নারীর সম্মান মর্যাদা রক্ষার্থে করনীয় (১ম)

লিখেছেন লিখেছেন সত্যের ১৮ জুলাই, ২০১৩, ০৮:৩৬:৫৯ সকাল

সকল প্রশংসা এক আল্লাহর যিনি আমাকে লেখার তৌফিক দান করেছেন । অসংখ্য দুরুদ ও সালাম নবী মোহাম্মদ সা: এর উপর ।

নারীকে কীভাবে ভোগ্য-পণ্যের বস্তুতে পরিণত করেছে তা আমরা আমাদের চারদিকে লক্ষ্য করলেই দেখতে পাই । পারিবারিক ও সামাজিক বিশৃঙ্খলা, অশান্তি, দাম্পত্য-কলহ ও পারস্পরিক অবিশ্বাস, বিবাহ-বিচ্ছেদ, নারী-নির্যাতন ইত্যাদি সবকিছুর পেছনেই একটি প্রধান কারণ হলো পর্দাহীনতা এবং নর-নারীর অবাধ মেলা-মেশা ।

যদিও ইসলামের পর্দা-ব্যবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞতা অথবা এর অন্তর্নিহিত তাৎপর্যকে না বুঝার কারণে কেউ কেউ একে পশ্চাৎপদতা, সেকেলে, নারীকে শৃঙ্খলিতকরণের পন্থা, উন্নয়নের অন্তরায় এবং নারী ও পুরুষের মধ্যে একটি বৈষম্য সৃষ্টির প্রয়াস বলে আখ্যায়িত করে থাকেন ।

বেপর্দা আর নারী-পুরুষের অবাধ মেলা-মেশা সমাজে কেমন বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে এবং মূলতঃ এই ভুল বুঝাবুঝির জন্য মুসলিম বিশ্বের কতিপয় এলাকায় ইসলামের সত্যিকার শিক্ষার অপপ্রয়োগ আর পাশ্চাত্য গণমাধ্যমের নেতিবাচক ভূমিকাই দায়ী ।

আগে আসুন আমরা দেখি, তথাকথিত প্রগতি, নারী-স্বাধীনতা, নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা সমাজকে বা নারীকে কী দান করেছে ।

নারী-নির্যাতন, শিশুহত্যা, পতিতাবৃত্তি, ধর্ষণ, বিবাহ-বিচ্ছেদ, লিভিংটুগেদার, মাদকাসক্তি, কুমারী-মাতৃত্ব বা single mother, ইত্যাদি সমস্যা আজ পাশ্চাত্য-সমাজকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে ।

১) গর্ভপাতঃ ১৯৬৮ সালে ইংল্যাণ্ডে গর্ভপাতকে বৈধতা প্রদান করার পর সেখানে কেবল রেজিস্টার্ড গর্ভপাতের ঘটনাই বৃদ্ধি পেয়েছে দশগুণ । এর মধ্যে মাত্র শতকরা একভাগ (১%) স্বাস্থ্যগত কারণে আর বাকী ৯৯%-ই অবৈধ গর্ভধারণের কারণে ঘটেছে । ১৯৬৮ সালে যেখানে ২২,০০০ রেজিস্টার্ড গর্ভপাত ঘটানো হয় সেখানে ১৯৯১ সালে এক লক্ষ আশি হাজার আর ১৯৯৩ সালে তা দাঁড়ায় আট লক্ষ উনিশ হাজারে । এর মধ্যে পনের বছরের কম বয়সী মেয়ের সংখ্যা তিন হাজার ।

রেজিস্টার্ড পরিসংখ্যান অনুযায়ী কেবলমাত্র ১৯৯৪ সালেই যুক্তরাষ্ট্রে দশ লক্ষ গর্ভপাত ঘটানো হয় । এক্ষেত্রে কানাডার পরিস্থিতি কিছুটা 'ভালো'; অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেক । তবে জাপানের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিগুন । তথাকথিত সভ্য-জগতে 'ইচ্ছার স্বাধীনতার জন্য বিগত ২৫ বছরে এক বিলিয়ন অর্থাৎ দশ কোটিরও অধিক ভ্রুণকে হত্যা করা হয় ।

২) ধর্ষণঃ ধর্ষণের প্রকৃত সংখ্যা জানা সহজ নয় । অনেক ক্ষেত্রেই ভুক্তভোগী এ বিষয়ে রিপোর্ট করে না । The London Rape Crisis Center -এর মতে বৃটেনে প্রতিবছর অন্তত পাঁচ থেকে ছয় হাজার ধর্ষণের ঘটনা রেকর্ড হয়ে থাকে, আর প্রকৃত সংখ্যা তার চাইতেও বেশি । উক্ত সংস্থার মতে

"If we accept the highest figures, we may say that, on average, one rape occurs every hour in England."

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি সবচাইতে ভয়াবহ । এখানে বিশ্বের সর্বাধিক সংখ্যক ধর্ষণের ঘটনা ঘটে থাকে । সে সংখ্যা জার্মানীর সংখ্যার চাইতে চারগুণ, বৃটেনের চাইতে ১৮ গুণ আর জাপানের চাইতে প্রায় বিশগুণ বেশি ।

National Council for Civil Liberties নামক সংস্থার মতে ৩৮% ক্ষেত্রে পুরুষ তাঁর অফিসিয়াল ক্ষমতা বা কর্তৃত্ব প্রয়োগ করে নারীকে ধর্ষণ করে থাকে । আর ৮৮% মহিলা কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির স্বীকার হয়ে থাকেন

৩) বিবাহ-বিচ্ছেদঃ ১৯৮৩ সালে যুক্তরাজ্যে যেখানে এক লক্ষ সাতচল্লিশ হাজার বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে, ১৯৯৪ সালে তার সংখ্যা দাঁড়ায় এক লক্ষ পয়ষট্টি হাজারে । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৭০ সালে বিবাহ-বিচ্ছেদের সংখ্যা ছিল সাত লক্ষ আট হাজার, আর ১৯৯০ সালে তা দাঁড়ায় এগার লক্ষ পঁচাত্তর হাজারে । পক্ষান্তরে, বিবাহের হারে তেমন কোনো উল্ল্যেখযোগ্য-সংখ্যক পরিবর্তন হয়নি ।

৪) কুমারী-মাতৃত্ব ও একক-মাতৃত্বঃ বৃটেনে এক জরিপে দেখা যায় যে, ১৯৮২ সালে যেখানে কুমারী-মাতার সংখ্যা ছিল নব্বই হাজার, ১৯৯২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় দুই লক্ষ পনের হাজারে । ১৯৯২ সালে জন্ম নেওয়া শিশুদের ৩১% ছিল অবিবাহিতা মাতার সন্তান । এই অবিবাহিতা বা কুমারী-মাতাদের মধ্যে আড়াই হাজারের বয়স ১৫ (পনের) বছরের নীচে । বৈধ বিবাহের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া শিশুর তুলনায় অবৈধ শিশুর জন্মের হারও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ।

৫) মদ্যপান ও ধুমপানঃ The Sunday Times - এর এক রিপোর্টে দেখা যায় যে, নারীরা "নির্দ্ধারিত মাত্রার" চাইতে অধিক পরিমাণে মদ্যপানে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে । আর ধুমপানের ক্ষেত্রে এর সংখ্যা এবং পরিমাণ পুরুষের সমান সমান ।

৬) বিজ্ঞাপনে ও পর্নোগ্রাফীতে: তথাকথিত নারী-স্বাধীনতার নামে নারীকে আজ যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে বিজ্ঞাপন-সামগ্রী এবং পর্নোগ্রাফীতে ।

"আমেরিকার মেয়েরা যৌন-আবেদনময়ী হওয়ার পরিবেশেই বড় হচ্ছে । তাঁদের সামনে যেসব পণ্য ও ছবি তুলে ধরা হচ্ছে তাতে তাঁরা যৌনতার দিকেই আকৃষ্ট হচ্ছে । মার্কিন সংস্কৃতি, বিশেষ করে প্রধাণ প্রধাণ প্রচার-মাধ্যমে মহিলা ও তরুনীদের যৌন-ভোগ্য-পণ্য হিসেবে দেখানো হচ্ছে ।

আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল এসোসিয়েশন (এপিএ) টাষ্ক ফোর্স অন দ্যা সেক্সুয়ালাইজেশন অব গার্লস-এর সম্প্রতি প্রকাশিত এক রিপোর্টে একথা বলা হয় । রিপোর্টের প্রণেতাগণ বলেন, টিভি-শো থেকে ম্যাগাজিন এবং মিউজিক-ভিডিও থেকে ইণ্টারনেট পর্যন্ত প্রতিটি প্রচার-মাধ্যমেই এই চিত্রই দেখা যায় । প্রণেতাদের মতে, যৌনরূপদান তরুনী ও মহিলাদের তিনটি অতি সাধারণ মানসিকস্বাস্থ্য সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত । এগুলো হলো পেটের গোলযোগ, আত্মসম্মান হানিবোধ এবং মনমরা ভাব।

লিজ গুয়া নামের একজন মহিলা বলেন, তিনি তাঁর ৮ (আট) বছরের মেয়ে তানিয়ার উপযোগী পোশাক খুঁজে পেতে অসুবিধায় রয়েছেন । প্রায়ই সেগুলো খুবই আঁটসাঁট, নয়তো খুবই খাটো । যৌন-আবেদন ফুটিয়ে তোলার জন্যই এ ধরনের পোশাক তৈরি করা হয়"(দৈনিক জনকন্ঠ, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০০৭)

এ সবই হলো বেপর্দা আর নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশার কুফল ।

নারীর চেয়ে দুনিয়ার আর কোন নিকৃষ্ট বস্তু নেই, এই ছিল খ্যাতমান দার্শনিক সক্রেটিসসের বক্তব্য ।

গ্রীক দার্শনিকদের মতে সাপে দংশন করলে কিংবা আগুনে পুড়ালে চিকিৎসা সম্ভব, কিন্তু নারীর অনিষ্টের চিকিৎসা সম্ভব নয় ।

সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ, নবী বিশ্ব নবী মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নারীদের অধিকার ও মর্যদা সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন,

‘‘তামাম পৃথিবীর সমস্ত জিনিস হল সম্পদ, আর পৃথিবীর সমস্ত সম্পদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ সম্পদ হল নেককারী নারী”

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আরো বলেন যে,

‘‘যে নারী ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, রমজান মাসে রোজা রাখে স্বামীর আনুগত্য করবে, সতীত্বের হেফাজ করবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহর জান্নাতের যে রাস্তা দিয়ে খুশি সে ঐ রাস্তা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে ।”

জার্মান দার্শনিক নীট. শে বলেছেন, ‘‘নারীকে পুরুষের সাথে মেলা মেশার অবাধ সুযোগ দিলে নারীদের প্রযনন শক্তি শীঘ্রই নিস্তেজ হয়ে যাবে । ফলে এমন একদিন আসবে যেই দিন পৃথিবী হতে মানব বংশ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে ।

নারী পুরুষের অবৈধ যৌন মিলনে যে, যিনা হয় তা’ নয় বরং কামভাব ও উত্তেজনার সাথে নর-নারী পরস্পর একে অন্যকে স্পর্শ করলে, কিংবা কুমতলবের সাথে একে অন্যের প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করলে ইসলাম অতি সর্তকতার সাথে একে যেনার সাথে তুলনা করেছেন । কেননা এগুলো অবৈধ কাজের উদ্ভাবক ।

এছাড়া মনো বিজ্ঞানের দৃষ্টি ভঙ্গিকে বলা হয় সাধারণ অবৈধ নারী দর্শনে এবং স্পর্শে অচেতন মনের উপর যে অদৃশ্য কুচিন্তা ও কুভাবনার চাপ পড়ে, পরিনামে তাহা মারাত্মক ব্যধিতে রূপান্তর হয় । এ সকল কু-ধারণা মানব দেহের সুক্ষ কোষগুলিকে বিকৃত ও বিষাক্ত করিয়া নানা প্রকার শারীরিক ও মানসিক ব্যাধির সৃষ্টি করে, মেধা শক্তি লোপ করে ।

আমেরিকার অন্যতম মানসিক রোগের চিকিৎসক ডঃ এড ওয়ার্ড বগলার বলেন, ‘‘প্রত্যেক মানুষের মনের আড়ালে একটি আত্ম ধ্বংসকারী উপাদান অতি সংগোপনে অবস্থান করছে, ইহার অস্তিত্ব সম্পর্কে মানুষ সচেতন নয় । অনেক সময় ইহার প্রভাবে মানুষ অজানা কারণে মানবিক অসস্তি ও অহেতুক নানা প্রকার শারিরীক ও মানসিক ব্যাধিতে ভুগিয়া থাকেন । এবং এই মারাত্বক উপাদানই স্নায়ুবিক বিকৃতি ও দুর্বলতার মূল কারণ । কুচিন্তা ও কুভাবনা এই উপাদানকে আরো শক্তিশালী করিয়া তোলে । এক মাত্র কুচিন্তা ও কুভাবনা পরিহারই এই ক্রিয়াকে নিষক্রিয় ও দমন করতে পারে ।

বলা বাহুল্য যে, এই কুচিন্তা ও কুভাবনার আত্মঘাতী বিষ ক্রিয়া হতে মানুষকে রক্ষা করার জন্য নারী জাতিকে পর্দার আড়ালে অবস্থানের জন্য ইসলাম কঠোরভাবে নির্দেশ দেয় ।

পবিত্র কোরআনের ভাষায় অর্থাৎ “হে নারীগণ ! তোমরা তোমাদের স্ব স্ব ঘরের মধ্যে অবস্থান কর । প্রাথমিক বর্বর যুগের নারীরা যেমন সৌন্দর্য প্রদর্শনের জন্য সুসজ্জিত হইয়া যথেচ্ছা বিচরণ করিত তোমরা তেমনি হইওনা” (সূরা আহযাব: আয়াত ৩৩)

বিজ্ঞানের দৃষ্টি ভঙ্গিতে বলা হয় নারী দেহ অশ্লীয় ও চুম্বক ধর্মী এবং পুরুষের দেহ ক্ষারীয় ও বিদ্যুৎ ধর্মী । সাধারণত অম্লের সহিত ক্ষারের একটি স্বাভাবিক আকর্ষণ বা টান আছে । বিজ্ঞানের ভাষায় ইহাকে এফিনিটি বলা হয় । এই আকর্ষণ এত তীব্র ও কার্যকর যে ইহা রোধ করা কিছুতেই সম্ভব নয় । তাই কেউ অপরকে অম্ল বা টক খেতে দেখলে অনায়াসে অজ্ঞাত কারণে মুখ থেকে ক্ষার ধর্মীয় লালা বের হয়ে আসে । সুতারাং ইহা ধ্রুব সত্য যে ক্ষার ধর্মী দেহ ও অম্ল ধর্মী দেহের মধ্যে চুম্বকের মতো দুদর্মনীয় একটি প্রাকৃতিক আকর্ষণ আছে ।

ক্ষারের একট সাধারণ স্বভাব বা গুন আছে, ইহা অম্লের সংস্পর্শে আসলে অম্লের কার্যকরী গুন নষ্ট করে দেয় । যাকে রসায়ন শাস্ত্রের পরিভাষায় নিউটিলাইজেশন বা নিরপেক্ষী করণ বলা হয় ।

তাই অনাবৃত অম্ল ও চুম্বকধর্মী নারী দেহের উপর ক্ষার ও বিদ্যুৎ ধর্মী পুরুষের দেহের প্রতিফলন ক্রিয়া ঘন ঘন প্রতিফলিত হতে থাকলে নারী দেহের চুম্বকত্ব ও অম্লত্ব নষ্ট হয়ে ধীরে ধীরে অজ্ঞাত সারে নারীত্বের গুনাবলী লোপ পেতে থাকে । নানা জাতীয় পুরুষ দেহের ঘন ঘন প্রতিপলন নারী দেহের সুক্ষ কোষ গুলির উপর যে সংঘাত নিক্ষেপ করে, তাহা শরীরের প্রত্যেকটি কোষ এমনকী ডিম্ব কোষকে পর্যন্ত সুক্ষ আনবিক ক্রিয়া দ্বারা বিধস্ত করে ফেলে । ফলে নারী দেহের অম্লত্ব ও চুম্বকত্ব নষ্ট হয়ে নারী তার গন্ধ, কোমলতা, ও রূপ লাবন্যতা হারিয়ে ফেলে ।

এ থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা ও জীবন-নির্ধারণের সঠিক ও পূর্ণ অনুসরণ ।

পর্দাপ্রথা এবং নারী-পুরুষের পৃথকীরণের ইসলামী ধারণাকে বুঝতে হলে তা বুঝতে হবে নারীদের সতীত্বের পবিত্রতা রক্ষার্থে এবং সমাজে নারীদের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখার স্বার্থে গৃহীত ব্যবস্থাদির প্রেক্ষাপটে, যার মাধ্যমে ঐসব উদ্দেশ্য লঙ্ঘনের আশঙ্কা তিরোহিত হয় ।

ইসলাম মনে করে

"Prevention is better than the cure"

অর্থাৎ, দুর্ঘটনা ঘটার আগে তার পথগুলো বন্ধ করাই শ্রেয়তর ।

(১ম চলবে ৫ম পর্যন্ত)

২য় অংশ- http://www.bdtomorrow.net/blog/blogdetail/detail/6753/soter/22297 (pls click & read)

বিষয়: Contest_mother

২২৪৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File