যেতে না চাওয়া নিয়ে আমার আজকের এ অনুভুতি।

লিখেছেন লিখেছেন আবু নাইম ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১, ০৩:৪৬:৪২ দুপুর

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

আমার শ্রদ্ধেয়/সম্মানিত/প্রিয়/পরিচিত

আশাকরি মাহান মালিক আল্লাহ সবাইকে ভাল রেখেছেন।

শত ব্যস্তার মাঝেও সবাইকে এ পর্যন্ত অনেক কষ্ট দিয়েছি এবং সে কষ্টগুলো স্বীকার করেও সবাই উপকার, কাজগুলো করে দিয়েছেন। দোয়া করি মহান রব সবাইকে দুনিয়া ও আখেরাতে এর প্রতিফল দান করুন। সবার সম্পদ, সম্মান, মার্যাদা, সামাজিক অবস্থান ও প্রতিপত্তি আরও বাড়িয়ে দিন।

জীবন চলার পথে এ পর্যন্ত অনেকের সাথে আমার অনেক কথা, কাজ ও লেন-দেন হয়েছে। এতে তো অনেক গড়মিল তো অবশ্যই হয়েছে এ ভুলগুলো আমাকে ক্ষমা করে দিবেন। সবার প্রতিও আমার কোন অভিযোগ নেই। আল্লাহ আমাদের সবাইকে মাফ করে দিন।

আপনাদের পরিচিত এবং আমারও যারা পরিচিত যদি সম্ভব হয় সবার কাছে আমার পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়ার বিনীত অনুরোধ করছি। আল্লাহ সবাইকে উত্তম জাযা দিবেন।

আমার আত্মীয়, পরিচিত, কাছের, দুরের, ছোট, বড়, অনেকেই একে একে চলে গেছেন, যাচ্ছেন। এ যাওয়া কোন ভাবেই ঠেকানো যাবে না, যায় না। যেতেই হবে, প্রস্তুতি থাক আর না থাক। সময় হোক বা না হোক। আমার ছাত্র জীবনের পড়ার প্রতিষ্ঠান, নিজ গ্রামের বাড়ীর প্রাইমারী স্কুল (গেন্ডমারা, তালতলী, বরগুনা), পিরোজপুর জেলার মঠবাড়ীয়ার বান্ধবপাড়া ছালেহিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায়, পটুয়াখালী জেলার পাংগাশিয়া নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসা, ঢালকা নগর লেন এর ঢাকা নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসা, সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জের লক্ষীপুর তাওয়াক্কোলিয়া দাখিল মাদ্রসা, সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুরের সৈয়দপুর সৈয়দীয়া শামছিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রসা, সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুরের হবিবপুর কেশবপুর ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা, সিলেট জেলার বিশ্বনাথের সৎপুর কামিল মাদ্রাসা, নেত্রকোনা জেলার বারহাট্ট্রার কৈলাটী আলিয়া মাদ্রসা। সিলেট এম.সি কলেজ (বিএ), এম.এ (১মপর্ব) কবী নজরুল কলেজ সদরঘাট, এম.এ (শেষ পর্ব) ঢাকা কলেজ। সাংগঠনিক কর্ম ক্ষেত্র সুনামগঞ্জের জগান্নাথপুর, আমার জন্ম গ্রাম (গন্ডামারা, তালতলী, বরগুনা), নানা বাড়ির গ্রাম কুয়াকাটা, খেপুপাড়া, পটুয়াখালী, দাদা বাড়ীর গ্রাম বেতমোর, পাথরঘাটা, বরগুনা, শ্বশুড় বাড়ীর গ্রাম সোনাখালী, বরগুনা, আমার অফিসের সহকর্মী, আমার ঢাকার মিরপুরের বাসার প্রতিবেশী অনেকেই আজ নেই। তাদের এ শুণ্যতা আমি বিশেষভাবে অনুভব করি।

আমার সাংগঠনিক কর্মক্ষেত্র সৈয়দপুরের কাজী সৈয়দ মুস্তাক আহমদ সাহেব, সৈয়দ শাহ নুর চৌধুরী ভাই, সৈয়দ চমক আলী ভাই, ডাঃ সৈয়দ দবির ভাই, সৈয়দ শুয়ায়েভ আহমেদ মুছলেহ ভাই, ডাঃ সৈয়দ তৈফুর ভাই, সৈয়দ কবির ভাই, সৈয়দ মওসুফ চৌধুরী, সৈয়দ আশ্রাফ ভাই, সৈয়দ রানা ভাই, সৈয়দ সাহাব ভাই, একান্ত স্নেহের সৈয়দ দিলদার, কবি সৈয়দ আশরাফ আলী, প্রিয় ভাই জামিল, প্রিয় ভাই দুলাল আজ আর নেই। তাদের এ শুণ্যতা আমি বিশেষভাবে অনুভব করি, আমাকে কাদয়।

হবিবপুরের জনাব আবু ইউসুফ ভাইর বড় ভাই জনাব আরব আলী ভাই, প্রিয় মন্তেসর আলীর বড় ভাই জনাব মোশাহীদ আলী ভাই, মাদ্রাসার পাশের বাড়ীর জনাব ইয়াহিয়া ভাই, প্রিয় শরীফ, শ্রদ্ধেয় আবদুস শহীদ স্যার, শ্রদ্বেয় শিশু হুজুর, শ্রদ্ধেয় সুপার হুজুর, শ্রদ্ধেয় সহ সুপার হুজুর, জগন্নাথপুরের আমার শ্রদ্ধেয় নানীজি আলহাজ্জ রহিমুন্নেসা এরা সবাই আমাকে কোন না কোন ভাবে উপকার করেছেন, স্নেহ করেছেন। এদের কথা ভুলতে পারিনা। তাদের এ শুণ্যতা আমি বিশেষভাবে অনুভব করি। আমাকে কাদয়। সহৃদয় ক্ষরণ হয়।

আমার বাড়ীওলা বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা নিয়ে বেস অসুস্থ, ওনার পা ফুলেগেছে, ফুলা পা নিয়ে আমার বাসায় এসে বসলেন, বললাম এ আসুস্থ শরীর নিয়ে কেন বের হলেন। যে কোন দুর্ঘটনা হয়ে যেতে পারে। উনি বললেন ভাই সাবাইকে তো একদিন না একদিন যেতে হবে। আমিও তো যেতে চাই না। কিন্তু না চাইলেও যেতেই হবে। এটা ঠেকানোর কোন পথ নেই। যেতে না চাওয়া নিয়ে আমার আজকের এ অনুভুতি।

বিষয়: বিবিধ

৪৪৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File