাহ কালেকশনের জন্য। বারবার বলতেন, সতর্ক করতেন বেশি বেশি দান সাদকাহ করার জন্য।

ঈদ এলেই শপিং ফরজ নয়। নতুন জামা জুতোও ফরজ নয়। আবার নেয়াটাও গুনাহ নয়। তবে একের অধিক এবং মাত্রাতিরিক্ত দামের জামা জুতো কেনার জবাবদিহি অবশ্যই আল্লাহর দরবারে করতে হবে। যখন একজন বাচ্চাকে ৩০০টাকার জুতা ও ঘড়ির মাঝে কোন একটিকে বেছে নিতে হয়।

বিষয়: বিবিধ

১৩৪২ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

372514
১৯ জুন ২০১৬ রাত ১০:১০
দ্য স্লেভ লিখেছেন : সত্যি ওই বাবা মার খারাপ লেগেছিলো। সমাজে বিরাট ধনী ও বিরাট গরিবের পরিমান বাড়ছে। অন্যের অবস্থা উপলব্ধী করার মানুষও উঠে যাচ্ছে।

আপনি বহুদিন পর ব্লগে আসলেন। জাজাকাল্লাহ। এই ঈদে আপনি একটা অজগর সাপের বাচ্চা কিনেন। বাড়ি নিষে পুষবেন। থাইল্যান্ডে বহু পরিবারে এটা একটা পোষা প্রানী। বাচ্চারা খেলা করে এটা নিয়ে। এরা বেশ শান্ত.....আপনার ভালো লাগবে,যেহেতু আপনি সাপখোপ পছন্দ করেন...
২০ জুন ২০১৬ সকাল ০৫:৫১
309302
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : ব্রাদার...আপনার স্বাগত জানানোর রীতিতে আমি ভয়ংকরভাবে মুগ্ধ। তবে আসলাম সাহেবকে স্মরন করেছিলাম আমি। উনি বোধহয় দেখেনইনি!!! আল্লাহর কাছে নাজাত চাই এই বলে যে আল্লাহ তুমি কবর ও জাহান্নাম থেকে রক্ষা করো উনাদের আবাস হবার কারনে। উনাদের আমি বিশেষ চোখে দেখি।
২০ জুন ২০১৬ সকাল ০৫:৫৪
309303
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : আল্লাহর কৃতজ্ঞতায় আজ থেকে আরো একটি বিষয় যোগ হলো। আমি থাইল্যান্ডে জন্মাইনি এবং বাসও করিনা। ভবিষ্যতে কেউ লাখ টাকা দিলেও যবো কিনা ভেবে দেখতে হবে। আপাতত উত্তর না ই হবে।
মানবতার কাজ ফরজে আইন হয়ে গেছে। দায়িত্ব বেড়ে গেছে সমাজ ঠিক করার। আল্লাহ সকলকে তাওফিক দিন।
372518
১৯ জুন ২০১৬ রাত ১০:২৯
শেখের পোলা লিখেছেন : অবশ্যই জবাবদেহী করতে হবে। কারো সন্তানের সাপ্তাহিক পকেট খরচ হাজার টাকা আর কারো সন্তান বৎসরে ছয়শো টাকাও পায়না। এটা প্রতি বাবা মায়ের জন্যই পরীক্ষা। অতএব ফেল করলে জবাব দিতেই হবে।আপনাকে ধন্যবাদ।
২০ জুন ২০১৬ সকাল ০৫:৫৬
309304
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : ধন্যবাদ। আল্লাহ সকলকে বুঝার ও যারা বোঝেন তাদের অন্যদের বোঝাবার তওফক দিন।
372534
১৯ জুন ২০১৬ রাত ১১:০১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ঈদের প্রকৃত আনন্দ এখন ভুলে গেছি আমরা। ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২০ জুন ২০১৬ সকাল ০৫:৫৬
309305
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : সেটাকেই ফিরিয়ে আনতে হবে। সবাইকে তৎপর হতে হবে। আল্লাহ তওফিক দিন।
372539
১৯ জুন ২০১৬ রাত ১১:১১
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : Really heart touching.
২০ জুন ২০১৬ সকাল ০৫:৫৯
309307
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : বর্তমানে মানবতার যে অবস্থা, মানুষের হার্টটাকে আরো বেশি টাচ করাতে হবে। আল্লাহ তাওফিক দিন। ধন্যবাদ।
২০ জুন ২০১৬ দুপুর ০১:২৯
309317
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : হ্যারে আপু। ঠিক বলেছেন
372554
২০ জুন ২০১৬ রাত ০৪:৩২
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আল্লাহ মানুষকে সামর্থ্যবান করেছেন, সচ্ছল করেছেন, ধনী করেছেন ভালো লাগলো ধন্যবাদ অনেক অনেক
২০ জুন ২০১৬ সকাল ০৫:৫৭
309306
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : লেখার উদ্দেশ্য হিদায়াতের দাওয়াহ। আল্লাহ সফল করুন উদ্দেশ্যকে। ধন্যবাদ।
372578
২০ জুন ২০১৬ দুপুর ০১:৫৫
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ আপি।
মা-শা আল্লাহ, সত্যিই এগুলো ভাবনার বিষয়, কেউ খরচের খাত পাচ্ছে না, তাই বারে গিয়ে মদ ও নর্তকীর আড্ডায় নিক্ষেপ করছে।

আবার কেউ নিজেদের প্রয়োজনটুকুও মেটানে পারছে না।

সবই আল্লাহ তায়ালার হিকমতে পরিপূর্ণ। আমরা হয়তো এ ব্যাপারে অজ্ঞ।

সুন্দর পোষ্টটির জন্য শুকরিয়া।

আল্লাহর রাসূল (সা) ঈদের দিন সকালে মদীনার রাস্তায় রাস্তায় বাড়ী বাড়ী ঘুরতেন সাদকাহ কালেকশনের জন্য।


এ ব্যপারে কোন তথ্য বা প্রমান থাকলে পেশ করার অনুরোধ করছি। জাযাকিল্লাহ খাইর

২১ জুন ২০১৬ বিকাল ০৪:৩৭
309479
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : আপনাকেও শুকরিয়া। জ্বি, ইনশাআল্লাহ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File