কোটা বিরোধী আন্দোলন সফল হোক: ২ লাখের জন্য ৩০% আর ১৬ কোটির জন্য ৪৪% এই বৈষম্য চলবেনা

লিখেছেন লিখেছেন মোঃ রায়হান খান ঝুমন ১১ জুলাই, ২০১৩, ১১:৫৪:২৫ রাত

৩২তম স্পেশাল বিসিএস নেওয়া হয় শুধু কোটাধারিদের জন্য । এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি সরকারি নিয়োগ হয় যেখানে কোটার বাহিরে কেউ আবেদনও করতে পারে নাই। যেমন,সোনালী ব্যাংক ১২০০জন,কৃষি ব্যাংক ৬০০ জন,আইসিবি ইত্যাদি । অথচ যেকোন সরকারি চাকুরিতে ১০ জন নিয়োগ দিলেও তাদের জন্য কোটা রাখা হয় । যদি কোটাই রাখা হয় তাহলে স্পেশাল নিয়োগ দেওয়ার দকার কি ? আবার স্পেশাল নিয়োগ দিলে কোটা রাখার যৌক্তিকতা কি ? কোটাধারীদের আবেদন করার যোগ্যতা কি সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্যমূলক নয় ? । মুক্তিযোদ্ধারা জাতির বীর সন্তান । সরকারের অবশ্যই মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে সহায়তা করা দরকার তবে তা কারো প্রতি বৈষম্যমূলক করে বা বঞ্চিত করে নয় । মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ব্যবস্থার জন্য যে রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সকল নাগরিকের খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, কর্মসংস্থানের দ্বায়িত্ব নেবে রাষ্ট্র । মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও তাদের নাতি/পোতিদের জন্য সরকারি চাকুরিতে কোটা রাখা হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা । মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অনুযায়ী একটি বৈষম্যহীন স্বাধীন কল্যাণমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুললে শিক্ষা,বস্ত্র,বাসস্থান,কর্মসংস্থানের মতো মৌলিক অধিকারগুলো শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান/নাতি-পোতিদেরই নয়, দেশের সকল নাগরিকেরই প্রাপ্য হতো, তাহলে কেন ২ লাখ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/নাতি-পোতিদের ৩০শতাংশ কোটা (মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, দেশে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা প্রায় দুই লাখ)। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিতে হলে, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কোটা-ঘুষ দিয়ে নয়, মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্খার শোষণ-বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়েই দিতে হবে । একটা দেশ বা জাতিকে ধ্বংশ করার জন্য সে জাতিকে মেধাহীন করায় যথেষ্ট । তাইতো ৭১ সালে পাকিস্থানি হানাদার ও তার দোসররা বুদ্ধিজীবিদের হত্যা করেছিল । এখন কোটা দ্বারা মেধাবীদের বঞ্চিত করে বাংলাদেশকে সব ক্ষেত্রে মেধাহীন করা হচ্ছে । যা দেশের জন্য অসনি সংকেত ।

বিষয়: বিবিধ

১০৪২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File