{}{} নসিহত কিংবা অসিয়ত {}{}

লিখেছেন লিখেছেন শেখের পোলা ৩১ অক্টোবর, ২০১৫, ০৭:৫৩:৩৪ সন্ধ্যা



হে আমার সন্তানেরা,

মনে রেখো তোমরা মুসলমান৷৷ দুনিয়ায় সব কিছুর ধর্ম আছে, মানুসেরও ধর্ম আছে৷ তোমাদের ধর্ম ইসলাম৷ আর ইসলামই সৃষ্টিকর্তার একমাত্র পছন্দের ধর্ম৷ এটি তোমাদের কষ্ট করে অর্জন করতে হয়নি বরং পৈত্রীক সূত্রে পেয়েছ৷ এ দিক দিয়ে তোমরা ভাগ্যবান৷ ইসলাম শুধুই আচার সর্বস্য আচরণী ধর্ম নয়৷ এটি সৃষ্টিকর্তার দেওয়া জীবন বিধান৷ তাই তোমাদের উচিৎ ইসলামকে চেনা ও জানা৷ সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ মানুষকে ও জ্বীনকে শুধুই তাঁর ইবাদত বা দাসত্ব করার জন্যই সৃষ্টি করেছেন ও দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন৷৷ইবাদত বলতে শুধুই মসজিদে বা জায় নামাজে বসে কিছু আচরণ করা নয়৷ দুনিয়ায় মানুষের অন্যান্ন দায়িত্বও রয়েছে, যা ইবাদতে শামিল হতে পারে।

রসুল সঃ বলেছেন যে, দুনিয়াকে মানুষের জন্য ও মানুষকে আখেরাতের বা পরকালের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে৷ ৷তাই দুনিয়াকে সামনে এগিয়ে নেওয়া ও সুন্দর করে দীর্ঘস্থায়ী করার প্রয়োজনে যাবতীয় করণীয়ের সাথে আল্লাহর ইবাদতও করতে হবে৷ আল্লাহর নির্দেশিত পথে দুনিয়ার যেকোন কাজই ইবাদত বলে গন্য হবে৷

এস ইসলাম সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু জেনে নেই৷ আগেই বলা হয়েছে যে, ইসলাম আল্লাহর দেওয়া জীবন বিধান৷ যারা এই জীবন বিধানকে পূর্ণাঙ্গ রূপে মেনে নিয়েছে তাদেরকে মুসলীম বা মুসলমান বলে৷ মুসলীম শব্দের অর্থ হল, ভাল মন্দ, সুখ দুঃখ সর্ব অবস্থায় নিজেকে আল্লাহতে সঁপে দেওয়া, তাঁর ইচ্ছা অনিচ্ছা ও যে কোন ফলাফলে সন্তুষ্ট হওয়া। এদের কর্তব্য হল বিশ্বের যাবতীয় সৃষ্টির একমাত্র সৃষ্টিকর্তা হিসেবে এক অদৃশ্য আল্লাহতে বিশ্বাস করা, তিনি যুগে যুগে যে নবী ও রসুলগনকে একমাত্র তাঁর বিধানকে দুনিয়ায় প্রতিষ্ঠা করতে পাঠিয়েছেন, তাদের উপর বিশ্বাস করা, তাঁদের সঙ্গে আসা যুগ উপযোগি বিধান বা আসমানী কিতাব সমুহে বিশ্বাস করা৷ এবং পরকালে বা আখেরাতে কৃতকর্মের জবাব দেহিতার জন্য তাঁর সামনে দাঁড়াতে হবে এ বিষয়ে দৃঢ় বিশ্বাস রাখা৷ বিশ্বের কোন কিছুই যেমন তাঁর অগোচরে নাই তেমনই সকল কর্মের কর্ম বিধায়ক বলে তাঁকে বিশ্বাস করা। যেহেতু আল্লাহ সর্ব যুগেই সব নবী রসুলকে তাঁরই বিধান ইসলামকে প্রতিষ্ঠাা করার জন্যই পাঠিয়েছিলেন, তাই সব নবী রসুলগনই মুসলীম ছিলেন আর তার পছন্দের দ্বীন হল একমাত্র ইসলাম। একটা কথা জেনে রাখা দরকার যে অন্যান্ন নবী রসুলগন এক এক কওমের জন্য ছিলেন আর শেষ নবী শেষ কিতাব নিয়ে এসেছেন সমগ্র দুনিয়ার জন্য।

কোন ম্যানুফ্য্যাকচারার যখন বাজারে কোন নতুন যন্ত্র বাজারজাত করেন তখন যন্ত্রটির কার্যকারিতা ও ব্যবহার বিধি লিখিত পুস্তিকা আকারে যন্ত্রটির সাথে দিয়ে দেন৷ মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ যখন মানুষকে প্রথম দুনিয়ায় পাঠালেন তখন বলেদিলেন যে, “তোমরা সকলে নেমে যাও, অতঃপর যখন তোমাদের কাছে আমার কোন হেদায়েত পৌঁছবে আর যারা আমার সে হেদায়েত অনুসারে চলবে, তাদের কোন ভয় থাকবেনা, চিন্তাগ্রস্থ ও সন্ত্রস্থও হবে না৷ (সুরা বাক্ববারা আয়াত- ৩৮) আল্লাহ তাঁর ওয়াদা মত যুগে যুগে যুগ উপযোগী হেদায়েত সহ বহু নবী ও রসুল পাঠিয়েছেন। (যুগ উপযোগী বলতে, আল্লাহ হজরত আদম আঃ কে যে ইসম বা জ্ঞান দিয়ে ছিলেন তা যুগে যুগে ক্রমে ক্রমে বিকশিত হয়ে দজ্জালে গিয়ে পূর্ণতা পাবে)। প্রত্যেক নবী বা রসুলগন আল্লাহর দুনিয়ায় মানুষের চলার বিধি বিধান স্বরূপ তাঁর ইবাদত, তার একত্ববাদ প্রতিষ্ঠা, তারসাথে কোন শরিক না করা ,সৎকর্ম করা ও অসৎ কর্ম হতে দূরে থাকা ও অপরকে রাখার নির্দেশই দিয়েছেন৷ আর এ গুলোই ইসলামের মৌলিক শিক্ষা৷ কিন্তু মানুষ উক্ত পয়গম্বরের গত হওয়ার পর তাঁর শিক্ষাকে ভিন্ন পথে নিয়ে প্রতি যুগে নতুন ধর্মমতের সৃষ্টি করেছে৷

এই হেদায়েতের ধারা বাহিকতায় সর্ব শেষ হেদায়েত গ্রন্থ বা মানুষের চলার বিধি বিধান রূপে পবিত্র কোরআন ও সর্বশেষ রসুল রূপে হজরত মোহাম্মদ সঃ কে পাঠিয়েছেন৷ এসো কোরআন সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু জানি৷

হে আমার সন্তানেরা;-কোরআন আল্লাহর কালাম৷ বা তাঁর ভাষণ বা বক্তৃতা৷ এর মাঝেই তিনি দুনিয়ার ক্ষনস্থায়ী জীবনে মানুষের করনীয় বর্জনীয় ও আখেরাতের অনন্ত জীবনে আনন্দ লাভের সমস্ত নিয়ম কানুন,কৌশল বিবৃত করেছেন৷,যা শেষ আসমানী কিতাব হিসাবে , শেষ নবী মোহাম্মদ সঃ উপর তাঁর ২৩ বৎসরের নবুয়ত জীবনে নাজিল হয়েছিল৷ জেনে রাখা ভাল যে, কোরআনে বলা হয়েছ রমজান মাসে কোরআন নাজিল হয়েছে, আর এখানে আমি ২৩ বৎসর বললাম, এতে নিন্দুকেরা কোরআনের ভুল বলে তর্ক করে। আরবী ব্যাকরণ অনুযায়ী দুটোই ঠিক। রমজান মাসে সমগ্র কোরআন এক কালীন আল্লাহর অফিস থেকে ফেরেশ্তাদের অফিসে নাজিল করা হয় আর সেখান থেকে চাহিদা মত আল্লাহর হুকুমে ২৩ বৎসরে রসুল মোহাম্মদ সঃ এর উপর নাজিল হয়। রসুল সঃ বলেছেন যে, এ কোরআনে আমাদের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের খবরাখবর আছে, আছে যাবতীয় সমস্যার সমাধান৷

মনে রেখো কোরআন অতি প্রয়োজনীয় ও সম্মানের বস্তু। কিন্তু তাই বলে তা ঝেড়ে মুছে ধূপ ধূনা জালিয়ে সুন্দর গেলাফে ভরে সুন্দর করে শোকেস বা তাকে তুলে রাখার জন্য আসেনি। বরং তার নির্দেশ, তার মর্ম অনুধাবন করে তাকে ব্যবহারিক জীবনে ব্যক্তিগত ও সামগ্রীকভাবে প্রতিষ্ঠা করাই তার আসল চাহিদা বলে জানতে হবে৷ আর সে জন্যই প্রয়োজন তা অধ্যায়ন, গবেষণা ও তা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা।

হজরত ওসমান রাঃ বর্নিত এক হাদিশে বলা হয়েছে যে, তোমাদের মধ্যে সবচাইতে উত্তম ঐ ব্যাক্তি, যিনি নিজে কোরআন শিক্ষা করেছেন ও অপরকে শিক্ষা দেন৷ অতএব, পেশা হিসেবে এটি সর্বোত্তম পেশা তাতে সন্দেহ নাই৷ আর কে না চায় তার সন্তানেরা ভাল শিক্ষা গ্রহণ করে শ্রেষ্ঠ পেশা নিয়ে সচ্ছল জীবন যাপন করুক। এ সূত্র অনযায়ী আমার উচিৎ ছিল তোমাদের দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা৷ কিন্তু আমার তা না করার কারণ হল;- আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থ্যা দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ধারায় চলে। একটি শুধুই দ্বীনের বিষয়ে শেখায় ৷আমার চোখে আমি তাদের পঙ্গুর মত দেখি। তারা অবশ্যই শিক্ষিত। কিন্তু দুনিয়া সম্পর্কে তাদের কোন ধারণা থাকেনা৷ কোন মাদ্রাসার শিক্ষক অথবা কোন মসজিদের ইমাম হয়ে তাবিজ কবজ ওয়াজ মাহফিলের মাধ্যমে সংসার নির্বাহ করে। আমার মতে এটি প্রকৃত দ্বীন নয়। আবার অন্য ধারাটি সম্পূর্ণ এর বিপরিত। তারা শিক্ষিত হয়ে দুনিয়ার মাঝে হারিয়ে যায়৷ দ্বীনের শিক্ষা তাদের মাঝে থাকেনা বললেই চলে। উচিৎ ছিল দুটির মাঝে সমন্বয় থাকা৷ আশার কথা বর্তমানে দ্বীন শিক্ষার পরে অনেকেই ব্যবহারিক শিক্ষা গ্রহণ করে কৃতিত্ব দেখাচ্ছে৷ আমি চাই তোমরাও দ্বীন সম্পর্কে জানার চেষ্টা কর ও প্রকৃত দ্বীনের অনুসারী হও৷

ও আমার সন্তানেরা;-মনে রেখ আমাদের জীবন অনন্ত আর সেই অনন্ত জীবনের চলার পথে দুনিয়ায় কিছুদিনের অবস্থান। যাকে রসুল সঃ গাছ তলায় পথিকের যাত্রা বিরতির সাথে তুলনা করেছেন। দুনিয়ায় এ ক্ষনিক অবস্থানের জন্য উপকরণের প্রয়োজন আছে, তবে তার বাহুল্যের প্রয়োজন নেই৷ যত অল্প চাহিদায় দুনিয়ার অবস্থানের দিনগুলি শেষ করা যায় ততই উত্তম৷ ৷এখানে ত্যাগ স্বীকার করলে পরকালে পাওনাদার হবে, আর এখানে ভোগ করলে পরকালের অনন্ত জীবনে বঞ্চিত হবে৷ আমাদের নবী ইচ্ছা করলে, আল্লাহ পাথরকে সোনা বানিয়ে দিতে পারতেন, কিন্তু তিনি খেয়ে না খেয়ে সব বিষয়ে অত্যন্ত সাধারণ জীবন যাপন করে আমাদের শিক্ষা দিয়ে গেছেন। যাকে সংযম বলে, এক অর্থে একে জিহাদও বলে।। এই জিহাদ শব্দটা নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি আছে। জিহাদ বলতে তারা সরাসরি হলি ওয়ার বা ধর্ম যুদ্ধ বলে মানুষকে বিভ্রান্ত আর মুসলীমদের হেয় করে। নিজের প্রবৃত্তিকে দমন করাই বড় জিহাদ। আল্লাহর দুনিয়ায় তার ইচ্ছা ইনসাফ বা ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করার সংগ্রামই জিহাদ। যা কথা ,লেখা, ভাষন, অনুদানের মাধ্যেও হতে পারে ও চুড়ান্ত পর্যায়ে যুদ্ধও করতে হতে পারে। এ গুলো সবই জিহাদ। এ খানে তোমাদের একটি ঘটনা সংক্ষেপে জানাতে চাই, হজরত মালেক বিন দীনার একজন আউলিয়া ছিলেন৷ ওয়াজ করার জন্য একদিন তিনি মঞ্ছে উঠে এক জনার প্রশ্নের সম্মুখীন হলেন।। প্রশ্ন ছিল যে কিছু দিন আগে তিনি মাতাল হয়ে পড়ে থাকতেন অথচ আজ ওলী হয়ে গেলেন কি ভাবে! জবাবে তিনি জানালেন যে, এক লাইলাতুল ক্বদরে তিনি এক বোতল মদ নিয়ে বাড়ি এলেন, উদ্দেশ্য তাঁর স্ত্রী সারা রাত ইবাদত করবে আর তিনি সারা রাত মদ খাবেন৷ ঘটনা ক্রমে তাঁর ছোট মেয়েটি তাঁর কাছে আসতে গিয়ে টেবিলে ধাক্কা খায়, ফলে টেবিলে রাখা বোতলটি পড়ে ভেঙ্গে যায়। মদ খাওয়া হয়না। পরের বৎসর একই দিনে আবার বোতল হাতে তিনি বাড়ি ফেরেন ও টিবিলের উপর বোতল রখেন। তখন তার আগের বৎসরের কথা সাথে আদরের ছোট্ট মেয়েটির কথা মনে পড়ে যে মাত্র তিন মাস আগে মারা গিয়েছে৷ চোখে পানি আসে। মদের বোতল বাইরে ফেলেদিয়ে ঘুময়ে পড়েন। ঐ রাতে স্বপ্নে দেখেন যে, বিরাট একটা বিষাক্ত সাপ তাকে তাড়া করেছে আর তিনি প্রাণ ভয়ে দৌড়াচ্ছেন৷ সাপ কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। তখন তিনি এক পাহাড়ে উঠতে থাকেন। পথে এক জীর্ণ শীর্ণ বুড়ির সাথে দেখা। পাহাড়ের আড়ালে একটা সুন্দর বাগানের পথ বলেদিয়ে বুড়ি তাকে সেখানে আশ্রয় নিতে বলে৷ সেখানে তিনি একটি সুন্দর বাগানে অনেক শিশুদের খেলতে দেখে ভিতরে যান। এমন সময় তার মেয়ে এসে বাবার হাত ধরে ভিতরে নিতে থাকে এবং ঐ বাগানটিকে বেহেশ্তের বাগান বলে জানায়৷ তিনি মেয়েকে সাপ ও বুড়ির কথা বলেন। জবাবে মেয়ে জানায় যে সাপটি আর কেউ নয় তা তোমার নফস। আর বুড়ি তোমার রূহ। সারা জীবন নফসের দাবী মিটিয়ে তাকে তাগড়া করেছ আর রূহের খোরাক না দিয়ে তাকে জীর্ণশীর্ণ করে রেখেছ। তোমার নফস তোমায় তাড়া করেছে আর রূহ তোমায় পথ বলে দিয়েছে। ঘুম ভেঙ্গে যায়, তিনি তওবা করেন ও পরহেজগার হয়ে যান৷

মনে রেখ, মানুষের রূহ আসমান হতে এসেছে। দুনিয়ায় তার মেয়াদ শেষ হলে আজরাঈল আঃ তা নিয়ে যাবেন। এই রুহ সর্বদা তার আধার, মানুষটিকে উপর দিকে অর্থাৎ আল্লাহর দিকে নিতে চায়। আর নফস হল দুনিয়ার জিনিষ। সে মানষকে দুনিয়ার চাকচিক্যে, মায়া মমতায়, সম্পদে ভুলিয়ে রাখতে চায়। তারই সাথে যোগ হয় শয়তানের চেষ্টা। নফসকে হারাতে পারলে মানুষ আল্লাহ ওয়ালা,সুফী দরবেশ আওলিয়া হয়ে যায়। আর রূহকে হারাতে পারলে মানুষটি হয় সাক্ষাৎ শয়তান।

মানুষের শেষ ঠিকানা জান্নাত বা জাহান্নাম। সবার লক্ষ্য জান্নাতই হওয়া উচিৎ। জান্নাত পেতে হলে অল্প কথায় সুরা ‘আল আসর’ এ বলা হয়েছে, সব মানুষই ধ্বংসের কিনারায় রয়েছে, শুধুমাত্র যারা ইমান এনেছে, সৎ কাজ করে ও ন্যায় ও সবরের বিষয়ে একে অন্যের সাথে মত বিনিময় করে। এর ব্যাখ্যা ব্যপক। এর মাঝেই ইসলামের সব কটি বিধি বিধান চলে আসে। নামাজ, রোজা জাকাত হজ্জ,হালাল হারাম, পরদা, জিহাদ। শুধু নিজে পালন করলই চলবে না বরং অন্যকেও তাকিদ দিতে হবে। এটাও আল্লাহর নির্দেশ। সেই সঙ্গে মনে রেখ বৈরাগ্য বা সংসার ত্যাগ করে আল্লাহর ইবাদতও ইসলামে নেই৷

ও আমার সন্তানেরা;-মনে রেখ, আল্লাহ এক অদ্বিতীয়। তার আগে পরে আর কেউ নেই। তিনি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী, পরাক্রমশালী। তিনিই বিশ্ব জগতের সৃষ্টি কর্তা। তাঁর কোন সাহায্যকারী নেই। তিনিই সকল জীবের আহার যোগান। যা কিছু চাওয়ার তা তাঁর কাছেই চাইবে। মাঝে কোন মাধ্যম,যেমন পীর দরবেশ আউলিয়ার প্রয়োজন নেই। হজরত আয়েশা রাঃ বলেছেন,যে জুতা ছিড়ে গেলেও আর এক জোড়া নতুনের জন্য তার কাছেই চাও। আল্লাহ বলেন, ‘যখন বান্দা আমার কাছে চায়, আমি অবশ্যই তার নিকটেই থাকি,প্রার্থনা কারীর প্রার্থনা আমি পূরণ করে থাকি’। যদিও আমাদের অভিজ্ঞতা ভিন্ন। তার কারণে একটা হাদিশ বলি, রসুল সঃ বললেন যে, বহুদূর হতে এক সাহাবী এলেন, ক্লান্ত শ্রান্ত মলিন অবস্থায়। ক্বাবা চত্তরে উপরে হাত তুলে বহু সময় দোওয়া করলেন। অতঃপর পাহাড়ের চূড়ায় উঠেও বহু সময় দোওয়া করলেন। কিন্তু তার দোওয়া কবুল হলনা, কারণ তার পরিধানের পোষাকটি ছিল হারামের পয়সায়৷

আল্লাহর কাছে চাওয়ার বিষয় তাকে ছাড়া অন্য কারও কাছে চাওয়া শির্ক। দুনিয়ার কোন বিষয়কে আল্লাহর চাইতে গুরুত্ব দেওয়া বা আস্থা রাখাও শির্ক। তা অর্থ- সম্পদ, ডলার, দীনার, টাকা, চাকরী, ব্যবসা যাই হোকনা কেন। সুরা তওবার ২৪ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আপনি বলেদিন ; তোমাদের কাছে যদি তোমাদের পিতা, তোমাদের সন্তান, তোমাদের ভাই, তোমাদের স্ত্রী, তোমাদের স্বগোত্রীয় লোক, তোমাদের অর্জিত ধন-সম্পদ, তোমাদের ব্যবসা যা মন্দা পড়ার ভয় কর এবং তোমাদের বাসগৃহ যা তোমরা পছন্দ কর—আল্লাহ,তাঁর রসুল এবং তার পথে জেহাদ করার চেয়ে অধিক প্রীয় হয় তবে অপেক্ষা কর আল্লাহর নির্দেশ আসা পর্যন্ত। আল্লাহ ফাসেক লোকদের পছন্দ করেন না’। আল্লাহর তিনটি জিনিষের কোন একটি অপেক্ষা মানুষের নয়টি জিনেষের কোন একটি যদি বেশী গুরুত্বপূর্ণ হয় তবে মানুষ ফাসেক বা পাপাচারী রূপে গন্য হয়ে যায়। কোন আমল কাজে আসেনা৷ আর কোন কিছুকেই আল্লাহ, তার রসুল ও তার পথে জেহাদের চাইতে গুরুত্বপূর্ণ মনে করাই শির্ক। শির্ক কারীর অপরাধ আল্লাহ মাফ করেন না, তাদের দোওয়া কবুল হওয়াতো অনেক দূরের কথা।

প্রশ্ন হতে পারে আগের মানুষওতো এ গুলো করত। আর তারা এখনের চেয়ে ভাল ছিল। উত্তর হল, তারা যা করত তা না জেনে করত। তাদের কালে প্রযুক্তি এত উন্নত ছিলনা, শিক্ষিতের হারও ছিল কম। এখন শিক্ষিতের সংখ্যা বেশী,উন্নত প্রযুক্তি, ঘরে বসেই কোরআন হাদিশ সহ সকল বিষয়ে সম্যক জ্ঞান অর্জন করা সহজ। সুতরাং অজ্ঞতার অবকাশ নেই।

ও আমার সন্তানেরা;-মনে রেখ, প্রযুক্তি যেমন মানুষকে জ্ঞানী করে তেমনই বিভান্তও কর। অনৈসলামীক শক্তি চির কালই আল্লাহর পথযাত্রীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে, আজও করে যাচ্ছে৷ নিজ অর্থে কোরআন হাদিশের মনগড়া ব্যাখ্যা ছাপিয়ে বা ইন্টার নেটে দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। এ থেকে বাঁচতে হলে নিজেদেরই কোরআন হাদিশ গবেষণা করে দেখতে হবে। বিদায় হজ্জে রসুল সঃ তাঁর বাণীর সাথে বলে ছিলেন, ‘রেখে গেনু আমি তোমাদের মাঝে দুটি মহা উপহার,-কোরানের পূত মঙ্গল বাণী, মম উপদেশ আর। যতদিন ধরে আঁকড়ে রহিবে কভু হারাবেনা পথ, এরই আলো শিখা ঝঞ্ছা ও ঝড়ে জ্বলিবে প্রদীপ বত’।

ইসলামকে চিনতে হলে, রসুল সঃ প্রদর্শীত পথে চলতে হলে নিজেকে কোরআন ও সহি হাদিশ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। না জানলে প্রকৃত জ্ঞানীর কাছে জেনে নিতে হবে। কাউকে অন্ধ অনুসরণ করলে বিভ্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও আছে। সৎ কর্ম, সৎ পরামর্শ, অসৎকাজে বাধা প্রদান প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব৷ এই বাধা প্রদানের তিনটি স্তর রয়েছে, ক্ষমতা থাকলে তার দ্বারা, নয়ত মুখের কথায় নতুবা অন্তরে ঘৃনা পোষণ করে। তবে শেষেরটি অত্যন্ত দুর্বলতার লক্ষণ। সৎকর্মের মধ্যে নামাজ রোজা জাকাত হজ্জ সবই চলে আসে। সকলের সাথে ভাল ব্যবহার, মিথ্যা না বলা, ছল চাতুরী না করা, অন্যকে না ঠকানো, অন্যের সাধ্যমত উপকার করা, এ সবই ভাল কাজ।

মনে রেখ, পরিশ্রম লব্ধ উপার্জনই হালাল উপার্জন।, তা অল্প হলেও তাতে বরকত আছে। দায়িত্বে ফাঁকী ঘুষ সূদের মাধ্যমে উপার্জন হালাল নয়। এমনকি সূদ ঘুস ও মদ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সাথে থাকা বা চাকুরি করাও উচিৎ নয়। তোমার সম্পদে আত্মীয় স্বজন, অভাবী প্রতিবেশী, এতিম মিসকীনের হক রয়েছে। পবিত্র কোরআনের শুরুতেই আল্লাহ বলেছেন,যে এ কোরআন যাদেরকে পথ দেখাবে তাদের মধ্যে যারা আল্লাহর দেওয়া রিজিক হতে অন্যকেও দান করবে। এটা জাকাত বা ফেতরা নয়। এটা আল্লাহর উপর ভরসা করে সামর্থ যাই হোক তাথেকে অন্যকে দান বা সহযোগীতা করা। নবী করিম সঃ বলেছেন যে, যার প্রতিবেশী (কোন জাতের কথা বলা হয়নি) অনাহারে রাত কাটায় সে মুসলমান নয়। এর চাইতে বড় সমাজতন্ত্র আর নাই।

ও আমার সন্তানেরা;-ইসলামের মৌলিক পাঁচটি বিধান, কলেমা বা ইমান,নামাজ, রোজা, জাকাত ও হজ্জ যথা যত পালন করার চেষ্টা করবে। এ গুলি অতি জরুরী। মুমিনের প্রতিটি সৎ কাজই ইবাদত। সকল কাজে সকল সময় আল্লাহকে স্মরণে রাখবে। এটিও জিকির। প্রতিটি কাজে দোওয়ার ব্যবহারই আল্লাহকে স্মরণ রাখার সহজ উপায়৷

মনে রেখ, পর্দা মেনে চলা আল্লাহর বিধান, ফরজ। পুরুষরা মেয়েদের পোষাক পরবে না তেমনই মেয়েরা পুরুষের পোষাক পরবে না। যে পোশাকে বা সাজে অন্য ধর্ম সনাক্ত করা যায় তাও মুসলীমদের জন্য নিষেধ৷ মেয়েরা সংক্ষিপ্ত বা টাইট পোষাক পরবে না। তাদের পোষাক হতে হবে ঢিলে ঢালা। যাতে শরীরের কোন অংশ দৃষ্টি গোচর না হয়। সংক্ষিপ্ত ও টাইট পোষাক পরিহীতাদের ইসলামে পোষাক বিহীনদের শামিল বলা হয়েছে। সাবধান! এদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি।

ছোটদের ছোট থেকেই সঠিক পথে মানুষ করার চেষ্টা করবে। লোকমান হাকিম সাহেবের এ বিষয়ে কোরআনের সুরা লূকমানে আপন সন্তানদের জন্য বেশ কিছু উপদেশ আছে তা মেনে চলার চেষ্টা করো। নেক সন্তানের আমল সদকায়ে জারিয়ার মত পিতা মাতার উপকারে আসে। অসৎ সন্তানেরর বদ আমল পিতা মাতার ক্ষতির কারণ হয়৷ তোমাদের পদস্খলনে আমাদেরও দায়ী হওয়ার সম্ভাবণা রয়েছে।

কোরআনে বান্দার প্রতি আল্লাহর হকের পরই পাঁচ জায়গায় পিতামাতার হকের কথা বলা হয়েছে। তাতে মায়ের হক বা অধীকারই বেশী। শির্কও ইসলাম বিরোধী কাজ ছাড়া তাদের সকল আদেশ নিষেধ মেনে চলবে। কখনও তাদের উপর বিরক্ত হয়ে মুখে উহ শব্দটিও উচ্চারণ করবে না বা তাদেরকে সামান্যতম দুঃখও দেবে না। তারা অনেক কষ্ট সহ্য করেই তোমাদের বড় করে তুলেছে। সহজ করার জন্য একটা গল্প বলি। বুড়ো অথর্ব বাপকে নিয়ে উপযুক্ত ছেলে পার্কে বসে আছে। একটি কাক দেখে বাপ প্রশ্ন করল ওটা কি? ছেলে উত্তর দিল ওটা কাক। কিছুক্ষন পর আবারও প্রশ্ন, ওটা কি? ছেলেও উত্তর দিল ওটা কাক। কিছু সময় পর পর বাপ একই প্রশ্ন করতে লাগল। ছেলে কয়েকবার উত্তর দিয়ে বিরোক্তি প্রকাশ করল। বাপ ছেলের সাথে বাড়ি ফিরে এসে তার বহু পুরানো ডাইরী খুলে ছেলেক বলল, এই দেখ, তুমি যখন ছোট ছিলে এই একই প্রশ্ন আমাকে বিশ বার করেছিল, আর আমি বিরক্ত না হয়ে বিশবারই তোমাকে উত্তর দিয়েছি৷ মনে রেখ পিতা মাতা অতিরিক্ত বয়সে ঠিক অবুঝ শিশুদের মত আচরণ করতে পারে। সেই সাথে ভূলে যেওনা মানুষের প্রতিটা কথা ও কাজের মাঝে রয়েছে তার পরীক্ষা।

এক লোক ওল্ড হোমে নিজের মাকে ভর্তি করে দিয়ে এসেছে। মাঝে মাঝে মার সাথে দেখা করতে যায়। একদিন সেখান থেকে ফোন এল,’আপনার মা মরণ শয্যায়, দেখা করতে চাইলে শিঘ্র আসুন। লোকটি এসে মাকে তার শেষ ইচ্ছা জানতে চাইল। মা বলল,’বাবা ওল্ড হোমের এই ফ্যানটা নষ্ট হয়ে গেছে, এটা বদলে দিও’ ছেলে বলল,’এতদিন কষ্ট করেছ বলনি, আজ শেষ বেলায় বদল করে আর কি হবে?’ মা জবাব দিল, ‘আমিতো কষ্ট করে গেলাম কিন্তু তোমার সন্তান যখন তোমাকে এখানে রেখে যাবে তখন তোমার অনেক কষ্ট হবে। তুমি সইতে পারবে না। তাই বলছিলাম’৷ এ ঘটনার ম্যাসেজটি বোঝার চেষ্টা করো।

ও আমার সন্তানেরা, অন্তর থেকে অহংকার আর প্রতিশোধ স্পৃহা ছেড়ে ফেলো। সকল কাজে কথায় সহনশীল হয়ো। অহংকার তা ধন দৌলত, বড় ডিগ্রী, বড় পদ মর্যাদা, স্বাস্থ্য-শরীর-সৌন্দর্য যাই হোকনা কেন তা পরিত্যাজ্য। অহংকার এক মাত্র আল্লাহরই সাজে। অহংকার আল্লাহর গায়ের চাদর। মনে অহংকার রাখা মানে আল্লাহর চাদর ধরে টান দেওয়া। যা আল্লাহর বড়ই অপছন্দ। অহংকারের শাস্তি আল্লাহ কঠিন হাতে দিয়ে থাকেন। মানুষের মাঝে কোন বিষয়ে উঁচু নীচু মনে করে কাউকে হেয় মনে করবে না। আল্লাহর দৃষ্টিতে সকলেই সমান। অধিনস্তদের সাথে আচরণে ভেদাভেদ রাখবে না। এ জন্যই নামাজে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াবার নির্দেশ আছে, যাতে মনিব চাকর, মূচী মন্ত্রী এক হয়ে যায়।

চাহিদাকে মিনিমামে রাখবে আর আল্লাহ যখন যে অবস্থায় রাখে তাতেই সুখ আছে মনে করবে। রসুল সঃ বলেছেন যে, যে তার বর্তমান অবস্থায় সন্তুষ্ট, প্রকৃত সুখী সেইই। এ বাণী আমি সারা জীবন অনুসরণ করার চেষ্টা করেছি।

একটা হাদীশ জানিয়েই শেষ করব। রসুল সঃ বলেছেন যে, কেয়ামতের দিন কোন আদম সন্তান আললাহর আদালতের কাঠ গড়া থেকে পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে এক পা ও নড়তে পারবে না। প্রশ্ন গুলি হল;-তোমাকে যে আয়ু দিয়ে ছিলাম তা কোথায় কোন কাজে খরচ করেছো, বিশেষ করে যৌবন কাল, যখন শক্তি সমর্থ ছিল। এ দুটি প্রশ্ন নিজের সম্পর্কে। পরের তিনিটি হল;-যে সম্পদ উপার্জন করেছিলে তা হালাল না হারামের। আর কোথায়ইবা তা খরচ করেছ? আর যে বিদ্যা অর্জন করে ছিলে তা কতটুকু কাজে লাগিয়েছ?

দোওয়া করি যেন আল্লাহ তোমাদের সবাইকে সঠিক পথে চলার, সৎ জীবন যাপন করার, সুখে থাকার তৌফিক দেন৷ নিজেদের ভাই বোন সহ কাছের দূরের সকল ভাই বোনের মাঝে সৌহার্দ বজায় রাখবে। পরষ্পর পরষ্পরের সহযোগিতা করবে। আত্মীয় স্বজন পাড়া প্রতিবেশীরও তোমাদের উপর হক বা দাবী আছে মনে রাখবে। যে অবস্থাতেই থাক দেশে তথা দুনিয়ায় আল্লাহর দ্বীন, ইনসাফ কায়েম করার সাধ্যমত চেষ্টা করবে। অনৈসলামিক শাসন ব্যবস্থা অন্তর থেকে কোনদিন মেনে নেবেনা। (কোরআনে অনেক যায়গায় বলা হয়েছে) এটিও নামাজ রোজার মত ফরজ জানবে।

কোন মৌলানা, ইমাম, পীর কে দেখে ইসলামকে চেনা বা বোঝার চেষ্টা না করে কোরআন, হাদীশ, রসুল সঃ ও বিশেষ সাহাবী রাঃ দের জীবনের সাহায্যে চেনার চেষ্টা করবে৷ নাবুঝে বা ভুল বুঝে অলসতায় আমি অনেক সময় হেলায় নষ্ট করেছি যা তোমরা করোনা৷

দোওয়া করি আল্লাহ তোমাদের তারই সঠিক পথে চলার তৌফিক দিন। দুনিয়া ও আখেরাতে সব কিছু সহজ করে জান্নাত দান করেন। আমিন।

তোমাদের আব্বা

বিঃ দ্রঃ;-লেখাটি আমি আমার সন্তানদের জন্য তৈরী করেছি, এর বাইরে কারও কোন পরামর্শ থাকলে জানাতে কার্পন্য করবেন না৷ অনুরোধ রইল৷)

দুইটি ঘটনা যে ব্লগার ভাইদের লেখা থেকে ধার করেছি, তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ রইলাম, ধন্যবাদ

বিষয়: বিবিধ

২১৬৪ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

348006
৩১ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৮:২২
সত্যলিখন লিখেছেন :
৩১ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১১:২৩
288936
শেখের পোলা লিখেছেন : আপার জন্য অনেক শুকরিয়া৷
348020
৩১ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১০:৫০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : চমৎকার শিক্ষনিয় লিখাটি শেয়ার এর জন্য ধন্যবাদ। পরামর্শ একটাই দিতে পারি মাওলানা দেলওয়ার হুসাইন সাঈদি সাহেবের পরিবার বর্গের প্রতি অসিয়ত নামে একটি বই বের হয়েছে। সেটা পড়ে দেখতে পারেন।
৩১ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১১:২৪
288937
শেখের পোলা লিখেছেন : পরামর্শের জন্যও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ৷
348021
৩১ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১০:৫১
আফরা লিখেছেন : খুব ভাল লাগল চাচাজান আপনার সন্তানের প্রতি নাসিয়ত পড়ে । কষ্ট একটু লাগল আমার বাবা থাকলে হয়ত আমাকে ও এরকম কিছু কথা বলত । অনেক ধন্যবাদ চাচাজান ।
৩১ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১১:২৬
288938
শেখের পোলা লিখেছেন : দুঃখ করোনা মনে করো এটা তোমার জন্যও নসিহত চাচার পক্ষ থেকে৷ ভাল থাক৷
০১ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:০৮
289011
শেখের পোলা লিখেছেন : তোমার জন্য অনেক দোওয়া রইল৷ নতুন একটা বিষয় শিখলাম৷ আমার ভয় ছির আপার মন্তব্যটা না মুছে যায়, তাতে উনি দুঃখ পেতেন৷ ভাল থাক৷
348047
০১ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০৪:৪৯
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ!

লিখাটি পড়তে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লাম! সুবহান আল্লাহ!

হৃদয়ের গভীর থেকে আসা প্রতিটি নির্দেশ প্রতিটি সন্তানরাই সুন্দরভাবে গ্রহন ও আমল করতে শিখুক এই দোআ ও শুভকামনা আমাদের সবার জন্য!

যেই স্থানটিতে মৃত্যুর স্মরণের কথা উল্লেখ করেছেন সেখানে মৃত্যু পরবর্তীতে যেনো বিদায়াত না করা হয় এবং দিবস ভিত্তিক প্রথা থেকে দূরে থাকার নসীহা আসা যেতে পারে!

এই নসীহত টি পড়ে মনের ভিতর শুধু এটাই বাজছে, আমি কি এরকম কিছু তৈরি করেছি নিজের জন্য, নিজের সন্তানদের জন্য যেনো তারা ইসলামের আদর্শে সদা বলীয়ান থাকে? চমৎকার একটি সংশোধনী হলো আমার নিজের জন্য!



লিখাটি প্রিয় তে নিলাম এবং প্রিয়দের পড়ার আমন্ত্রণ জানালাম!

আল্লাহ আপনাকে মজবুত ঈমান, সুন্দর আমল ও উত্তম দায়ীর পথে রাখুন! সুস্থ ও সুন্দর রাখুন! দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণে রাখুন!আমীন।

জাযাকাল্লাহু খাইর! Good Luck Praying
০১ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ০৭:০৭
288953
শেখের পোলা লিখেছেন : অ আলায়কুমুস সালাম অন রহমাতুল্লাহ৷ আপনার উপদেশে উপকৃত হলাম৷ ও আপনার মন্তব্যে আমিও আল্পুত হলাম৷ আল্লাহ আপনার দোওয়া আমাদের সবার জন্য কবুল করুন, আমিন৷এটি বহুল প্রচারে আপনার আগ্রহের জন্য অনেক অনেক শুকরিয়া৷
348259
০২ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:০৪
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : কোরানের আলোকে হেদায়াত মুলক লেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
০২ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১০:৫৭
289109
শেখের পোলা লিখেছেন : সাথে থাকার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ৷
348386
০৪ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১২:৪১
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান। দুনিয়াতে আমরা মুসাফির এই চিন্তা বন্ধ হয়ে গেলে আমরা বিপদগামী
০৪ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০১:৪২
289192
শেখের পোলা লিখেছেন : হাছা কথা কইছেন চাচা৷ ভাল থাকেন৷
348986
০৮ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:২৮
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

দোয়া করি যেন আমাদের সন্তানেরা এসব অনুসরণ করতে পারে

জাযাকাল্লাহ..
০৮ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:৫২
289675
শেখের পোলা লিখেছেন : আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ৷আমিন৷

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File