আমেরিকার Thanks givining আর আমাদের ভাবনা

লিখেছেন লিখেছেন মুহছিনা খাঁন ২৭ নভেম্বর, ২০১৪, ০৯:০৪:২৪ সকাল

রাত পোহালেই আমেরিকা Thanksgiving celebrate করবে কারন এটা তাদের national holiday,

এর ইতিহাস সম্পর্কে আমরা সবাই কম বেশি কিছু জানি তাই এই বিষয়ে আর যেতে চাইনা।

কিন্তু আমেরিকানদের সাথে সাথে আমরা বাংগালীরা এখন এই দিনটি পালন করতে অনেকটা এগিয়ে । এবং আমেরিকান বাংলাদেশী বাচ্চারা যতটা না বেশি আগ্রহ দেখায় তার চেয়ে বেশি ব্যস্ত যেন মা বাবা।

turkey dishes এর সাথে হরেক রকম আরো কত খাবার বানিয়ে বন্ধু আত্বীয় সবাইকে নিয়ে পার্টি দেয়া হচ্ছে। দয়া করে ভুল বুঝবেননা । এই সব খাবার নি:সন্দেহে হালাল খাবার তবে এই দিনটিতে কেনো ? অন্য দিনটিতে ওতো আনন্দ করতে পারি । এই দিনটিতো আমাদের মানে মুসলমানদের জন্য নির্দিষ্টকরে দেয়া হয়নি ।

কি শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছি আমাদের সন্তানদের ? ওরা এ ব্যাপারে আব্দার করলে ওদের বুঝানোর দ্বায়িত্ব প্রত্যেক বাবা মা'র ।তাই কোন কিছুর জন্য যদি কাউকে Thanks দিতেই হয় তাহলে প্রতিটি শ্বাস প্রশ্বাস সহ প্রত্যেকটি নিয়ামতের জন্য শোকর আদায় করবো একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য । আর তা হবে বেশী বেশি সেজদাহ'র মাধ্যমে, গরিব আত্বীয় স্বজনদের হক আদায় করে বিধবাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে । যেটাকা গুলো এই ধনীদের জন্য পার্টির আয়োজন করে খরচ করবো বলে তোলে রাখা হয়েছে, আসুননা গরিব একটি ছাত্রের ভর্তির ফি'তে দিয়ে দেই অথবা কারো চিকিৎসার জন্য না হয় এক গরীব কন্যা দ্বায়গস্ত্র পিতার হাতে তার মেয়ের বিয়েতে । না হয় মসজিদ মাদ্রাসায় । দেখবেন আল্লাহ খুশি হয়ে এর বিনিময়ে কাল কিয়ামতের কঠিন দিনে আমাদের জন্য অনেক চোখ জুড়ানো নিয়ামতে ভরপুর এক ভান্ডার দান করবেন ।

আল্লাহ বলেন,'' তার কথার চাইতে আর কার কথা ভালো হতে পারে যে মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকে, নিজে নেক আমল করে আর বলে, আমি মুসলমান '' ।

আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক পথে চলার তাওফিক দান করুন আমীন ।

বিষয়: বিবিধ

১৪০৫ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

288700
২৭ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৪০

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 10348

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 764

"> মুক্তিযুদ্ধের কন্যা লিখেছেন : মুমিন মুল্লুক বিসর্জন দিয়ে সাজানো গুছানো আমেরিকায় আস্তানা গেড়ে, আমেরিকার খেয়ে, আরমেরিকান ব্যবসায় আয় রোজগার করে শুকরিয়া করবেন কোথাকার কোন আল্লার!!
২৭ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৫৩
232416
মুহছিনা খাঁন লিখেছেন : তোমাকে কে বললো শকুনের মত এসে উড়ে পড়তে ?
288705
২৭ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:১০
ছালসাবিল লিখেছেন : আপু, অনেক সুন্দর কোরে কথাগুলো গুছিয়ে ঠিক জেন ফুলের তোড়ার মোতো করে বুঝালেন। আপনাকে অননেনেনেেনেক ধন্যবাদ আপু। Day Dreaming
Rose Rose Rose Rose Rose Rose
২৭ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:১৩
232422
মুহছিনা খাঁন লিখেছেন : জাযাকাল্লাহু খাইরান ।
288745
২৭ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৩৩
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : খুব সুন্দর লিখা ,পড়ে ভালো লাগলো
288803
২৭ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:১৬
হতভাগা লিখেছেন :
''কিন্তু আমেরিকানদের সাথে সাথে আমরা বাংগালীরা এখন এই দিনটি পালন করতে অনেকটা এগিয়ে ।''


০ স্বাভাবিক । কারণ দেশের নাগরিকত্বকে লাথি মেরে আমেরিকান নাগরিকত্ব গ্রহন করেছেন শপথের মাধ্যমে।

উদ্দেশ্য - বেটার লাইফ লিড করা।


আপনাদের উপর মার্কিন প্রশাসনের কড়া নজরদারি । তাই আপনারা নিজেদেরকে আমেরিকানদের চেয়ে বেশী আমেরিকান দেখাবেন - এটাই স্ট্র‍্যাটেজী।

বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যে নেতা যায় তার নিজেকে খাঁটি আওয়ামী লীগার প্রমান করার জন্য শেখ মুজিবের এমন বন্দনা গাইতে হবে যে সেটা প্রেসিডিয়াম সদস্যরা এমন কি হাসিনাও গাইতে পারে নাই , সাথে জিয়ার ১৪ গুষ্টিও উদ্ধার করতে হবে।

যষ্মিন দেশে যদাচার । সে দেশের কালচারে খুব এনথুজিয়াস্টিক ভাব না দেখাতে পারলে বা সামনে আসছে বড় দিনে যদি সান্তাক্লজ , জিংগল বল জিংগল বল না করতে পারেন তাহলে কি খাঁটি আমেরিকান হয়ে গেছেন বলা যাবে ?

আমেরিকানদের এইসব খৃস্টান কালচার যখন এডাপ্ট করে টিকে থাকতে লড়াই চালাচ্ছেন তখন এসব Thanks giving day,
ইসলামে আছে কি না , জায়েজ কি না - এসব বলে কি মজা নেন?
২৮ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১২:০০
232707
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : কালচার এর বৈচিত্র থাকাই একটি অগ্রগ্রামি সমাজের লক্ষ। কোন দেশে অধিবাসি হলেই সে দেশের সব কালচার কে গ্রহন করতে হয়না।
২৮ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:৩৬
232767
মুহছিনা খাঁন লিখেছেন : ধন্যবাদ ব্লগার হতভাগাকে লিখাটা পড়ার জন্য । কিন্তু আমার মনে হয় লিখাটা বুঝতে বোধ হয় একটু অসুবিধা হয়েছে । শুনুন আপনি যে বলছেন শপথের মাধ্যমে যদিও নাগরিকত্ব পেয়েছি কোথাও লিখা ছিলোনা যে সব কালচার পালন করতে হবে আমেরিকানদের সাথে না হয় নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া হবে । এবং আমার যেদিন ইন্টারভিউ তারীখ ছিলো সেদিনই ছিলো 9/11 এর ভয়ানক ঘটনা । এর পরেই আবার আমাকে ডেকে নেয়া হয়েছে এবং শপথের দিন যখন নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট টা জজ দিবে তখন আমাকে হিজাবী দেখে নিজ থেকেই বুকে হাত দিয়ে সম্মান দেখিয়ে আমার হাতে এই কাগজটি দিয়েছে কখনো হাত বাড়িয়ে দেয়নি হাত মেলানোর জন্য । আসলে আমরা আমাদের সম্মান দিতে জানিনা অনেক মুসলমান মেয়েরা আগেই হাত বাড়িয়ে দেয় তারাও আপনার মত ভাবে তাদের দেশে তাকলে কালচারটা ও মেনে চলতে হবে । নাহ আমেরিকা এমন একটি দেশ কখনো আপনার কালচার ধর্মের কাজে হাত দেয়নি । আর দেশের পেটে লাথি মারার কথা বলছেন, দেশে থেকে যাদের পেটে লাথি মারছে দেশের মানুষ ।আমরা প্রবাসিরা নিজের স্বাধ আহলাদ বিষর্জন দিয়ে ওদের পেটের ভাত যোগাই.বুঝতে পারবেন হয়তো এখন।
289026
২৭ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৫৮
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
স্রেফ একদিন এর জন্য আল্লাহকে ধন্যবাদ নয়। যেমন মাতা-পিতার জন্য একদিন নয়। এই শিক্ষা দেওয়াই কর্তব্য পিতামাতার। তবে যে পিতামাতারা আমাদের দেশেই উদাসিন তারা সেখানে গিয়ে উৎসাহি হবে ভাবা উচিত নয়।
২৮ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:৩৭
232768
মুহছিনা খাঁন লিখেছেন : সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File