দাজ্জাল ও ইয়াজুজ মাজুজ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত প্রতারণাপূর্ণ বিশ্বব্যবস্হা (গ্লোবাল ভিলেজ), জেরুজালেম(ইজরাইল/ফিলিস্তিন)-বনী ইজরাঈল ও খৃষ্টান এবং যুদ্ধবিদ্ধস্ত মুসলিমদের ভবিষ্যৎ! ৬ষ্ঠ পর্ব....

লিখেছেন লিখেছেন ঘুম ভাঙাতে চাই ২৮ জুলাই, ২০১৬, ০৬:৫৯:১৯ সন্ধ্যা



ইয়াজুজ মাজুজ অতি ভয়ানক দানব, তাদের বিশাল বিশাল কান আছে যা দিয়ে তারা পুরো শরীর ঢেকে রাখে, তারা হাওয়া (আঃ) এর গর্ভে নয়, বরং আদম (আঃ) এর বীর্য মিশ্রিত মাটি হতে নারীর গর্ভ ছাড়াই জন্ম নিয়েছে, তারা মানুষ নয় বরং ভিন্ন প্রজাতি, তাদের একেকজন মৃত্যুর পূর্বে প্রায় একহাজার বংশধর জন্ম দেয় - এসব প্রতিটি বর্ণনাই এসেছে ইজরাইলী সোর্স হতে এবং দু-একটি জাল/মিথ্যা হাদিস হতে তাই ইবনে কাসির সহ, আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ এর আলিমগণ এসবকে মিথ্যা বলে অভিমত পোষণ করেছেন এবং প্রত্যাখ্যান করেছেন। কারণ রাসূল (সাঃ) বলেছেন, তারা মানুষ, আদম সন্তান তবে কলুষিত (সহীহ বুখারী, অধ্যায়: ৫০/আম্বিয়া কিরাম, হাদিস নং: ৩১০৯ ও ৩১১১)

আমরা এই মানব সম্প্রদায়কে নিয়ে যুক্তিযুক্ত আলোচনা পেশ করার জন্য পবিত্র কুরআনের সূরা কাহাফ ও সূরা আম্বিয়া, বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন হতে বাংলা অনুবাদে প্রকাশিত ৬ টি সহীহ হাদিসগ্রন্হের যথাক্রমে- বুখারী: অধ্যায়- ৮১/ফিৎনা, ৮৫/কুরআন সুন্নাহকে আকড়ে ধরা, ৫০/আম্বিয়া কিরাম, সহীহ মুসলিম: অধ্যায়- ৫৫/ফিৎনা ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী, সুনানে আবু দাউদ: অধ্যায়:- ৩০/ফিৎনা, ৩২/যুদ্ধ-বিগ্রহ, সুনানে তীরমীজী: অধ্যায়:- ৩৬/ফিৎনা, ইবনে মাজাহ: অধ্যায় ৩০/কলহ বিপর্যয় অংশ এবং ইবনে কাসির (রঃ) রচিত নির্ভরযোগ্য ইসলামের ইতিহাস গ্রন্হ আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ও তাফসীরে ইবনে কাসির, বাইবেল, শাইখ ইমরান নজর হুসাইন রচিত জেরুজালেম ইন দ্যা হোলি কুরআন, কেভিন এ্যালান ব্রুক রচিত The Jews of Khazaria, Arthur Koestler রচিত থার্টিন ট্রাইব এবং বিভিন্ন টপিকের বিস্তারিত তথ্য প্রদানের সহজ পথ হিসেবে উইকিপিডিয়া, এনসাইক্লোপিডিয়া অব ব্রিটানিকা এবং http://www.khazaria.com ওয়েবসাইট ব্যবহার করব, ইনশাআল্লাহ! যার লিংক নীল কালি দ্বারা চিহ্নিত করা থাকবে।

#রোম ও পারসিয়ানরা হুন জাতিগোষ্ঠীকে ইয়াজুজ মাজুজ (Gog and Magog) হিসেবে বিশ্বাস করত।

#মধ্যযুগে মুসলিমরা খাজার জাতিগোষ্ঠিকে ইয়াজুজ মাজুজ মনে করত। আহমাদ ইবনে ফাজলান ও সে সময়কার অন্যান্য মুসলিম ঐতিহাসিকদের বর্ণনাতেও তা উল্লেখ করা হয়েছে। Arthur Koestler তার থার্টিন ট্রাইব গ্রন্হেও মুসলিমদের এই বিশ্বাসের কথা উল্লেখ করেছেন।

#সাইয়েদ কুতুব সহ বেশ কিছু আলিম ৬৫৬ হিজরীতে আব্বাসী খেলাফতের উপর মঙ্গোল-তাতার(তুর্ক) বাহিনীকে ইয়াজুজ মাজুজ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

#ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতার অন্যতম নেতা ও তৎকালীন বিখ্যাত আলিম মাওলানা আবুল কালাম আজাদ মার্কসইজম-কমিউনিজম এর উল্থান, সোভিয়েত ইউনিয়ন এর ১৯১৭ সালের রক্তাক্ত বিপ্লব, দ্রুতগতিতে আজারবাইজান থেকে রাশিয়া ও রাশিয়া থেকে চীন পর্যন্ত তার ব্যপ্তি ও তাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক মুসলিম গণহত্যা এসবের নেতৃত্বে যারা ছিল তাদেরকে তিনি ইয়াজুজ মাজুজ হিসেবে উল্লেখ করেন।

#প্রাচীন আলেমদের বড়একটি অংশ এই ব্যাপারে একমত যে, ইয়াজুজ-মাজুজ মূলত মঙ্গোলিয়ান বা তুর্ক সম্প্রদায়ভুক্ত গোত্র।

#বর্তমান ইউরোপিয়ান ইহুদিদের দাবি, রাশিয়ানরাই হল ইয়াজুজ মাজুজ।

আমাদের কাছে ৫ টি মতই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে আমাদের আলেমদের নিকট আমরা কৃতজ্ঞ। মহান আল্লাহ তাদের জান্নাতের সর্বোচ্চ শিখরে স্হান দিন।

#হুন ও খাজার দুটিই মূলত তুর্ক জাতিগোষ্ঠী।খাজাররা এক সময় হুনদের নিয়ন্ত্রণাধীন শাসনে ছিল। হুনদের পতনের পর সবচেয়ে শক্তিশালী তুর্ক জাতি হিসেবে খাজাররা কাস্পিয়ান সাগর ও কৃষ্ঞসাগর ও ইউরাল সাগর এলাকায় বিশাল রাজ্য গড়ে তোলে।

#চেঙ্গিস খান নেতৃত্বাধীন আগ্রাসনকে মঙ্গোল আগ্রাসন হিসেবে উল্লেখ করা হলেও তা মঙ্গোলদের নিজস্ব আধিপত্য ছিলনা। তার বাহিনীর ৭০% লোকই ছিল মূলত তুর্ক জাতিগোষ্ঠীর। এজন্য পরবর্তীতে একে মঙ্গোল-তাতার আগ্রাসন হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

#মাওলানা আবুল কালাম আজাদ সোভিয়েত ইউনিয়নের কুশিলবদের ইয়াজুজ মাজুজ হিসেবে উল্লেখ করেছেন যা আজকের অনেক আলেম না বুঝে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলেও সেটাও আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রশ্ন আসতেই পারে, মাওলানা আজাদ কোন যুক্তিতে ইয়াজুজ মাজুজকে তাদের সাথে তুলনা করলেন?? কি বোকামি! নাহ এটি মোটেও বোকামী না Arthur Koestler রচিত থার্টিন ট্রাইব বইটি এই প্রশ্নের উত্তর দেয়।Arthur Koestler ছিলেন হাঙ্গেরিয়ান-ব্রিটিশ নাগরিক। ধর্মে তিনি ইহুদি এবং তিনি ছিলেন একজন সক্রিয় কমিউনিস্ট রাজনীতিবিদ। আসলে তিনি কমিউনিস্ট আদর্শের শেকড় খুঁজতে গিয়েই থার্টিন ট্রাইব বইটি রচনা করেছিলেন। স্বচ্ছ ধারণা নেয়ার জন্য বইটি পড়তে পারেন। কমিউনিস্ট আন্দোলনকে আমাদের কাছে রাশিয়ানদের নিজস্ব আন্দোলন মনে হলেও এর পেছনে মূলত ছিল ইউরোপিয়ান ইহুদি গোষ্ঠী যাদের কাছে ইসলাম ও খৃস্টানধর্ম উভয়ের অবস্হান ছিল সমান। তাই আমরা দেখি ধার্মিক খৃস্টানরা পর্যন্ত কমিউনিস্টদের বর্বরতা থেকে রেহায় পায়নি। আর এই ইউরোপিয়ান ইহুদিদের বীজ বপন হয়েছিল খাজার রাজ্যে যেই খাজাররা ছিল মূলত তুর্ক জাতিগোষ্ঠি। আধুনিককালে কেউ কেউ তাদের তুর্ক-মঙ্গোল মিশ্র জাতি হিসেবে উল্লেখ করেন। খাজাররা মূলত খলিফা হারুনুর রশিদের খেলাফতকালে ইহুদি ধর্ম গ্রহণ করে, তারা বনী ইজরাঈলের ১২ গোত্রের বংশধর নয়।


আমি ব্লগার "সাদাচোখে" ভাইয়ার কাছে সাহায্যের আবেদন করছি। সোভিয়েত ইউনিয়ন তথা কমিউনিস্ট আন্দোলন যে মূলত ছিল ইউরোপীয় ইহুদিবাদি আন্দোলন সে ব্যাপারে একটি ব্লগপোস্ট আশা করছি যেন পাঠকরা এই ব্যাপারটায় স্বচ্ছ ধারণা লাভ করতে পারেন।

#রাশিয়ানদের সাথে যদি মাগগের সংশ্লিষ্টতা খোঁজা হয় তবে- জার্মান, এংলো-স্যাকশন তথা ইংলিশভাষী জাতিগোষ্ঠী, আইরিশ সবার সাথেই তা কমবেশি জড়িত। কেননা রাশিয়ান সহ এসকল জাতিগোষ্ঠীর সাথে Vikings দের সম্পর্ক বিদ্যমান যাদের প্রাচীন আবাস Scandinavia তথা আজকের দিনের ডেনমার্ক, নরওয়ে, সুইডেন। আমরা দেখি, সমস্ত ইউরোপিয়ান জাতিগোষ্ঠীর মাঝে এরাই সেই সম্প্রদায় যারা নিজেদেরকে ইয়াফিস পুত্র মাগগ (মাজুজ) এর বংশধর বলে দাবি করে এবং তার সপক্ষে ঐতিহাসিক দলিল, প্রমাণাদি হাজির করে।

তুর্ক ও মঙ্গোলিয়ান রহস্য:-

প্রাচীনকাল থেকেই ইতিহাসবিদেরা মঙ্গোল ও তুর্ক জাতিগোষ্ঠীর ব্যাপারে বিভ্রান্ত ছিলেন। এতদিন পর্যন্ত দাবি করা হত তুর্করা মূলত মঙ্গোলিয়ান জাতিরই অংশ। উভয়ের ভাষা Altaic languages শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। প্রাচীন তুর্ক জাতিগোষ্ঠি মঙ্গোলিয়া থেকে সাইবেরিয়া পর্যন্ত এলাকায় বসবাস করত পরে তারা ইউরাল সাগর, কাস্পিয়ান ও কৃষ্ঞসাগর মধবর্তী অঞ্চল ও পূর্ব ইউরোপীয় এলাকায় ছড়িয়ে পরে। বলা হয়, তুর্ক ও মঙ্গোলিয়ান উভয়ের উৎপত্তি মূলত মঙ্গোলিয়াতেই আর তাদের চেহারার গঠনেও সামান্য মিল রয়েছে। আর উভয়ের ইতিহাসও আমাদেরকে বিভ্রান্ত করে তাদের মধ্যকার সম্পর্ক দেখে। যেখানেই মঙ্গোলিয়ানদের রাজত্ব ছিল সেখানে তুর্কদের প্রবেশ ছিল অবারিত। আবার যেখানেই তুর্ক জাতিগোষ্ঠী নতুন বসতি গেড়েছে, মঙ্গোলিয়ানরাও সেখানে ছিল সমানভাবে আমন্ত্রিত, তাদের শত্রুও ছিল কমন। চাইনিজদের বিরুদ্ধে তারা একজোট হয়ে লড়েছে, চেঙ্গিস খানের বাহিনীতে মঙ্গোলিয়ান থেকে তুর্ক জাতিগোষ্ঠীর আধিক্য ছিল বেশি যা প্রায় ৭০%। আগেকার গ্রীক তথা বাইজেন্টাইনরাও হুনদের মূলত মঙ্গোলিয়ান জাতিগোষ্ঠীর অংশ বলেই বিশ্বাস করত। আবার মজার বিষয় হল ভারতে মোঘল সম্রাজ্য তুর্কদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হলেও ভারতের ইতিহাসবিদরা মনে করেন, মোঘলরা ছিল মঙ্গোলিয়ান জাতিগোষ্ঠি, অথচ তারা ছিল তুর্ক, তাদের ভাষাও ছিল তুর্কী। তুরষ্কে তুর্কি উসমানী খেলাফতও তুর্কিদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়, মঙ্গোলিয়ানদের দ্বারা নয়। ইউকিপিয়ায় উল্লেখিত http://www.historyfiles.co.uk ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, "মঙ্গোলিয়া মূলত ছিল তুর্কজাতিগোষ্ঠী দ্বারাই শাসিত। ১৮ টি তুর্ক গোত্র মঙ্গোলিয়া নিয়ন্ত্রণ করত। এর রাষ্ঠ্রীয় কাঠামো ও কর্মপন্হা তুর্করাই নির্ধারণ করত। এর রাষ্ঠ্রীয় ভাষা ছিল:- Uigrian, যা ছিল মূলত তুর্কী ভাষা।" কিন্তু তুর্ক ও মঙ্গোল উভয় জাতি উভয়ের সাথে এতটাই ওতপ্রোতভাবে জড়িত যে, ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর পক্ষে তাদের কারো থেকে কাউকে আলাদা করা ছিল খুব কঠিন। এজন্যই ইতিহাসবিদরা তাদের একই জেনেটিক ওরিজিন থেকে উদ্ভুত বলে বিশ্বাস করত, তাদের এক জাতি হিসেবেই মনে করত। কিন্তু অতি সাম্প্রতিক জেনেটিক রিসার্চ হাজার বছরের বিশ্বাসকে পুরোপুরি ভুল প্রমাণ করে দিয়েছে। তুর্করা মঙ্গোলিয়ান বংশোদ্ভুত নয় উভয়ই আলাদা জাতিগোষ্ঠী। তবে এদের মাঝে কাজাক জনগোষ্ঠীর মাঝে মঙ্গল তুর্ক মিশ্রতা কিছুটা দেখতে পাওয়া যায়। যাইহোক, নিজেদের প্রয়োজনেই তারা একে অপরের সাথে মিশেমিলে এক জাতির মতই ইতিহাসে রোল প্লে করেছে, আবার কখনো বা তাদের মাঝে গোত্র দ্বন্দ-সংঘাতও লক্ষ্য করা যায়। সম্ভবত ব্লগার ডাক্তার আফরা সাইয়ারা আমাকে এইসব জটিল ডিএনএ টাইপ জিনিসগুলি প্রকাশে সাহায্য করতে পারতেন!

এটাই হল সেই কারণ যার জন্য আমাদের মধ্যকার কিছু আলিম ইয়াজুজ মাজুজকে তুর্ক না বলে সরাসরি মঙ্গোলিয়ান দুটি গোত্র হিসেবে উল্লেখ করেছেন, কারণ তারাও জানতেন তুর্করা মূলত মঙ্গোলিয়ান জাতিগোষ্ঠিরই অন্তর্ভুক্ত।

অর্থাৎ আমরা দেখছি, ইয়াজুজ মাজুজ বা গগ-মাগগ সম্পর্কে তথ্য-প্রমাণ আমাদেরকে তুর্ক জাতিগোষ্ঠী ও নিজেদের মাগগ (মাজুজ) এর বংশধর হিসেবে দাবি করা একদল প্রাচীন ইউরোপীয় বর্বর জাতিগোষ্ঠীর দিকেই নিয়ে যাচ্ছে। "ইয়াজুজ মূলত তুর্ক জাতিগোষ্ঠীর সাথে অন্তর্ভুক্ত" যাদের পূর্বপুরুষ আদি তুর্ক গোত্রসমূহ মঙ্গোলিয়া বা মধ্যএশিয়া থেকে কৃষ্ঞ সাগর ও কাস্পিয়ান সাগর মধ্যবর্তী ও আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পরে এবং মাজুজ বা মাগগদের আমরা আবিষ্কার করি Scandinavia এলাকায়, যাদের হাজার বছর ধরে দীর্ঘসময় অনুপস্হিত থাকতে দেখা যায় কিন্তু হটাৎই এই অপরিচিতরা আগ্রাসী, বর্বর চেহারায় পৃথিবীর মানুষের সামনে ভয়ানক আতঙ্ক হিসেবে হাজির হয় vikings নামে। তাদের জাহাজগুলো ইউরোপীয় জগতে নোঙ্গর করতে শুরু করে আর ইউরোপে তারা নিজেদের আধিপত্য ও দখলদারিত্ব কায়েম করে। আমরা এক্ষেত্রে বাইবেলের বর্ণনা উদাহরণ হিসেবে পেশ করতে পারি:বাইবেল মতে, গগ মাগগদের দেশে আবির্ভূত হবে এবং জেরুজালেমে আক্রমণ করে পরাজিত হবে।

"Son of man, set your face against Gog, of the land of Magog, the chief prince of Meshek and Tubal; prophesy against him (ওল্ড টেস্টামেন্ট, Ezekiel 38:2)

এবার আমরা কুরআন-হাদিসে বর্ণিত ইয়াজুজ মাজুজ নিয়ে আলোচনায় যেতে পারি। তবে সম্ভবত অনেক কথা লেখা হয়েছে তাই আপনাদের ধৈর্যচ্যুতি ঘটাতে চাইনা। ইনশাআল্লাহ পরের পর্বসমূহে বিস্তারিত আলোচনা করব যদিও বর্তমান পরিস্হিতির জন্য সংশয় থেকেই যায়।

চলবে.................ইনশাআল্লাহ.............।

১ থেকে ৫ম পর্বের লিংক

1. http://www.desh-bd.net/blog/blogdetail/detail/3557/warrior2013/77593#.V5j32dlxVcs

2. http://www.desh-bd.net/blog/blogdetail/detail/3557/warrior2013/77631#.V5j4ctlxVcs

3. http://www.desh-bd.net/blog/blogdetail/detail/3557/warrior2013/77659#.V5j4s9lxVcs

4. http://www.desh-bd.net/blog/blogdetail/detail/3557/warrior2013/77709#.V5j469lxVcs

৫. http://www.news-bd.net/blog/blogdetail/detail/3557/warrior2013/78471#.V68Go1rbspE

বিষয়: বিবিধ

২৮২৯ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

375465
২৮ জুলাই ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৩৫
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ছোট আপি।


#বর্তমান ইউরোপিয়ান ইহুদিদের দাবি, রাশিয়ানরাই হল ইয়াজুজ মাজুজ। (এটাকে আমরা ভূতের মুখে রাম রাম হিসেবেই মনে করি তাই প্রত্যাখ্যান করলাম।) আমাদের কাছে প্রথম ৪টি মতই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে আমাদের আলেমদের নিকট আমরা কৃতজ্ঞ। মহান আল্লাহ তাদের জান্নাতের সর্বোচ্চ শিখরে স্হান দিন। ভালো লাগলো।

সাদা চোখে ভাইয়া এগিয়ে আসুন! প্রত্যাশা রইলো।

জাজাকাল্লাহু খাইর।
০১ আগস্ট ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৫৯
311520
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম। লেখাগুলো অনেক বড়, অনেক জটিল, পুরো ধৈর্য রেখে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে বসে লিখতে হয়। এতকিছুর পরেও কঠিন। আমার বয়স কম, ধৈর্য কম তাই মাঝে মাঝেই ইনফরমেশন গ্যাপ পরে যাচ্ছে। লেখাগুলি যদি কোন মধ্যবয়ষ্ক ধিরস্হির মানুষ, পিএইচডি হোল্ডার এমন কেউ লিখতেন সেটা বেশি ভাল হত। জাঝাক আল্লাহ আপি।
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ দুপুর ১২:৪০
313044
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : #রাশিয়ানদের সাথে যদি মাগগের সংশ্লিষ্টতা খোঁজা হয় তবে- জার্মান, এংলো-স্যাকশন তথা ইংলিশভাষী জাতিগোষ্ঠী, আইরিশ সবার সাথেই তা কমবেশি জড়িত। কেননা রাশিয়ান সহ এসকল জাতিগোষ্ঠীর সাথে Vikings দের সম্পর্ক বিদ্যমান যাদের প্রাচীন আবাস Scandinavia তথা আজকের দিনের ডেনমার্ক, নরওয়ে, সুইডেন। আমরা দেখি, সমস্ত ইউরোপিয়ান জাতিগোষ্ঠীর মাঝে এরাই সেই সম্প্রদায় যারা নিজেদেরকে ইয়াফিস পুত্র মাগগ (মাজুজ) এর বংশধর বলে দাবি করে এবং তার সপক্ষে ঐতিহাসিক দলিল, প্রমাণাদি হাজির করে।
375476
২৮ জুলাই ২০১৬ রাত ০৮:৪১
আবু জান্নাত লিখেছেন : Thinking Thinking Thinking Thinking Thinking Thinking আরো জানার অপেক্ষায় রইলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ জাযাকিল্লাহ খাইর
০১ আগস্ট ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:০০
311521
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : হুম! ভাইয়া জানতে থাকুন। আল্লাহই জানেন কি অপেক্ষা করছে??
375482
২৮ জুলাই ২০১৬ রাত ১১:৪৮
আসমানি লিখেছেন : পরবর্তী পোস্ট এর অপেক্ষায়
০১ আগস্ট ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:০১
311523
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আপনি তো হারিয়েই গেলেন। আর তো দেখছিনা আপু। ঢুকতে পারছেননা ব্লগে সম্ভবত, তাইনা?
২০ আগস্ট ২০১৬ রাত ০২:৩৫
312110
আসমানি লিখেছেন : জ্বি,
ঠিক ধরেছেন!
অনেক কষ্টে ব্লগে এলাম।
আমার সঠিক ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড কে ভূল বলছে কেন বুঝতে পারছিনা।
পরে ইমেইল এর সহায়তা নিয়ে ব্লগে ঢুকলাম।
375503
২৯ জুলাই ২০১৬ রাত ০৮:৩৮
শেখের পোলা লিখেছেন : চলতে থাকুক। মা শা আল্লাহ।
০১ আগস্ট ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:০৩
311524
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : চালাতে গিয়ে আমার অবস্হা কাহিল চাচাজান। তবে শুরু করার স্পর্ধা যখন দেখিয়েছি আল্লাহ যেন শেষ করার সাহসও দেন এই দোয়া করবেন।
375538
৩০ জুলাই ২০১৬ দুপুর ০২:৪৩
সাদাচোখে লিখেছেন : আমি ইনশাল্লাহ চেষ্টা করবো আপনার নির্দেশিত বিষয়ে একটা পোষ্ট দিতে, কিন্তু আপনার মত অমন ফ্যাক্টস ও রেফারেন্স সমৃদ্ধ করা আমার জন্য কষ্টকর হবে।

আর আমি আপনার পারমিশান চাইছি আপনার এই লিখার কিছু কিছু রেফারেন্স আমি আমার প্রেজেন্টেশানে এ ব্যবহার করার।
৩১ জুলাই ২০১৬ রাত ০৮:১৭
311479
আবু সাইফ লিখেছেন : ০৮ জুলাই ২০১৬ রাত ০৪:৪৮310445
সাদাচোখে লিখেছেন : @ আবু সাইফ ভাই, আসসালামুআলাইকুম। ব্যাক্তিগতভাবে বিভিন্ন সময়ে আপনার লিখা ও কমেন্ট আমি গুরুত্ব সহকারে পড়ি, আপনাকে সন্মান করি ও আল্লাহর জন্যই ভালবাসি।

দয়া করে আমার প্রতি বিরুপ হবেন না। আমি একটা প্রশ্নের যথার্থ ও ডেটেইল উত্তর খুঁজছি অনেক অনেক দিন ধরে - কিন্তু পরিতৃপ্তির সাথে পাচ্ছিনা। উপরের কমেন্ট এ আপনি বললেন আপনার আনুভূতিটি উল্লেখ করেছেন এবং আমার মনে হয়েছে হয়তো আপনি অকপটে কিছু কথা বললে আমার মনের ভিতরে থাকা কোয়ারি টির একটি দিক নির্দেশনা পাব।

ব্যাক্তিগতভাবে আমি দেখিছি আখেরি জামানা নিয়ে কেউ আলাপ আলোচনা কিংবা লিখালিখি করলে - ইসলামপ্রিয় ভাইরা কেন যেনঃ
- হাদীস কোরান ও ফ্যাক্টস ফিগার এর প্রতি অমনোযোগীতা দেখান।
- ক্ষেত্র বিশেষে অস্বীকার করেন, নেগলেক্ট করেন, এ্যাভয়েড করেন।
- ষঢ়যন্ত্র ত্বত্ত বলে শুনতে চান না, পড়তে চান না, দেখতে চান না।
- হাজার কিংবা শত বছরের পুরোনো কোন একজন আলেম কিংবা ওলামার ব্যাখ্যা বিশ্লেষন দিয়ে কাউন্টার দিতে যান এবং আলোচনায় কিংবা বিচার বিশ্লেষনে নিয়োজিত হতে চান না, বাই পাস করেন।
- এবং সব শেষে আলোচ্য ইস্যু ছেড়ে ব্যাক্তির চরিত্র, ব্যাক্তির ধর্মে বিশ্বাস, নলেজ এর অভাব, সার্টিফিকেট কতটুকু, জানাশোনা কোন লেভেল এর, কোন সেক্ট কিংবা মাজহাব ইত্যাদির অবতারনা করেন।

আপনার কাছে আমার কোয়ারিজ হলঃ যদি আপনার নিজস্ব অভিজ্ঞতা দিয়ে আমাকে বলেন কেন ইসলাম প্রিয় ভাই বোন রা এ বিষয়টিকে এভাবে হেলা ফেলা করে? ঠিক কি মনে উদয় হয় আপনার মত মানুষদের যখন আপনারা এ নিয়ে পড়েন, কিংবা আলোচনা শুনেন? ঠিক কি হয় একজন পড়ালিখা করা আলেম এর? টিভি ব্যাক্তিত্বের? ঠিক কি কারনে আলেম রা মুসলিমদের বিরুদ্ধের দুনিয়ায় সংঘঠিত এ সব বিষয়ের কোরান ও হাদীসের আলোকে গ্রহনযোগ্য ব্যাখ্যা বিশ্লেষন সামনে আনতে ব্যার্থ হয় কিংবা হচ্ছে? আর যারা আনার চেষ্টা করছে তাদেরকে গ্রসলি ক্রুশবিদ্ধ করার চেষ্টা করে?

আমি অনেস্টলী এ প্রশ্ন সমূহের উত্তর খুঁজছি - যদি দয়া করে কিছুটা সময় নিয়ে কনভিন্সিংলী আলোক পাত করেন - উপকৃত হব।
রিপোর্ট করুন |
১৮ জুলাই ২০১৬ রাত ১২:৫৩310935
আবু সাইফ লিখেছেন : @ঘুম ভাঙাতে চাই : আবারো আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ.. ।
পেশাগত ব্যস্ততায় ব্লগে খুবই অনিয়মিত হয়ে যাওয়াতে আপনার মন্তব্য / প্রশ্ন গুলো আমার দেখা হয়নি! যাহোক, আমি সময় সুযোগ করে জবাব দিতে চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
পেশাগত কারণে ইমেইলে থাকতে হয় ১২-১৫ঘণ্টা, সেটাতে আলাপ করা আমার জন্য সুবিধাজনক, আলাদা সময় বের করতে হয়না! আপনার যদি আপত্তি না থাকে-



০১ আগস্ট ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:০৭
311525
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আমি তো আর পিএইচডি করছিনা ভাইয়া। এই লেখা দিয়ে বই বের করে ফেলব তাও আশা করিনা। কিছু মানুষের যদি উপকার হয়,সেই উসিলায় আল্লাহ যদি আমাকে শাস্তির মাঝ থেকেও বাঁচান তাই যথেষ্ট। অন্য ব্লগে মানুষ ইসলাম নিয়ে মাথা ঘামায় কম, এত জানেওনা কিন্তু এই ব্লগের পরিবেশ তো জানেনই তাই কাটায় কাটায় রেফারেন্স না দিতে পারলে তারা এটাকে উড়িয়ে দেবে। আমার লেখাগুলি আপনি ব্যবহার করতে পারেন। আর অনুরোধ থাকবে আপনিও কমিউনিজম নিয়ে শীঘ্রই পোস্ট দিবেন। জাঝাক আল্লাহ।
০২ আগস্ট ২০১৬ রাত ০৪:২১
311554
সাদাচোখে লিখেছেন : @ আবু সাইফ ভাই, আপনার দেয়া ইমেইল এ্যাড্রেসে আমি একটা মেইল করেছিলাম - কিন্তু উত্তর পাইনি।
375671
০১ আগস্ট ২০১৬ রাত ০৩:০৬
কুয়েত থেকে লিখেছেন : প্রাচীন আলেমদের বড় অংশ এই ব্যাপারে একমত যে, ইয়াজুজ মাজুজ মূলত মঙ্গোলিয়ান বা তুর্কদের দুটি গোত্র ভালো লাগলো ধন্যবাদ
০১ আগস্ট ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:০৮
311527
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : জাঝাক আল্লাহ নিয়মিত আমার লেখায় ধৈর্য ধরে রেখেছেন। Good Luck Good Luck
375857
০৪ আগস্ট ২০১৬ সকাল ১০:৩৬
জাকারিয়া কবির লিখেছেন : খুব সুন্দর পোস্ট।তত্ত্ব ও তথ্যে ভরা।ভাল লাগল।
১৪ আগস্ট ২০১৬ দুপুর ০১:১৩
311966
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : তথ্য তো সঠিক না হলে উপায় নেই ভাইয়া কারণ এটা গবেষণাধর্মী লং একটা সিরিজ। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
১৪ আগস্ট ২০১৬ দুপুর ০১:১৩
311967
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : তথ্য তো সঠিক না হলে উপায় নেই ভাইয়া কারণ এটা গবেষণাধর্মী লং একটা সিরিজ। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
377546
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ দুপুর ০২:৩৫
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : আচ্ছালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ
আপু আল্লাহ আপনাকে আরো অধিক জ্ঞানের অধিকারীনি বানাক অনেক কষ্ট করে গুরুত্বপুর্ন তথ্থ সংগ্রহ করেছেন জাযাকাল্লাহ খায়ের
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ দুপুর ১২:৪২
313045
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম।
এই লেখায় একটা জায়গায় দুর্বলতা ছিল।
#রাশিয়ানদের সাথে যদি মাগগের সংশ্লিষ্টতা খোঁজা হয় তবে- জার্মান, এংলো-স্যাকশন তথা ইংলিশভাষী জাতিগোষ্ঠী, আইরিশ সবার সাথেই তা কমবেশি জড়িত। কেননা রাশিয়ান সহ এসকল জাতিগোষ্ঠীর সাথে Vikings দের সম্পর্ক বিদ্যমান যাদের প্রাচীন আবাস Scandinavia তথা আজকের দিনের ডেনমার্ক, নরওয়ে, সুইডেন। আমরা দেখি, সমস্ত ইউরোপিয়ান জাতিগোষ্ঠীর মাঝে এরাই সেই সম্প্রদায় যারা নিজেদেরকে ইয়াফিস পুত্র মাগগ (মাজুজ) এর বংশধর বলে দাবি করে এবং তার সপক্ষে ঐতিহাসিক দলিল, প্রমাণাদি হাজির করে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File