সামাজিকতার অবক্ষয়।

লিখেছেন লিখেছেন অতনু সাগর ২৭ জুলাই, ২০১৩, ১২:২২:৩৪ রাত

নিরাপদ ডেটিংয়ের স্বর্গরাজ্য বলধা গার্ডেন। যেখানে মানুষ যাবে একটু নির্মল পরিবেশের সান্নিধ্য পেতে কিন্তু বাস্তবতা কি তাই? গার্ডেনের ভিতর যেখানে সব বয়সি মানুষের ভির থাকার কথা সেখানে দেখা যায় তরুন তরুনীদের যাদের বয়স কমবেশি সবারই পনের থেকে তিরিশের মধ্যে। ফাঁকে ফাঁকে স্কুল ড্রেসপরা ছাত্রীরাও। পার্কে ঢুকেই চোখে পড়বে হাতে হাত ধরে যুবক যুবতীকে চুম্বন দৃশ্য। ভেতরে যেতেই ভিরমি খাওয়ার অবস্থা। দেখতে হবে পদ্মদিঘীর পাড় ঘেঁষে, শতায়ূ উদ্ভিদের আড়ালে, গোলাপ বাগানে, আঙুর বাগানের পেছনে, বাঁশ ঝাড়ের আড়ালে জোড়া তরুণ-তরুণী উন্মুক্ত হাওয়ায় নিজেদের বিলিয়ে দিচ্ছে। একে অন্যের গায়ে এলিয়ে লুটিয়ে পড়ছে। কপালে চুম্বন আঁকছে। ঊরুতে মাথা রেখে বাদাম চিবোচ্ছে। বুকে জড়িয়ে আছে।

কিন্তু কেন এই সেচ্ছাচারিতা? সেচ্ছাচারিতা আর লজ্জাহীনতার একটা সীমা থাকা উচিৎ । যখন সমাজে নির্লজ্জতা আর বেহায়াপনার বিস্তৃতি লাভ করে, তখন বলতে হয় যে সেই সমাজে ঘুন ধরে গিয়েছে । আর ঘুনে ধরা সমাজের পতন নিশ্চিত । পার্কের বর্তমানের এই চিত্র এক রাতে পরিবর্তন হয়নি । নীতিভ্রষ্ট মানুষরাই এর চিত্র কালের আবর্তে বদলে দিয়েছে । দিন দিন যাদের নৈতিক চরিত্রের অবক্ষয় ঘটেছে, এর প্রধান কারন ধর্মীয় শিক্ষার অভাব । শৈশব কাল থেকেই এরা সঠিক ধর্মীয় শিক্ষা পায়নি ফলে তারা পাপ পূণ্যের পার্থক্য অনুধাবন করতে পারেনা, পরকাল সম্পর্কে তাদের মনে ভয় ভীতি ও বিশ্বাষ নেই, তারা বুঝতে পারেনা যে কোন কাজটা বৈধ আর কোনটা অবৈধ । ব্যাক্তিগত স্বাধীনতার নামে নীতিভ্রষ্ট যুবক যুবতীরা যা ইচ্ছে তাই করে যাবে আর দেশের সাধারন জনগন চোখ বুজে থাকবে এ কেমন কথা ? পার্ক কিংবা হোটেলে ডেটিং-এর নামে মুসলিম ছেলে মেয়েদের এই অপকর্ম রোধ করতে হবে । ডেটিং, প্রকাশ্য জনসমুক্ষে আলিংগন, চুম্বন, লিভিং টুগেদার, যেনা ব্যাভিচার বন্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে ।

একটি কথা মনে রাখতে হবে যে , প্রেম ভালবাসার নামে যারা অবৈধ সেক্স করছে, এর জন্য অবশ্যই অর্থের প্রয়োজন । তাই অনেক ছাত্র কিংবা বেকার যুবকরা রঙ্গলীলা চরিতার্থ করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাড় করতে চুরি-চামারী, ছিন্তাই কিংবা চাঁদাবাজী করতে বাধ্য হয় । কারণ কারো বাবা মা ই তার সন্তানদের কে অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য কষ্টার্জিত টাকা দেন না ।

সবাইকে মরে রাখতে হবে -

একটা পাপ অন্য একটা পাপকে জন্ম দেয় ।

-অতনু সাগর।

বিষয়: সাহিত্য

৯৯০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File