উনার নামে লেখার সেই যোগ্যতা আমার নেই।

লিখেছেন লিখেছেন নাবীল ১৯ এপ্রিল, ২০১৪, ০৭:৩২:১৮ সন্ধ্যা



বিশ্ব বরেন্য মোফাচ্ছেরে কোরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।এত বড় মাপের একজন আলেম কে নিয়ে লেখার সেই যোগ্যতা আমার নেই। তার পরে ও একজন শ্রেষ্ঠ আলেমের পক্ষে দুই একটি কথা লিখার চেস্টা করছি।

একজন আলেমের প্রতি ভালবাসার টানে মনের কিছু আবেগ তুলে দরছি।

সম্ভবত ১৯৮৪ কি ৮৫ সালের কথা , তখন ১৪ বছর বয়স ।তেমন কিছু বুঝিনা ।আমার বাবা তখন চট্রগ্রাম ইনকাম টেক্স অফিসে কর্মরত ছিলেন।তখন উনার মাহফিল হত চট্রগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল মাঠে।সেই দিন কাবা শরীফের সম্মানীত খতিব আব্দুর রহমান আল সুদাইস সেই মাহফিলে মেহমান হিসাবে বয়ান করেন। আমি আর আমার বাবা যখন যাই সুদাইস সাহেব হেলিকপ্টারে করে ঢাকার উদ্দেশ্য রওয়ানা দেন।যাক উনাকে আর দেখতে পারি নাই,এখন বর্তমানে মক্কায় থাকার সুবাদে প্রায় সময় উনার পিছে নামাজ পড়ি।

এর পরে ১৯৮৬ সালে উনি আমাদের ফেনীতে ফালাহিয়া মাদ্রাসা কর্তিক আয়োজিত মাহফিলে যোগদেন উনার সেই আওয়াজ আমার কানে এখনো বাজে।

আমি একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করার কারনে এক সময়ের প্রভাব সালি নেতা নেজামে ইসলাম পাটির সাবেক আমীর চট্রগ্রামের নাম করা আলেম মাওলামা আব্দুল মালেক হালিম সাহেবের সাথে পরিচয় হয়।

বাশখালির উনার মাদ্রাসায় দেখার জন্য গিয়েছিলাম এক মিটিংয়ে।

সাঈদী সাহেব সম্পর্কে উনি একটা কথা বলেছিলেন, উনি বললেন ৯৫ কি ৯৬ সালে উনার স্ত্রী একবার উনাকে বললেন সে সাঈদী সাহেবের মাহফিলে যাবে।তখম মাওলানা সাহেব ড়্রাইবারকে দিয়ে সবাইকে মাহফিলে যেতে দিলেন।মাওলানা সাহেব বললেন সবার একটা স্বাধীনতা আছে তাই উনি জামাত বিরোধী হওয়ার কারণে ও তার স্ত্রী কে মাহফিলে যেতে দিয়েছেন।

তাহারা যাওয়ার পর পেন্ড়েলে তো যাইতে পারে নাই অনেক দুরে রাস্তায় অবস্হান নিয়ে ওয়াজ শুনে রাতে পেরার পর দুই জনে কথপোকথন।

মাওলানা জিজ্ঞাসা করলেন কি শুনলে মাহফিলে :-তার স্ত্রী বললেন সাঈদী সাহেব আজ মাহফিলে ইসলামী ব্যাংকিং এবং অর্থ ব্যাবস্হা সম্পর্কে ১০/১২ টি কোরআন এবং হাদীসের উদ্বিতি দিয়েছেন,কই তোমাদের তো অনেক বড় বড় আলেম আছে তাদের মুখে সমাজ ব্যাবস্থা সম্পর্কে কোম মাহফিলে কিছুই শুনা যায়না।তোমরা তো শুধু কিচ্ছা আর কাহিনি ছাড়া কিছুই বলোনা।সেইটা সত্য আমাদের আলেমরা কথা ফুটিয়ে ধরতে পারেনা।

ইসলামী কিচ্ছা কাহিনী অবশ্যই দরকার আছে যাহা দ্বারা সমাজ উপকৃত হয়।

মাওলানা আবদুল মালেক হালিম সাহেব তখন স্ত্রীর কাছে স্বীকার করলেন যে সাঈদী সাহেব যাহা বলে তাহা তো কুরআন হাদিসের কথাই বলে।আল্লামা সাঈদী সম্পর্কে অনেকের ভাল ধারনাই আছে।

আমার প্রশ্ন তাদের কাছে তোমরা কার গায়ে হাত দিয়েছ, আল্লার আযাব ও গজব কে ভয় কর।

তোমরা যারা বিচারপতি তোমাদের উপরে আরেক বিচারক আছে তিনি হচ্ছেন আহকামুল হাকেমিন রাব্বুল আলামিন।

সুতারাং রাগ বা বিরাগের বশবর্তি হয়ে কারো প্রতি অন্যায় আচরণ করলে কাল কিয়ামতে আপনারা ও আল্লার পাকড়াও থেকে রেহাই পাবেন না ।

আর তাদের কে বলতে চাই যারা তাকে দুনিয়া থেকে সরানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছ, মনে রেখ এই দিন দিন না আরো দিন।

মনে রাখবে এক সাঈদী কে দুনিয়া থেকে সরাইলে লক্ষ লক্ষ সাঈদী ভক্ত জীবন দেবে। দেশ জ্বলবে,দেশের মানুষ কষ্ট পাবে।

সুতারাং সবাইর সূভ বুদ্ধি উদয় হোক।এই কামনা করি।

মায়াস্সালাম।।

উপরে ছবি দিয়েছিলাম কিন্তু আসে নাই ।ছবি সিস্টেম টা একটু বলে দিবেন

বিষয়: বিবিধ

১৬৫৩ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

210277
১৯ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:৩০
ফেরারী মন লিখেছেন : মনে রাখবে এক সাঈদী কে দুনিয়া থেকে সরাইলে লক্ষ লক্ষ সাঈদী ভক্ত জীবন দেবে। দেশ জ্বলবে, দেশের মানুষ কষ্ট পাবে।

এক কাদের মোল্লা মরছে কয়জন জামাত শিবির তার জন্য জীবন দিয়েছে?
২০ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১০:৫৪
159338
নাবীল লিখেছেন : ধন্যবাদ।লক্ষ লক্ষ সাঈদী ভক্ত জীবন দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
210290
১৯ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:৪১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২০ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১০:৫৬
159340
নাবীল লিখেছেন : আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File