আমার ভোট আমি দিব, যাকে খুশি তাকেই ক্ষমতায় আনব!

লিখেছেন লিখেছেন ঘুম ভাঙাতে চাই ২২ মে, ২০১৫, ০৯:১৫:০৬ রাত

সময়টা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের। আমার আপি সকাল সকাল ভোট কেন্দ্র থেকে ফীরে এসে ফেসবুকে হতাশার একটা স্টাটাস দিল, "ভোট দিতে গিয়েছিলাম কিন্তু কেন্দ্রে গিয়ে বুঝলাম, সবই আগে থেকেই নির্ধারিত হয়ে গেছে, আমার ভোটের কোন মূল্য নেই কিন্তু যেহেতু অধিকার, তাই ছাড়িনি।"

আমি কমেন্ট করলাম, আপু তুমি ভোট দিলে কেন? এটা মোটেও ঠিক করনি।

আপু খুব রেগে গেল। আমাকে ইনবক্স করল, একদম চুপ কর। তুই ভাল করেই জানিস আমি আওয়ামী-বিএনপি-জামাত কাউকে ভোট দিতে যাইনি, ভাল একটা মানুষ আসুক তাই চাই। অলরেডি ভূমিকম্প শুরু হয়ে গেছে আর যেভাবে পাপাচার বাড়ছে আল্লাহর আযাব আরো বাড়বে, আর আল্লাহর আযাব যেখানে শুরু হয় সেখানে মুমিন-মুশরিক কেউই তো রেহাই পায়না। তাই সমাজকে তওবার দিকে নিয়ে আসতে পারে এমন মানুষের নেতৃত্বে আসা খুব দরকার। তাই ভোট অবশ্যই দেয়া উচিত।

আমি: আপি! আচ্ছা তুমি ভোট দিয়ে আসলেই কাউকে ক্ষমতায় আনতে পারবে? গত ৪০ বছর যাবত মানুষ ভোট দিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু কেউ কি নিশ্চিত করে বলতে পারবে, "ক্ষমতা তাদের ভোটে পরিবর্তন হয়?" মানুষের এত ভোট কি কোন কিছু পরিবর্তন করতে পেরেছে? যারা নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছে তারা মানুষকে খুব আকর্ষণীয়-লোভনীয় প্রতিশ্রুতিসমূহ দিচ্ছে যে, তারা রাতারাতি নির্বাচনী এলাকা স্বর্গে পরিণত করে ফেলবে। সে যদি একবার জয়ী হয়েই যায়, তবে মানুষ ঘুম থেকে উঠেই দেখবে "তাদের স্বপ্নপূরণ হয়ে গেছে।" মানুষও তা শুনছে-গিলছে নিজের মস্তিষ্ককে বিশ্বাস করানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে যে, নেতারা যা বলছে সব সত্যি। কিন্তু বাস্তবতা হল, যারা প্রতিশ্রুতি প্রদান করছে ও যারা প্রতিশ্রুতি পাচ্ছে, উভয় পক্ষই খুব ভাল করে্ই জানে, সব কিছুই মিথ্যা। তবুও মানুষ মরিচিকার পেছনেই ছুটছে। তাহলে বল, এ অবস্হায় ভোট দিয়ে কি লাভ হবে?

আপু: তাহলে কি আমরা ফ্রিজ হয়ে যাব? আর চুপচাপ মানবসৃষ্ট দুর্ভোগ আর আসমানী দুর্যোগ পোহানোর জন্য বসে থাকব?

কথার মাঝে নটিফিকেশনে দেখলাম, আমার কমেন্টে কেউ একজন লাইক দিয়েছে, তিনি ছিলেন আয়েশা আকতার আপু (ফেসবুক সেলিব্রেটি, আহলে হাদিস মতাদর্শের প্রচারক), নীচে কমেন্টও করলেন, ইসলামে গণতন্ত্র ও নেতা নির্বাচন করার জন্য ভোট প্রদান হারাম।

এমন বেগতিক অবস্হায় আপু খুব রেগে আছেন। আমাকে বললেন, মোবাইলে কল দে তো, কথা আছে। আপুকে কল করলাম। আপু রিসিভ করে প্রথমেই আমার খোঁজ-খবর নিলেন অনেক বকা-ঝকা করলেন আমার পড়াশুনার বেহাল দশা আর পার্সোনাল লাইফের নানান সিদ্ধান্তের জন্য। এরপর শুরু করলেন আসল আলোচনা।

আচ্ছা! আমাকে গুছিয়ে বলতো ইসলামে ভোটের ব্যাপারে আসলেই কি বলা আছে??? তোরা বলিস হারাম, অন্যরা বলছে হালাল। তারাও তো দেখি ইসলামের ব্যাপারে ভাল জানে তাহলে কার কথা বিশ্বাস করব?

উত্তর দিলাম: কারো কথাই না, বরং ইসলামের কথাই গ্রহণ করে নাও, মানুষের মুখ আছে বলতে দাও।

আপু: আচ্ছা! ঠিক আছে ইসলামের কথাই বল। ভোটের ব্যাপারে ইসলামে কি বলা আছে?

বেশ কিছু সহীহ হাদিস চোখের সামনে পেলাম, আর সেগুলো পড়ে আমিও স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। যেন আল্লাহ নিজেই আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন, বোনকে বোঝাও।

শায়বান ইবনু ফাররুখ (রহঃ) আবদূর রাহমান ইবনু সামূরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ ﷺ আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আবদুর রাহমান! তুমি শাসন ক্ষমতা চাইবে না। কেননা, যদি তুমি তোমার চাওয়ার মাধ্যমে তা প্রাপ্ত হও, তবে তার দায়িত্ব তোমার উপর ন্যস্ত হবে। আর যদি তুমি চাওয়া ব্যতীত তা প্রাপ্ত হও, তবে এ ব্যাপারে তুমি (আল্লাহর তরফ থেকে) সাহায্য পাবে।( মুসলিম, হাদিস নং:৪৫৬৪, মান: সহীহ)

আবূ বাকর ইবনু আবূ শায়বা ও মুহাম্মাদ ইবনু আলা (রহঃ) আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, (একদা) আমি এবং আমার দুই-চাচাত ভাই নাবী ﷺ - এর নিকট উপস্থিত হলাম। ঐ দুই ব্যক্তির একজন বললো, ইয়া রাসুলুল্লাহ! মহান আল্লাহ আপনাকে যে সমস্ত রাজ্যের কর্তৃত্ব প্রদান করেছেন তার কিছু অংশে আমাদেরকে আমীর নিযুক্ত করুন। অপরজনও অনুরুপ বললো। তখন তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! আমরা এমন কাউকে নের্তৃত্বে আসীন করিনা, যে তার জন্য প্রার্থী হয় এবং যে তার জন্য লালায়িত হয়।( মুসলিম: ৪৫৬৬, মান: সহীহ)

শায়বান ইবনু ফাররুখ (রহঃ) হাসান থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর জনৈক সাহাবী আয়েব ইবনু আমর (রাঃ) একদা উবায়দুল্লাহ ইবনু যিয়ার (রহঃ)-এর কাছে গেলেন। তখন তিনি তাকে লক্ষ্য করে বললেন, বৎস! আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি, নিকৃষ্টতম রাখাল হচ্ছে অত্যাচারী শাসক। তুমি তাদের অন্তর্তুক্ত হওয়া থেকে সাবধান থাকবে।( মুসলিম: ৪৫৮১, মান: সহীহ)

আমার কথাগুলো শুনে আপু কেমন জানি উদাস হতে শুরু করল। :(

আলোচনা লম্বা হতে শুরু করল। আপুকে ইসলামের সাথে গনতন্ত্রের দ্বন্দ, বর্তমান যুগ ও এর ফেৎনা সম্পর্কে হাদিসের ভবিষ্যৎবাণী, কোরানের ঘটনাপঞ্জি ইত্যাদি বলতে লাগলাম। গণতন্ত্র ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আমার লেখা কিছু ব্লগপোস্টের লিংকও Click this link

Click this link

দিলাম (তবে বলিনি এসব আমার লেখা কারণ, আপু ভয় পাবে, টেনশন করবে আমাকে নিয়ে। মানা করবে এসব নিয়ে লেখতে)

আপুকে বললাম, এবার তুমিই বল তোমাকে ভোট দিতে বলি কিভাবে? মুসনাদে আহমাদে বলা হয়েছে, এব্যাবস্হাও ভেঙ্গে পরবে এটা স্হায়ী না, সেখানে তা জীবিত রাখার জন্য ভোটের কি দরকার?এই হাদিসটা শোন,

ইরবায বিন সারিয়া (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূল (সাঃ)বলেন, আর আমার পর তোমাদের কেউ জীবিত থাকলে সে বহূ (ইসলামে) মতভেদ দেখতে পাবে। তখন আমার সুন্নাহ এবং হেদায়াতপ্রাপ্ত (৩০ বছরের ৪জন খলিফা যথাক্রমে: আবূ বকর, উমার, উসমান ও আলী রাঃ) খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাহ অনুসরণ করা হবে তোমাদের অপরিহার্য কর্তব্য। এই সুন্নাহকে খুব মজবুত করে দাঁত দিয়ে চেপে ধরবে। আর দ্বীনে নতুন উদ্ভাবিত বিষয়সমূহ থেকে বিরত থাকবে। কেননা, (দ্বীনে)প্রত্যেক নব উদ্ভাবিত জিনিসই হচ্ছে বিদ'আত।আর প্রত্যেক বিদ'আতই ভ্রষ্টতা।(আহমাদ, আবু দাউদ ৪৬০৭, তিরমিজি ২৮১৫, ইবনে মাজাহ, মিশকাত ১৬৫)

আপু উত্তর দিল: এটা তো তারাও জানে যারা গনতন্ত্রের পক্ষে বলছে, তাইনা? তারাও তো ইসলামের পক্ষেই কথা বলছে যদিও কিছু খারাপ দিকও আছে। আপুর কথার পরিপেক্ষিতে হটাৎ একটা হাদিসে চোখ আটকে গেল!

মুহাম্মাদ ইবনু মূসান্না (রহঃ) হুযায়ফা ইবনু ইয়ামান (রাঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেনঃ লোকেরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে কল্যাণের বিষয়াদি জিজ্ঞাসা করত। কিন্তু আমি তাকে অকল্যাণের বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতাম এ ভয়ে যে, অকল্যাণ আমাকে পেয়ে না বসে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমরা তো জাহিলিয়াতে ও অকল্যাণের মাঝে ছিলাম। এরপর আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এ কল্যাণের মধ্যে নিয়ে আসলেন। এ কল্যাণের পর আবারও কি অকল্যান আসবে? তিনি বললেনঃ হ্যা। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, সে অকল্যাণের পর আবার কি কোন কল্যাণ আসবে? তিনি বললেনঃ হ্যা। তবে এর মধ্যে কিছুটা ধূম্রাচ্ছনতা থাকবে। আমি প্রশ্ন করলাম, এর ধূম্রাচ্ছনতা কিরূপ? তিনি বললেনঃ তখন এমন একদল লোকের উদ্ভব হবে-যারা আমার প্রবর্তিত পদ্ধতি ছাড়া অন্য পদ্ধতি- অবলম্বন করবে, আমার প্রদর্শিত হেদায়েতের পথ ছেড়ে অন্যত্র হেদায়েত ও পথের দিশা খুঁজবে। তাদের মধ্যে ভাল-মন্দ উভয়টিই থাকবে। তখন-আমি আরয করলাম, এ কল্যাণ পর কি কোন অকল্যাণ আছে? তিনি বললেন, হ্যা! জাহান্নামের দরজার দিকে আহবানকারীদের উদ্ভব হবে। যারা তাদের ডাকে সাড়া দেবে তাদেরকে তারা তাতে নিক্ষেপ করবে। আমি তখন বললাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ! তাদের কিছু বৈশিষ্ট্যের কথা আমাদের বর্ণনা করুন। তিনি বললেনঃ তাদের বর্ণ বা ধরন-ধারণ হবে আমাদের মতো এবং তারা আমাদেরই ভাষায় কথা বলবে।( মুসলিম: ৪৬৩১, বুখারী: ৬৬০৫ অর্থাৎ এটি মুত্তাফাকুন আলাইহ)

অর্থাৎ হাদিসে মডারেট ইসলামকে ধুম্রাচ্ছন্ন হিসেবেই আখ্যা দেয়া হয়েছে যার মাঝে ভাল-খারাপ সব দিকই আছে।

আপুর কন্ঠের গতি ধীর হতে লাগল, ভারি গলায় বলল, আচ্ছা একটা কথা বলতে পারবি? আমরা কি ইসলামের বিজয় দেখে যেতে পারবো না?

#কথাটা শুনে আমিও স্তম্ভিত হয়ে গেলাম, গলাটা ভারী হয়ে উঠল, কাপা কাপা গলায় বললাম: আল্লাহ ভাল জানেন, তবে আমার মনে হয়না পারব! আর আপু, না দেখতে পারলেই কি? পরকালের বিজয়ই তো আসল বিজয় তাইনা?

আপু: হ্যা! তা ঠিক।

##আপুর কাছে যা গোপন করলাম তা হল, কিয়ামত পূর্ব সময়ে হাদিসে যেসব ভয়াবহ যুদ্ধ, ভূমিকম্প, সুনামির বর্ণনা দেয়া হয়েছে, সেসব পুরণ হবার পরে খুব সামান্য কিছু মুসলিমই টিকবে যারা ইসলামের বিজয় দেখে যাবার সৌভাগ্য অর্জন করবে। কিন্তু বোনকে তো সে ভয়ে রাখতে চাইনা।##

আপু বলল: অনেক সমস্যা নিয়ে তো কথা বললি, সমাধান কি?বললাম, শান্তি বজায় রাখাটাই এখন গুরুত্বপূর্ণ, মানুষকে পাত্তা না দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ইসলামকে আকড়ে ধরাটাই কর্তব্য।

আপু বিরক্ত হয়ে বলল, সমাধান বল, লেকচার না।

উত্তর দিলাম: আপু তুমি জানো আমরা শুধু দুজনেই কথা বলছি তা না, বরং আমাদের সামান্য কথাগুলোকেও নিরাপত্তা ঝুকি হিসেবে বিবেচনা করে কেউ বসে বসে শুনছে আর রেকর্ড করছে?? আপু বলল, হ্যা! এখন তো আবার ইসলামের কথা বললেই জঙ্গি! আফসোস!! যদি শাসকরা ইসলামের কথাগুলো বুঝত তাহলে তারাও স্বস্হিতে থাকত আর আমরাও নিরাপত্তা পেতাম। আচ্ছা তোকে আর মোবাইলে বকবক করতে হবেনা বাসায় চলে আয় একদিন। আমি তো এখন বাসাতেই থাকি আর আম্মুও থাকে বাসায় কথা হবে তখন। বললাম, আচ্ছা দোয়া করো একদিন ইনশাআল্লাহ হাজির হয়ে যাব।

আপু: আচ্ছা রাখ এখন, মাথাটা ঘুরছে।

বিঃদ্রঃ লেখাকে পাঠকের হৃদয়গ্রাহী আর গুরুত্বপূর্ণ করার জন্য মূল আলোচনার অনেক কিছুই বিয়োগ করা হয়েছে আবার কিছু যোগ করা হয়েছে আশা করি ব্যাপারটিকে সহজভাবে গ্রহণ করবেন।

বিষয়: বিবিধ

১৮৯২ বার পঠিত, ৫২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

321871
২২ মে ২০১৫ রাত ০৯:৩৩
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : প্রিয়তে রাখলাম, সময় করে মনোযোগ দিয়ে পড়ব ইনশা আল্লাহ্‌।
২৩ মে ২০১৫ দুপুর ০১:০১
263104
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আপনার নামটা শুনলেই বারবার সালাহউদ্দিন আইয়ুবী (রঃ) এর ইতিহাসটা চোখের সামনে ভেসে ওঠে। জাঝাক আল্লাহ Good Luck Good Luck
321903
২৩ মে ২০১৫ রাত ১২:২৬
সালাম আজাদী লিখেছেন : লেখায় যোগ বিয়োগ যাই হয়েছে, খুব সুখপাঠ্য হয়েছে। আরো পড়তে মন চাচ্ছে
২৩ মে ২০১৫ দুপুর ০১:০৩
263106
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম। সালাম আজাদী আপনার লেখাগুলো আমার খুব ভালো লাগে নিয়মিত পড়িও যদিও লগইন করা হয়না বলে নিয়মিত কমেন্ট করা হয়না। মন্তব্য প্রদানের জন্য জাঝাক আল্লাহ Good Luck Good Luck
২৩ মে ২০১৫ রাত ১০:০৯
263186
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : উনি যে বিষয়ে ফোকাস করে লিখেছেন, সে বিষয়ে মন্তব্য আসাটা কাম্য ছিল, কিন্তু আসে নি @ সালাম আজাদী
321906
২৩ মে ২০১৫ রাত ১২:৩২
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহামাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু। মূলকথা হলো পাঠকের কাছে পড়ার আগ্রহ তৈরী করা.... আপুর সাথে কথা গুলো শেয়ারের মাধ্যমে পাঠক তথা আমার হূদয় ছূয়েছেন!! লেখাটি অনেক ভালো লেগেছে ধন্যবাদ।
২৩ মে ২০১৫ দুপুর ০১:০৫
263107
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম। কেমন আছেন ভাইয়া? মন্তব্যের জন্য জাঝাক আল্লাহ ভাইয়া। আপনার হৃদয়ে সামান্য জায়গা দিলেন তা অনেক। Good Luck Good Luck Good Luck
321910
২৩ মে ২০১৫ রাত ১২:৪৫
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : অনেক ভাল লেগেছে । ধন্যবাদ আপনাকে।
২৩ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৩৭
263158
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাসুম ভাইয়া আপনার মূল্যবান মন্তব্য প্রদানের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আর আল্লাহর কাছে অনেক দোয়া থাকবে। জাঝাক আল্লাহ ভাইয়া। Happy Good Luck Good Luck
২৩ মে ২০১৫ রাত ১০:০৮
263185
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : উনি যে বিষয়ে ফোকাস করে লিখেছেন, সে বিষয়ে মন্তব্য আসাটা কাম্য ছিল, কিন্তু আসে নি @ মিনহাজ
321928
২৩ মে ২০১৫ রাত ০১:৫২
সন্ধাতারা লিখেছেন : Salam, valuable writing. Jajakallahu khair.
২৩ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪০
263159
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ফাতিমা আপি ওয়ালাইকুম আসসালাম। কেমন আছ তুমি? কতদিন ব্লগে বসিনা। তোমাদের তো অনেক মিস করি। আমার কথা মনে রেখেছ দেখে অনেক আনন্দ হচ্ছে। আমার আপি আমার ব্লগে এসেছে। দোয়া করবে আমার জন্য আমি দিন দিন অনেক শয়তান হয়ে যাচ্ছি Yawn Yawn Good Luck Good Luck
২৩ মে ২০১৫ রাত ১০:০৭
263183
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : উনি যে বিষয়ে ফোকাস করে লিখেছেন, সে বিষয়ে মন্তব্য আসাটা কাম্য ছিল, কিন্তু আসে নি @ সন্ধ্যাতারা
321940
২৩ মে ২০১৫ রাত ০৩:২৮
আফরা লিখেছেন : ঘুম ভাঙনিয়া ভাইয়া কেমন আছেন ? আপনাকে ইদানিং দেখা যাচ্ছে না !আপনার শিক্ষনিয় লেখাগুলো থেকে কেন আমাদের বঞ্চিত রাখছেন ভাইয়া ।

লেখা অনেক ভাল হয়েছে আর ও বেশি বেশি লিখুন ।
২৩ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪৯
263160
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আফরা সাইয়ারা আসসালামু আলাইকুম। আলহামদুলিল্লাহ আছি মোটামোটি। আপনি কেমন আছেন? কেমন চলছে ব্লগিং? হুম! আসলে ব্লগে থাকতে ইচ্ছা হয় কিন্তু শারিরিক অসুস্হতা, সুযোগ ও সময় সব যেন আস্তে আস্তে আমার জন্য সংকুচিত হয়ে আসছে। আর এটাই ব্লগের নীতি কেউ আসবে আবার কেউ হারিয়ে যাবে। এটা শিক্ষনীয় কিনা জানিনা আর লিখালিখি অনেক কঠিন ব্যাপার স্যাপার তাই হটাৎ করে তো কিছু লিখতেও পারিনা। সন্ধাতারা আর মুকিম আপুর মত আমি কোন বিষয়কে মোহনীয় করে তুলতেও তেমন পারিনা। তাই যা মাথায় আসে তাই ছাপিয়ে দিই। মন্তব্যের জন্য জাঝাক আল্লাহ। Good Luck Good Luck
২৩ মে ২০১৫ রাত ১০:০৬
263182
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : লেখা ভালো হয়েছে এটা সত্য, কিন্তু উনি যে বিষয়ে ফোকাস করে লিখেছেন, সে বিষয়ে মন্তব্য আসাটা কাম্য ছিল, অথচ আসে নি! @ পনি
321946
২৩ মে ২০১৫ রাত ০৩:৪৩
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম!

গল্পকারে হলেও চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছো কথোপকথনটি! এভাবেই একজন দায়ীকে কোরআন ও হাদিসের রেফারেন্স দিয়ে দাওয়াতের কাজ করতে হয়! মাশা আল্লাহ! আল্লাহ তোমার মেধায় আরো বারাকাহ দান করুন! আমিন!

গনতন্ত্র দিয়ে আসলেই ইসলাম কায়েম হবে না! একমত!

জাযাকাল্লাহু খাইর!
২৩ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫০
263165
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম আমার শ্রদ্ধেয়া বড় আপি। আমি তো দায়ীনা আপি। অনেক ফাজিল। অল্প সল্প জানি যতটুকু জানি ততটুকু বিশুদ্ধভাবে জানার চেষ্টা করি ঈমান আমলে আমি যাচ্ছেতাই। কেউ আমার কাছে জানতে চাইলে বিশুদ্ধটুকুই প্রচার করি, বেশি বা কম না। আমি তোমার মত অতি সাধারণ বিষয়কে অসাধারণ করে তুলে ধরার মত ব্লগার না, তেমন মেধা বা লেখনি শক্তিও আল্লাহ আমাকে দেননি। তোমার মত গুণী ব্লগার আর বড় বোনের মন্তব্য পাওয়া মানে অনেক কিছু। জাঝাক আল্লাহ আপি। Good Luck Good Luck
২৩ মে ২০১৫ রাত ০৯:৫৪
263181
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : 'গণতন্ত্র দিয়ে আসলেই ইসলাম কায়েম হবে না' একমত'। এই কথাটুকু লেখককে সন্তুষ্ট করার জন্যই বলা! নয়ত এতো বছর ধরে গণতন্ত্রের সাথে আছেন,এখন সুর পাল্টে বলছেন ভিন্ন কথা। @ সাদিয়া মুকিম
২৬ মে ২০১৫ রাত ০২:০০
263673
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : গনতন্ত্রের সাথে কিভাবে থাকলাম? আমি কোনদিন ভোট পর্যন্ত দেই নি!

সহজ ভাবে দেখেন, সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত নিয়ে গনতন্ত্র সরকার গঠন করে । আমি আমার জন্ম থেকে এই পর্যন্ত বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষদের পাই নি যারা সত্যকার অর্থে চান ইসালমী শাষন কায়েম হোক! সুতরাং ভোট দিয়ে কেউ পারবে বলে মনে হয় না!

ইসলাম এত বড় নিয়ামত আমরা যদি না চাই, এর জন্য প্রচেষ্টা না চালাই আল্লাহ কেনো আমাদের এই নিয়মত দিবেন?

বর্তমান বিশ্ব ইসলামের এক নম্বর শত্রু। যখনি দেখবে কোন এক দেশে ইসলামী শাষন কায়েম হবার পথে সাথে সাথে বিদেশী শক্তি এতে প্রবেশ করবে এবং যত উপায়,পথ, বিভ্রান্তি আছে সব উন্মোচন করবে ইসলামের বিপরীতে!

উপরের কথাগুলো একান্তই আমার নিজস্ব চিন্তাভাবনা !

প্রশ্ন তাহলে কিভাবে ইসলাম বিজয়ী হবে ? কোরআন থেকে আমরা জানি ইসলাম এসেছেই অন্যান্য সকল মতের উপর বিজয়ী হবার জন্য!

ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে হবে - এটাও আমার ভাবনা! যদিও অনেক অসংগত এবং অবাস্তব মনে হচ্ছে ! এটা ছাড়া আর কোন উপায় আছে সেটা আপাতত বুঝতে পারছি না!

আপনার মতমত কি ভাই সালাউদ্দিন?

অফ টপিক- রাজনীতি সম্পর্কে আমার জ্ঞান একেবারেই অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী টাইপের!Worried
321955
২৩ মে ২০১৫ সকাল ০৭:২১
শেখের পোলা লিখেছেন : যোগ বিয়োগে দুঃশ্চিন্তা করিনা৷ যেটুকু দিয়েছেন তাই অনেক৷ আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ৷
২৩ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৫
263164
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন? ব্লগে বসতে পারছিনা আপনাদের অনেক মিস করছি। আমি আপনাদের মনে সামান্য জায়গা পেয়েছি এটাই অনেক বড় প্রাপ্তি। জাঝাক আল্লাহ। Good Luck Good Luck
২৩ মে ২০১৫ রাত ১০:০৭
263184
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : উনি যে বিষয়ে ফোকাস করে লিখেছেন, সে বিষয়ে মন্তব্য আসাটা কাম্য ছিল, কিন্তু আসে নি @ শেখের পোলা
322075
২৩ মে ২০১৫ রাত ১০:০৩
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : হুম যথেষ্ঠ ভালো লিখেছেন, অনেক দিন পর আপনার লেখা পড়লাম। ইসলামী গণতন্ত্র নিয়ে আমার ব্যাপক কনফিউশন আছে, ইনশা আল্লাহ্‌ এই ব্যাপারে স্টাডি করবো। পর্যাপ্ত পরিমাণে স্টাডি না করে মনগড়া কিছু একটা বলে লেখককে সন্তুষ্ট করতে চাই না।

গণতন্ত্র হারাম, নূনতম ইসলাম জানা প্রত্যেক ব্যক্তিই তা জানেন এবং স্বীকারও করেন। কিন্তু এখন যেসব ইসলামী দল নির্বাচনে প্রার্থী দিচ্ছে, নির্বাচিত হচ্ছে, তারা গণতন্ত্র মেনে নিয়ে করছে নাকি গণতন্ত্রের মাঝখান দিয়ে ইসলামের পথ রচনা করতে চায়, তা নিয়ে ভাবার অবকাশ রয়েছে।

নেতা হওয়ার আকাঙ্ক্ষা থাকলে সে ব্যক্তির নেতৃত্ব ইসলাম সমর্থন করে না, কিন্তু ব্যক্তি নিজে নয়, অন্যেরা যদি উক্ত ব্যক্তিকে পছন্দ করে নির্বাচনে প্রার্থী হতে বলে, তাহলে অসুবিধা আছে কি? জানার জন্যও লেখকের কাছে প্রশ্ন।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ হাদিসের রেফারেন্সসহ সুন্দর লেখাটি আমাদের শেয়ার করার জন্য।
২৪ মে ২০১৫ রাত ০২:১২
263211
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : "কিন্তু এখন যেসব ইসলামী দল নির্বাচনে প্রার্থী দিচ্ছে, নির্বাচিত হচ্ছে, তারা গণতন্ত্র মেনে নিয়ে করছে নাকি গণতন্ত্রের মাঝখান দিয়ে ইসলামের পথ রচনা করতে চায়, তা নিয়ে ভাবার অবকাশ রয়েছে।"
আপনার এই কথার উত্তর আলোচ্য হাদিসেই দেয়া আছে। "তখন এমন একদল লোকের উদ্ভব হবে-যারা আমার প্রবর্তিত পদ্ধতি ছাড়া অন্য পদ্ধতি- অবলম্বন করবে, আমার প্রদর্শিত হেদায়েতের পথ ছেড়ে অন্যত্র হেদায়েত ও পথের দিশা খুঁজবে। তাদের মধ্যে ভাল-মন্দ উভয়টিই থাকবে।"
গণতন্ত্রের মাঝে হেদায়েতের পথ খোঁজা কি যৌক্তিক?
ইসলামে খেলাফতের বিকল্প কোন কিছু নেই খেলাফতের জায়গায় গণতন্ত্রকে রিপ্লেস করার কোন অপশন নেই।
মুসলিম শরীফ হাদিস নং:৪৬২১_তে বলা হয়েছে,
মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) আবূ হাসেম (রহঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ, আমি আবূ হুরায়রা (রাঃ)-এর সাথে পাঁচ বছর অবস্থান করেছি। আমি তার কাছে শুনেছি, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বনি ইসরাঈলদের উপর রাজত্ব করতেন নাবীগণ। তাদের মধ্যকার একজন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যুবরণ করলে অপর একজন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্হলাভিষিক্ত হতেন। আমার পরে আর কোন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নেই বরং খলীফাগণ হবেন এবং তারা সংখ্যায় প্রচুর হবেন। তখন সাহাবীগণ বললেনঃ তাহলে আপনি (এ ব্যাপারে) আমাদেরকে কি নির্দেশ দেন? তিনি বললেনঃ যার হাতে প্রথম বায়ঁআত বা আনুগত্যের শপথ করবে, তারই আনুগত্য করবে এবং তাদেরকে তাঁদের হক প্রদান করবে, তিনি তাদেরকে সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।
ভাইয়া গণতন্ত্র জাস্ট শাসনব্যাবস্হা রিলেটেড না এটার ব্যাপ্তি বিশাল। এর সাথে গোটা মানুষে বিশ্বাস, নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক ব্যাবস্হা ও আইন কাঠামো প্রত্যেকটি জিনিস জড়িত। আপনাকে বলা হচ্ছে রাষ্ঠ্রের অনুগত্য করতে যে রাষ্ঠ্র সেকুলার বা আল্লাহকে অস্বীকার করে যার নিরাপত্তা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের উপর নির্ভরশীল। যার অর্থনীতি সম্পূর্ণরূপে সুদের উপর নির্ভরশীল। সুদের দ্বারা ৭০ টি গুনাহ সংগঠিত হয় যার মাঝে সবচেয়ে নিম্নতর হল নিজের আপন মায়ের সাথে ব্যাভিচারে লিপ্ত হওয়া। নিরাপত্তা পরিষদের সংবিধান প্রায় ২৪-২৫ পাতার হবে যেটার প্রথম পাতা সরাসরি আল্লাহর শক্তিমত্তাকে অস্বীকার করেছে ও নিজেকে শর্বশক্তিমানরূপে দাবি করেছে। ইসলামে অর্থ ব্যাবস্হার ভিত্তিই হল দিনার ও দিরহাম। সোন ও রূপার মুদ্রা যার রয়েছে আলাদা মূল্যমান যেখানে আধুনিক কাগজের টাকার ভিত্তি সুদ ও ধোঁকাবাজি এর কোন বাহ্যিক মূল্য নেই। পার্লামেন্ট আল্লাহর জায়গায় স্হলাভিষিক্ত অথচ আল্লাহ হচ্ছেন হাকাম যা পার্লামেন্ট অস্বীকার করে। ইসলামি আন্দোলনকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন করা ভুল কারণ তা গোটা সিস্টেমটাই ইসলাম ও আল্লাহকে অস্বীকার করেছে। এ অবস্হায় ইসলামী দলের নিবন্ধন মানে হচ্ছে সেকুলারিজমকে মেনে নেয়া। এটা একটা আত্ববিনাশী সিদ্ধান্ত। আর প্রধান বক্তব্য হচ্ছে, বুঝতে হবে পৃথিবীর একজন নিয়ন্ত্রক আছেন আজ যা ঘটছে এসব তার ইচ্ছাতেই দাজ্জালের অনুসারীরা ঘটাচ্ছে। এখানে আমাদের কাজ দাজ্জালের মোকাবেলা করা, দাজ্জালের সাথে সমঝোতায় গিয়ে ইসলাম কায়েমের স্বপ্ন দেখা বোকামি। হাদিসে বলা হয়েছে এই সময়টাতে ইরাকে ,আস শামে(সিরিয়া, ফিলিস্তিন, জর্ডান, লেবানন, তুরষ্কের কিছু অংশ),তুরষ্কে,খোরাসানে (আফগানিস্তান), হিন্দুস্তানে (উপমহাদেশ), ইয়েমেনে, মিশরে প্রত্যেকটি মুসলিম ভূখন্ডে যুদ্ধ শুরু হবে এবং এই যুদ্ধ গোটা মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়াকে গ্রাস করবে। আমেরিকার জায়গা দখলে নেবে ইহুদিরা, মুসলিমরা রূমদের সাথে জোট গঠন করবে এই ৩য় শক্তিকে পরাজিত করার জন্য। কিন্তু মডারেট ইসলাম বা গণতান্ত্রিক ইসলামিক দলগুলো হাদিসের এসব ভবিষ্যৎবাণী যা বর্তমানে চোখের সামনে বাস্তব, তাকে পাশ কাটিয়ে কিভাবে গণতান্ত্রিক পথে ক্ষমতায় গিয়ে ইসলামী রাষ্ঠ্র কায়েম করা যায় সে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করছে? যেখানে হাদিসে এটাও বলে দেয়া হয়েছে, এ ব্যাবস্হা কয়েকশত বছরের ব্যাবধানেই ধ্বংশ হয়ে যাবে সেখানে তারা সেটাকেও চিন্তার আওতায় আনছেনা। ব্যাপারটি বিস্ময়কর নয়কি? বাস্তবতাকে পাশ কাটিয়ে তারা কল্পনাকে বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে যেখানে তারা হাদিস থেকেই জানে এটা সফল হবেনা। তারপর আবার আলজেরিয়াতে ৯০% ভোট পেয়েও তারা সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে কচুকাটা হল, মিশরেও তাই, তিউনিসিয়াতেও তাই অর্থাৎ এটি ব্যর্থ। মাঝখান থেকে এসব দলের সমর্থক হাজার হাজার মুসলিম হত্যা, নির্যাতন এমনকি পর্দানশীলা নারীরা জেলখানায় ধর্ষণের শিকার হল। এর চাইতে দুর্ভাগ্যজনক আর কি হতে পারে? এর দায়টাও কি এসব দলের নেতাদের উপর বর্তায় না? কিয়ামতের দিন আল্লাহ এসব নেতাকে পাকরাও করলে তারা কি জবাব দিবেন? কোরান-হাদিস ফেলে আমরা কোথায় ছুটছি? নিঃসন্দেহে বর্তমানে মুসলিম ভূখন্ডগুলিতে গণতান্ত্রিক ইসলামী দলগুলোর জনপ্রিয়তা বেশি অর্থাৎ মুসলিমরা হাদিসের ভবিষতৎবাণী ও বাস্তবতা কে পেছনে রেখে কল্প কাহিনীর পেছনে ছুটছে এতে কি কাফির শক্তিই বেশি লাভবান হচ্ছেনা?? এটা কেয়ামতপূর্ব সময় এসময়ের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আদ-দাজ্জাল, ধোঁয়া যাকে আলেমরা বলেছেন, ভয়ংকর কোন যুদ্ধ আমরা দেখছি পারমানবিক অস্ত্রগুলো তৈরী হচ্ছে। এসব বিষয় মোকাবেলায় গণতান্ত্রিক দলগুলোর প্রস্তুতি কি? তারা যদি এখনো বোকার মত বসে বসে ভাবে তারা রাজনৈতিক দল বানাবে, মানুষকে বোঝাবে, মানুষ ভোট দিবে আর তারা ক্ষমতায় গিয়ে ইসলাম কায়েম করে ফেলবে এটা কি হাস্যকর না??
১০
322140
২৪ মে ২০১৫ সকাল ০৬:৫৪
সাদাচোখে লিখেছেন : আমি ইসলামকে ভালবাসছি কিংবা ভালবাসতে চাইছি হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি বছর। এ বিষয়ে অল্পবিস্তর পড়ার ও জানার চেষ্টা করছি গত ২ বছরের ও কম।

এ সময়টাতে যে বিষয়টি আমাকে সবচেয়ে অধিকতর পীড়া দিয়েছে এবং দিচ্ছে - তা হল আমাদের শ্রদ্ধেয় আলেম ও ওলামা সমাজ। ওনারা (লিটারেলী ৯৯%) আজকের দুনিয়ার বাস্তবতা বুঝছেন না, বোঝার চেষ্টা করছেন না, আবার কেউ বুঝাতে চাইলে - শুনতেই চাইছেন না।

পূর্ব হতে পশ্চিমে পুরো বিশ্বময় - মুসলিমরা যখন আজ কুকুরের ও অধম দমবন্ধ জীবন যাপন করছে - আমাদের আলেম ও ওলামাদের কাছে এ নিয়ে না পাচ্ছি কোন দিকনির্দেশনা, না পাচ্ছি কোন পরামর্শ - অথচ ওনাদের কথা বার্তায়, লিখা-লিখিতে, আচার আচরনে কোন পরিবর্তন তো দেখছিই না - বরং কেন যেন মনে হয় - ওনারা কালের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে বড় বেশী জোরে শোরে পা চালাচ্ছেন।

আমার খুব কষ্ট হয় যখন দেখি কোরানে হাফেজ, আল আজহার কিংবা মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন মৌলানা, কারি ইত্যাকার সন্মানিত ব্যাক্তিরা আর সব গনমানুষের ন্যায় টাকার লোভে, ইউরোপের মায়ায় - এ সব দেশে এসে মানবেতর জীবন যাপন করছে শুধু টাকা জমাতে, গাড়ী বাড়ী করতে - তখন বড়ই কষ্ট হয়। অথচ এই সেইম মানুষগুলো কেন যেন 'ইসলাম'কে একান্তই নিজেদের সম্পদ ও সম্পত্তি বলে মনে করেন। নিজের মত ও চিন্তার বাইরে এক পাও যেতে চাইবেন না। কোরানের আয়াত, সহী হাদীস, ফ্যাক্টচুয়াল ইভিডেন্স - সব একত্রে হাজির করে দিনের আলোর মত পরিষ্কার করে প্রেজেন্ট করলেও কোন লাভ নেই - তারা শুনবেন না, তারা আলোচনা করবেন না। দয়া করে কাফের, মুরতাদ, মুনাফিক এসব মুখ ফুটে না বললেও ভাবটি করবেন এমন যে ঐ ভাইটি সিম্পলী একটা 'উজবুক' সম কিছু একটা।

আমার ইদানিং মনে হয় - আমাদের আলেম রা কি লিটারেলী বনী ইসরাইলী ঐ আলেম দের মত হয়ে গেছেন কিংবা যাচ্ছেন - (যারা মূলতঃ কোরান হাদীস ছেড়ে আগেকার আলেমদের তৈরী পূথিকে বেশী অগ্রাধিকার দিচ্ছেন) - যারা ঈসা আঃ এর জন্য অপেক্ষা করা স্বত্তেও - যখন তিনি এলেন - তখন রিজেক্ট করে বসলো কিংবা ঐ ইয়াহুদী আলেমদের মত যারা মোহাম্মদের সঃ এর প্রতীক্ষায় ইয়াত্রীব আর খায়বারে বসে থাকলো - কিন্তু তিনি এলে রিজেক্ট করলো? অর্থাৎ সত্যকে রিজেক্ট করতে ভুল কিছুকে অতি জোরেশোরে আকড়ে ধরে থাকলো? খোঁজ নিল না, নেবার চেষ্টা ও করলো না।


২৫ মে ২০১৫ রাত ১১:০৮
263631
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ভাইয়া আসসালামু আলাইকুম। আপনার মন্তব্যটি পড়লাম যথেষ্ঠ সুন্দর কথা বলেছেন। ব্লগ থেকে আমি এখন বেশ দূরে, সময় করে বসেতেও পারছিনা। আপনার কথার সাথে একমত। আর আপনি অবশ্যই জানেন যে, আলেমদের এমন আচরণও কেয়ামতের অন্যতম এক আলামত। তবে প্রকৃত আলেমরা এখনো হারিয়ে যাননি কিন্তু তাদের অধিকাংশ সময়ই কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠে কাটে নির্যাতনে। কাউকে বা হত্যা করা হয়, তাদের কথা মুসলিমদের কানে যেন না পৌছায় তার জন্য সমরকম উপায়-উপকরণ প্রয়োগ করা হয়। হয়ত অফলাইনে অনেক কাজই হচ্ছে একদিন আল্লাহ তার সুফল প্রদান করবেন। Good Luck Good Luck
১১
322149
২৪ মে ২০১৫ সকাল ০৮:১২
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : গল্পের আকারে ভালো লাগলো ভাইয়া লেখাটা। কিন্তু আমার প্রশ্ন হল আগে খলিফাদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভোটিং সিস্টেম ছিলনা, প্রয়োজন ও ছিলনা কারণ তারা নেতা হিসেবে তেমন বিশ্বস্ত, আদর্শবান, যোগ্যতা সম্পন্ন ছিলেন.. তাদের সাথে বর্তমানের নেতাদের তুলনা করা কি ঠিক হবে ! ভোট ছাড়া কিভাবে সম্ভব ?
২৫ মে ২০১৫ রাত ১১:১৮
263632
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম আপু। কেমন আছেন? আপনার প্রশ্নের জবাব দিতে গেলে অনেক কিছু নিয়ে কথা বলতে হবে, রীতিমত ২টা ব্লগ পোস্ট। হাতে আল্লাহ তেমন সময় দেননি তাই এই মুহূর্তে সমাধান নিয়ে কথা বলতে পারছিনা। তবে একটা ব্যাপার বলি, ইসলামে খলিফা নির্বাচনে জনরায় নেয়া হয়নি বা এই সিষ্টেম ছিলনা এটি সঠিক না। হযরত উমার (রাঃ) এর মৃত্যুশয্যায় যখন তাকে প্রশ্ন করা হয় আমরা কাকে খলিফা বানাব? আপনি নির্ধারণ করে দিন তখন তিনি কাউকে খলিফা হিসাবে নির্ধারণ করতে অস্বিকার করলেন তবে ৭ জন যোগ্য ব্যাক্তির কথা বললেন যারা এ কাজের জন্য যোগ্য। তবে তার মাঝ থেকে একজনকে বাদ দিলেন কারণ তিনি ছিলেন তার চাচাত ভাই। বাকি ৬জন বাকি থাকল এবং তিনি বললেন এখন মুসলিমদের দায়িত্ব তারা এ ৬জনের মাঝ থেকে যে কাউকে খলিফা বানাতে পারে। তখন ৩দিন নারী-পুরুষ সকলের কাছ থেকে এমনকি মদিনার মুসাফীরদের কাছ থেকেও মতামত নেয়া হয় যে, কাকে তারা খলিফা হিসেবে দেখতে চায়?? উসমান (রাঃ) এর পক্ষে সর্বাধিক রায় পরে তাই উসমান (রাঃ) কে তা জানানো হয় এবং তাকে অনুরোধ করা হয় দায়িত্ব বুঝে নেয়ার। মুসলিমদের বলা হয় তার কাছে বাইয়াত হবার।
২৯ মে ২০১৫ রাত ১০:১৩
264698
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে। অনেকে হারাম বলে যেভাবে প্রথমেই সিলমোহর লাগিয়ে দেয় তাই প্রশ্নটা করেছিলাম
১২
322256
২৪ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০০
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : লেখাতে যোগ বিযোগ করেছেন তাতে কি? যা লিখতে চেয়েছেন তা শতভাগ সফল হয়েছেন।
এখন সমাধানটা কি? হারাম হারাম - যে হাদিসগুলো টেনেছেন - তা দিয়ে হারাম বা হালাল করলেন কেমন করে? কনফিউজড। ধন্যবাদ।
২৫ মে ২০১৫ রাত ১১:০৩
263630
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম। ইনশাআল্লাহ সমাধান নিয়ে একদিন কথা বলব যদি আল্লাহ সুযোগ দেন। দ্বিধাদ্বন্দও দূর করার চেষ্টা করব। ইদানিং হাতে সময় পাচ্ছিনা তাই ব্লগ থেকে দূরে। Good Luck Good Luck
১৩
322515
২৫ মে ২০১৫ রাত ১১:৩৯
কুয়েত থেকে লিখেছেন : লেখাটি ভালোই লাগলো সুন্দর লেখাটির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ
২৫ মে ২০১৫ রাত ১১:৪৫
263639
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া। ধৈর্য্য ধরে আমার লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। জাঝাক আল্লাহ ভাইয়া। Good Luck Good Luck
১৪
322608
২৬ মে ২০১৫ দুপুর ১২:৩২
হতভাগা লিখেছেন : তাহলে কিভাবে একজনকে ক্ষমতায় আনা যাবে যদি সবার কাছে আপাতঃ ভাল মানুষ নিজেই তা না করতে সাহস করে এবং এসবে আদৈ তার কোন ইন্টারেস্ট না থাকে? আর তার এন্টিরা তার ক্ষমতা পাবার পর যে কূটনামী শুরু করবে , তার পরিবার ও আপনজনদেরকে নিত্য হুমকিতে রাখবে তখন আমরা তাকে কিভাবে সেফ করবো ?

যারা নির্বাচনে নামে ক্যাচাল করার আর ক্যাচাল ঠেকানোর হ্যাডম ও ক্যাডার নিয়েই মাঠে নামে । ভাল মানুষেরা সাধারনত ক্যাচালেও যায় না আর ক্যাডারও রাখে না । ফলে এসব উপরি ঝামেলাতেও যেতে চায় না ।

কিভাবে ভাল মানুষদেকে এই পেইন থেকে মুক্ত করা ও রাখা যায় ? আপনার কাছে জানা আছে কি কোন উপায় ?
২৬ মে ২০১৫ রাত ১০:০৩
263888
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ভাইয়া আপনার ব্যতিক্রমধর্মী মন্তব্য সবসময় আমাকে নতুন করে ভাবতে উৎসাহিত করে, আরো গভীরে যেতে অনুপ্রেরণা দেয়। ইদানিং আমি ব্লগ থেকে অনেক দূরে তাই এসব কঠিন কঠিন প্রশ্নের উত্তর হটাৎই দিতে পারছিনা। আমি বেশ কিছু লেখায় এসব ব্যাপারগুলো নিয়ে একটার পর একটা আপত্তি তুলেছি তাই দায়িত্বটা আমার উপরই বর্তায়, সমাধান পেশ করার। আমি ইনশাআল্লাহ বেঁচে থাকলে, সুস্হ থাকলে এবার থেকে সমাধান নিয়েই কথা বলব। ইনশাআল্লাহ। মন্তব্য প্রদানের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আল্লাহ আপনাকে উত্তম বিনিময় প্রদান করুক। Good Luck Good Luck
১৫
322740
২৬ মে ২০১৫ রাত ১০:৫০
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : সূরা তাওবার তাফসীর পড়ছি...
ড. আব্দুল্লাহ আযযাম (রহ.)...
২৭ মে ২০১৫ বিকাল ০৫:৪২
264073
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম। আওন ভাইয়া কেমন আছেন? ব্লগে আমি আসার চেষ্টা করেও পারিনা, যোজন যোজন দূরে আমার অবস্হান। আপনার কথা মনে পরে। ডঃ আব্দুল্লাহ আযযাম (রহঃ) আমার অন্যতম একজন প্রিয় আলেম। এরাই ইসলামের প্রকৃত আলেম। সমকালীন বিষয় নিয়ে তার লিখিত বইটি অসাধারণ। আল্লাহ তাকে শহীদ হিসেবে কবুল করুক।
২৭ মে ২০১৫ রাত ১০:০২
264170
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : ওয়ালাইকুমুসসালাম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
আমীন আপনার দোয়ায়।
১৬
322762
২৬ মে ২০১৫ রাত ১১:৪২
মোঃ মাকছুদুর রহমান লিখেছেন : অনেক ভালো লেখছেন, ধন্যবাদ!!!
২৭ মে ২০১৫ বিকাল ০৫:৪৩
264074
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : মোঃ মাকছুদুর রহমান ভাইয়া আসসালামু আলাইকুম। সুন্দর মন্তব্য প্রদানের জন্য জাঝাক আল্লাহ ভাইয়া। Good Luck Good Luck
১৭
323071
২৮ মে ২০১৫ বিকাল ০৪:৩৬
রফিক ফয়েজী লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
২৯ মে ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭
264597
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ জাঝাক আল্লাহ Good Luck Good Luck
১৮
323431
৩০ মে ২০১৫ দুপুর ০১:৫৩
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : মানুষ বড়ই আজীব প্রাণী। কোন একটি বিষয় মাথার মধ্যে কলা-কৌশল করে ঢুকিয়ে দিতে পারলেই হয়ে গেলো। সেটির পেছনেই যাবতীয় শ্রম-সময় ব্যয় করতে কার্পণ্য তো করেই না অধিকন্তু এটাকে একমাত্র জীবনোদ্যেশ্য বানিয়ে নেয়। আমি নিজেও মনে হয় এর বাইরে নই। নাহলে আপনার সাথে ‍দ্বিমত করা জরুরী মনে করছি কেন?

আপনি ছোট ভাই হলেও যথেষ্ট জ্ঞান-গরিমা আল্লাহ দান করেছেন মনে হচ্ছে। ”ভোট হারাম“ থিউরির পিছনে উপর্যুপরি এতটা সময় ব্যয় না করে আর কিছু করা যায় কিনা চেষ্টা করলে মনে হয় বেশ লাভবান হবেন। আপনাদের মতো এমন জ্ঞানীদেরকে এভাবে ব্যবহার করে কোনদিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা আমার মতো মুর্খরা বুঝতে অক্ষম। আল্লাহ এবং তারাই ভালো জানেন যারা আপনাদেরকে কাজে লাগাচ্ছেন।
েসর্বোপরি মেহনত করা লেখাটির জন্য ধন্যবাদ।
২৭ জুন ২০১৫ দুপুর ০১:৩৮
269907
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আমার মেরুদন্ডের হাড়ে সমস্যা হয়েছে তাই বসে, শুয়ে কোনভাবেই বেশিক্ষণ স্হির থাকতে পারিনা বেশিক্ষণ তাই ব্লগে বসতে পারছিনা। তাই এত দেরীতে উত্তর দিচ্ছি। দোয়া করবেন। সুন্দর মন্তব্য ও উপস্হিতির জন্য জাঝাক আল্লাহ।Good Luck Good Luck
১৯
326438
১৭ জুন ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৮
নারী লিখেছেন : যোগ বিয়োগ দিলেও লিখাটি দারুন হয়েছে Thumbs Up
২৭ জুন ২০১৫ দুপুর ০১:৩৮
269908
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম। সুন্দর মন্তব্য ও উপস্হিতির জন্য জাঝাক আল্লাহ। Good Luck Good Luck
১৩ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৫:০৬
277564
নারী লিখেছেন : আপনাকে যাজাক আল্লাহ্
২০
327337
২৪ জুন ২০১৫ বিকাল ০৫:০৮
তাসনুভা লিখেছেন : লেখাটাও অনেক সুন্দর ।আর সাথে নিচের মন্তব্যগুলো আর সমৃদ্ধ করেছে।
২৭ জুন ২০১৫ দুপুর ০১:৩৯
269909
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম। তাসনুভা সুন্দর মন্তব্য ও মূল্যবান উপস্হিতির জন্য জাঝাক আল্লাহ। আমার মেরুদন্ডের হাড়ে সমস্যা হয়েছে তাই বসে, শুয়ে কোনভাবেই বেশিক্ষণ স্হির থাকতে পারিনা বেশিক্ষণ তাই ব্লগে বসতে পারছিনা। তাই এত দেরীতে উত্তর দিচ্ছি। দোয়া করবেন। Good Luck Good Luck
২১
329586
১১ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:৪৩
মিজবাহ লিখেছেন : চমতকার লিখেছেন। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, ইসলামী রাস্ট্র কায়েমের প্রয়োজনে গনতন্ত্রের ব্যবহার এখন বড় প্রশ্নবোধক। ইদানিং নিম্নে হাদীসটির উপর আমল করার ক্ষেত্রে ক্রমশ:অগ্রসর হচ্ছি...

"হযরত হুদায়ফা ইবনে ইয়ামান (রাHappy হতে বর্ণীত রসুল (সাHappy বলেন ."একদিন হুদায়ফা ইবনে ইয়ামান (রাHappy নবীজিকে জিজ্ঞেস করলেন কোন জিনিসটা ভালো, তবে আমি ভয় পেয়ে জিজ্ঞেস করলাম কোন জিনিসটা খারাপ কারণ অজ্ঞানতার কারনে আমরা অনেক সময় খারাপ কাজ করেছি আর আল্লাহ আমাদের সঠিক পথে নিয়ে এসেছেন্ এরপরও কোন খারাপ কাজ হবে? নবীজি বল্লেন হ্যাঁ। তিনি আবার বল্লেন খারাপ কাজের পরে কিছু ভাল কাজ হবে? নবীজি বল্লেন হ্যাঁ তবে এর মধ্যেও কিছু খারাপ জিনিষ থাকবে, সাহাবীগণ তখন বল্লেন সে খারপ কাজটি কি? নবীজি বল্লেন তোমাদের মধ্যে এমন কিছু লোক থাকবে যারা এমন কিছু প্রচার করবে যেগুলো আমার সুন্নাহ নয়। সাহাবীগণ বল্লেন এরপর আর কোন খারাপ কাজ হবে?নবীজি বল্লেন কিছু লোক থাকবে যারা তোমাদেরকে দোযকের দিকে আমন্ত্রন জানাবে, তখন হুদায়ফা (রাHappy বল্লেন তখন আমাদের কি করা উচিত?তখন নবীজি বল্লেন তোমরা তোমাদের মুসলিম দল এবং নেতাকে আকড়ে ধরে থাকবে, সাহাবীগণ বল্লেন, যদি তাও না থাকে তখন কি করব? নবীজি বল্লেন, যদি কোন মুসলিম দল এবং নেতা আর না থাকে তবে সব দল থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে, প্রয়োজন হলে গাছের শীকড় কামড়ে থাকবে যতক্ষন না আল্লাহ সুবহানুতায়ালার সামনা সামনি হচ্ছো।সহীহ বুখারী:খন্ড-৪,সংখ্যা-৩৬০৬।"

সমাধানের ব্যাপারে আপনার লিখা পড়ার জন্য অপেক্ষায় আছি।

জাজাকুম আল্লাহ খাইরান
০৬ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১১:৫২
289463
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম। আপনার মত একজন বিজ্ঞ ব্যক্তি আমার লেখায় কমেন্ট করেছেন, এটা বিরাট প্রাপ্তি আমার জন্য। হাদিসেই তো উত্তরটা দেয়া আছে। ইনশাআল্লাহ এটা নিয়েও লিখব যদি আল্লাহ সুযোগ প্রদান করেন। জাঝাক আল্লাহ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File