ওহে জ্বিহাদ প্রেমী ভাইয়েরা ! কষ্ট করে পড়ে দেখেন

লিখেছেন লিখেছেন ঊর্মি ১৬ আগস্ট, ২০১৩, ০৬:৩৩:০৯ সন্ধ্যা

জামায়াত ‪#‎শিবির‬ বা মুসলিম ব্রাদারহুড কেন সশস্ত্র পাল্টা প্রতিশোধ নিচ্ছেনা এমন হাহুতাশকারী মানুষের আহাজারি দেখে আতঙ্ক অনুভব করি। আল্লাহর রাসুলের জীবনি আর কুরআনের জ্ঞানে মুর্খ কিছু মানুষকে উষ্কানি দিচ্ছে খেলাফতি উগ্রপন্থী আর ইরানি হাফনলেজীরা। আমার আতঙ্কের পয়েন্ট টা হলো, ইসলামের জ্ঞানে মুর্খ এমন কিছু মানুষ ইসলামী আন্দোলনে ইনফিল্ট্রেট করে আন্দোলনকে গাইড দেবার চেষ্টা করছে।

হে মহান ছটফটে আত্মাধারী ভাইয়েরা, আপনারা কাদের পলিসির ভুল খুঁজেন? সেই আন্দোলন দুইটার যাদের প্রতিবেশী ‪#‎ভারত‬ আর ‪#‎ইজরায়েল‬! র আর মোসাদের মত ২ টা টপলেভেল ইবলিশের নাকের ডগায় যে আন্দোলন দুটো বছরের পর বছর ধরে আল্লাহর দ্বীনকে তার বান্দাদের অন্তরে অন্তরে পৌছে দিয়েছে একেবারে শেকড় পর্যন্ত, ১৯৭১ এর মত ভয়াবহ পার্থিব বিপর্যয় মোকাবেলা করে যে আন্দোলন আজকের পর্যায়ে এসে বাতিলের একমাত্র প্রতিদ্বন্দিতে পরিনত হতে সক্ষম হয়েছে তার কোরানিক প্রজ্ঞা ও কৌশলের বরকতে! মিশরে যে আন্দোলনকে ভয়াবহ ক্রাকডাউনের মুখোমুখি হয়ে একেবারে শূন্য থেকে নতুন করে তেরো বছর তেরো বছর কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আজকের পর্যায়ে আসতে হয়েছে! হে ছটফটে ভাইয়েরা, ভরসা রাখুন। আপনারা গৌরব করতে পারেন এমন এক সময়ে জন্মগ্রহন করেছেন। আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় একঝাঁক মর্যাদাবান শহীদের রক্তের খোশবুমাখা দুটো অসাধারন ইসলামী আন্দোলনের সাক্ষী হবার সৌভাগ্য আপনাদের হচ্ছে যাদের নেতৃত্বের ঝান্ডা এমন প্রজ্ঞাবান লোকেদের হাতে যাদেরকে আল্লাহ পৃথিবীর প্রতিটি পালস বোঝার যোগ্যতা দিয়েছেন। ইসলামী আন্দোলন অব্শ্যই তার শুভাকাঙ্খীদের থেকে পরামর্শ ও আইডিয়া এক্সপেক্ট করে, তবে তা হওয়া দরকার আবেগমুক্ত ও পার্থিব আর কুরানিক জ্ঞান আর রাসুলের সীরাতের অভিজ্ঞতা আলোকে।

প্রিয় ধৈর্য্যহীন মুখস্তবিদ্যার ভারে জর্জরিত ভাইয়েরা, আপনাদেরকে একটা কথা ক্লিয়ারকাট জানতে ও বুঝতে হবে আজ হতে, ‪#‎ইসলাম‬ নামের পরম মূল্যবান দোজাহানের মুক্তির একমাত্র রক্ষাকবচ রত্নটি আপনার বা আমার বা জামায়াতের বা ব্রাদারহুডের - এমনকি দুনিয়ার কোন মুসলমানের পৈত্রিক সম্পত্তি না। বলতে পারেন এটা পুরো মানবজাতির "পৈত্রিক সম্পত্তি"। বরঞ্চ এর হেদায়াত পাওয়ার অধিকার আমাদের বংশগত মুসলমানদের থেকে ওই অন্ধকারাচ্ছন্ন মানূষগুলোর একটু বেশি বলেই আমার কাছে মনে হয়। আপনি কার ওপর পাল্টা গুলি চালাতে বলছেন? সশস্ত্র আক্রমন করে কাকে নিশ্চিহ্ন করতে বলছেন? একবার কি ভেবে দেখেছেন হাশরের ময়দানে ওরা অভিযোগ করবে- হে আল্লাহ তোমার কুরআন থেকে হেদায়াত পাবার সময় আর সুযোগ পাবার আগেই তোমার প্রিয় বান্দারা আমাদের ওপর শোধ তুলে ফেলেছে। আমাদেরকে ভালোমত তোমার মনোনীত জীবনব্যবস্থার দাওয়াতটা পর্যন্ত দেয়নাই, শেখানো তো দুরের কথা। কি ভাই, কি জবাব দেবেন সেদিন? ইসলাম আবু জেহেল আবু সুফিয়ানদেরকে নিস্ক্রিয় করার চেষ্টা করে , নিশ্চিহ্ন নয়, বারবার সুযোগ দেয়, খালেদ বিন ওয়ালিদ আর হিন্দারা ইসলামের নেয়ামত বুঝার সুযোগ পাক, এটাই পলিসি অব সীরাতূন্নবী। ইসলাম আদমের সব সন্তানকে জান্নাতে পৌছে দিতে চায়, জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবার সুযোগ তাকে দিতে চায়। তায়েফের ময়দানে নির্যাতিত হয়েই কাফেরদেরকে বদ্দোয়া দেয়া রাসূলের সুন্নাহ না, তাদেরকে দ্বীন বোঝার জন্য বদর ওহোদ পর্যন্ত সময় দিতে হয়।

যুগযুগ ধরে রাষ্ট্রের সবচেয়ে শক্তিশালী অংশ সেনাবাহিনীর ধারেকাছে ভিড়তে পারেনি ইখওয়ানের মহান দায়ী রা। ইসলামের সৌন্দর্য ও দাওয়াতবঞ্চিত এই সেনাবাহিনীকে কোটিকোটি ডলার উপঢৌকন দেয় মোসাদ সিআইএ লবী। অলমোষ্ট এক শতাব্দী পর এদের সংস্পর্শে আসার, এদেরকে হেরার রাজতোরনের মর্যাদা পাবার পথ দেখাবার সুযোগ এসেছে আল্লাহর মনোনীত বান্দাদের সামনে। এদেরকে বুঝানোর সময় এসেছে মার্কিন ডলারের চাকচিক্যের চেয়ে আল্লাহর আনূগত্যের মর্যাদা বেশি। দশ বিশটা পাল্টা লাশ ফেলে এই সুযোগ হারানো আর ওদেরকে আরো উষ্কানি দেবার চিন্তা উগ্রবাদী মুর্খদের পক্ষেই সম্ভব। এই সেনাবাহিনীকে হেদায়াত দিয়ে যেদিন আল্লাহ ইসলামের স্বপক্ষশক্তি বানিয়ে দেবেন, বিশ্ব সেদিন পাবে নতুন এক খালেদ বিন ওয়ালিদ, বায়তুল মোকাদ্দাস মুক্তি পাবে জায়োনিষ্ট পৌত্ত্লিকতা থেকে। ...আর বাংলাদেশে, ইসলামের দুশমন আওয়ামীলীগার আর শাহবাগী নাস্তিকদের হেদায়াত পাবার সম্ভাবনা তো আরো অনেক অনেক বেশি। ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা হয়েছেন, এমন বেশ কয়েকজন ভাইয়াকে আমি জানি যারা একসময়ে ছাত্র ইউনিয়ন ছাত্রমৈত্রীর নাস্তিক ছিলেন। তাফহীমুল কুরআনের আলো তাদেরকে ইসলামের সৈনিক বানিয়ে দিয়েছে।

হ্যাঁ, ইসলামী আন্দোলনের একটা পর্যায়ে সশস্ত্র হবার প্রোয়োজন পড়ে। যখন নূহ নবীর সব চেষ্টা ব্যার্থ হয়, কাফের জালিমের ধ্বংস কামনা তখন করতে হয়। বিশ্বাস করুন জামায়াত শিবির ইখওয়ানের দাওয়াতী স্টেজ সেই পর্যায় থেকে যোজন যোজন দুরে আছে। খনি থেকে যত বেশি সম্ভব হীরার টুকরা আহরন করার আগেই খনি ধ্বসিয়ে দেয়া আল্লাহর বুদ্ধিমান বান্দাদের কাজ না।

আল্লাহ শহীদগনের কুরবানী কবুল করুন, সমগ্র মানবজাতির জন্য কল্যাণকামী ইসলামের বিজয়ের জন্য আমাদের ভাইদের রক্তকে কবুল করে নিন হে আল্লাহ!

Habibah Naowal

বিষয়: বিবিধ

১৮৭৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File