নাভির উপরে আর নাভির নিচে হাত বাধা বলতে কি বুঝায়?

লিখেছেন লিখেছেন ইমরান ভাই ০১ মার্চ, ২০১৪, ০৮:৪৮:৫৯ রাত



ব্লগ ও ফেসবুকে কিছু লোক শুদ্ধ হাদিস এর উপর দুর্বল হাদিসের প্রাধান্য দিতে গিয়ে বিভিন্ন আরব ইমামের ছবি কে কৌশলে ব্যবহার করে। আসলে নাভির উপরে আর নাভির নিচে এই দুটো কাছাকাছি বিধায় ওরা ছবি দেখিয়ে বলে যে, ”ওই যে মক্কার ইমাম নাভির নিচে হাত বেধেছে!”

আসলে কিন্তু মক্কার ইমাম নাভির নিচে নয় বরং নাভির উপরে হাত বেঁধেছেন যার দলিল সহিহ মুসলিম।

মূলত নাভির উপর থেকে শুরু করে বুকের উপর পর্যন্ত জায়গায় যেকোনো খানে সালাতে হাত বাধা যায়। এর মধ্যে বুকের উপর হাত বাঁধা হচ্ছে সর্বাধিক শুদ্ধ – বুখারী, আবু দাউদ, ইবনে খুযায়মা।

নাভির নিচে নয় বরং উপরে হাত বাঁধতে হবে- এ হাদিস সহিহ মুসলিমের।

নাভির নিচে হাত বাধার হাদিস এসেছে আবু দাউদ এ, ইবনে শায়বা তে – কিন্তু সে হাদিস বা আছার গুলো দুর্বল।

ইমাম আবু দাউদ স্বয়ং তাঁর আবু দাউদ কিতাবে উল্লেখ করেছেন নাভির নিচে হাত বাধার হাদিস দুর্বল।

এবং এর পর তিনিই উল্লেখ করেছেন বুকের উপর হাত বাধার হাদিস।

যখন সর্বাধিক শুদ্ধ বা বিশুদ্ধ বা শুদ্ধ হাদিস পাওয়া যাবে তখন এগুলো বাদ দিয়ে দুর্বল হাদিস নিয়ে বাড়াবাড়ি করা নিতান্তই দ্বীন নিয়ে বাড়াবাড়ি!

আমলের ক্ষেত্রে দুর্বল হাদিস গ্রহণ যোগ্য নয় – এটাই সকল মুহাদ্দিস ও হাদিস গবেষকদের ও মুফতিদের মূল নীতি !

আল্লাহু আ ‘লাম।

বিষয়: বিবিধ

৩২৯৫ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

185125
০১ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:১০
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
০১ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:২৯
137069
ইমরান ভাই লিখেছেন : আপনাকে ধন্যবাদ Love Struck
185143
০১ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:৫৬
বিন হারুন লিখেছেন : কেউ বুকে হাত বাঁধবে,(শাফেয়ী) কেউ নীচে,(হানাফী) কেউ হাত বাঁধে না,মালেকী সবইতো হক কারো ভুল নেই.আমরা সোলেমানি জ্ঞানীরা এ নিয়ে বেশ বাড়াবাড়ি করছি. আপনাকে অনেক ধন্যবাদ.
০১ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:৩৪
137109
জেএফটি ইসলাম লিখেছেন : আপনি ঠিক বলেছেন ইমরান ভাই নামক সোলেমানি জ্ঞানীরা কিছু
কিছু ক্ষেএে মুসলমানদের মাাঝে ফিতনা ছড়াচেছ। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ.
০২ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৮:১২
137259
ইমরান ভাই লিখেছেন : কোরআন ও সহিহ হাদিসের সাথে যারটা মিলবে সেটাই অনুসরান করতে হবে।
চোখ থাকতে অন্ধ হলে কিছু করার নাই।

জেএফটি, আপনি ভালকরে পড়ুন। তবে পড়ার পরে যদি বলেন “পড়লাম কিন্তু বুঝলাম না” তাহলে কিছু করার নাই।

আর আমি এটাও অনুধাবন করতে পারছি আপনার উত্তর এটাই হবে “পড়লাম কিন্তু বুঝলাম না”

কোরআন ও সহীহ হাদিসের কথা বললে ফেতনা হয়না। ফেতনা ছড়ায় যারা গোড়ামী করে কোরআন ও সহীহ হাদিসকে মানতে চায় না।

আল্লাহ আমাদেরকে বুঝার তাওফিক দিন।
185167
০১ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:৩৭
সজল আহমেদ লিখেছেন : অসংখ্য ধন্যবাদ।আল্লাহ আপনার হেফাজাত করুন।
০২ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৮:১৩
137260
ইমরান ভাই লিখেছেন : আমিন।
সজল ভাই, Love Struck আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
185387
০২ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:০৫
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : কিছু কিছু মানুষ (হানাফী+ আহলে হাদীসদের) মধ্যে আছে ইসলামে ফিতনা ছড়ানো তাদের কাজ। সবাই কিন্তু নয়। গুলশান আজাদ মাসজিদে খতিব সাহেব মাওলানা মাহমুদুল হাসান বলেছিলেন কেউ যদি তারাবীহ আট রাকাত পড়ে তাকে আমরা সম্মান করবো আবার যারা আমরা বিশ রাকাত পড়ি তাদেরকেও সম্মান করবো।
এটাই সর্বোত্তম আমার কাছে।
০২ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:০৯
137289
ইমরান ভাই লিখেছেন : সহীহ হাদিস প্রচার করা মানে ফেতনা ছড়ানো নয়। আসলে সারা জীবন ঘী খেলাম ভেজাল অরিজিনাল ঘী খাওয়ার পরে তো পেট খারাপ হবেই।

আর তারাবি ৮রাকাত ২০রাকাত পড়ে সবাই মুসলিম ভাই। মুসলিম হিসেবে তাদের সম্মান করা জরুরি। তবে দেখার বিষয় কোন মতটা সহিহ হাদীসের সাথে বেশি সামযস্য। সেটাই হতেপারে ৮রাকাত অথবা ২০রাকাত পরীক্ষা করে নিতে হবে।
185529
০২ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:২৪
০২ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:০৮
137393
ইমরান ভাই লিখেছেন : Thinking Thinking Love Struck Love Struck
186288
০৩ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:৫০
মুমতাহিনা তাজরি লিখেছেন : অনেক কিছু জানলাম শিখলাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:৫৮
138183
ইমরান ভাই লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ কস্ট করে চোখ বুলানোর জন্য Love Struck Love Struck
193024
১৬ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:৫১
মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আসাদুল ইসলাম লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ ।
১৭ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৮:৪৮
144033
ইমরান ভাই লিখেছেন : জাজাকাল্লাহু খায়রান। Love Struck Love Struck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File