জীবনের উদ্দেশ্য ও শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠা।

লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ৩১ মার্চ, ২০১৩, ০৮:১৯:২০ রাত

সমস্ত প্রশংশা আল্লাহর যিনি আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন ছয় দিনে এবং আরশে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।আমরা পানাহ চাই ইবলিশ শয়তানের কুমন্ত্রনা থেকে। আল্লাহ যাকে পথ দেখান তিনি বিপথে যান না আর আল্লাহ যাকে বিপথগামি করেন তিনি সরল পথ পান না।আমি সাক্ষ্য দিছ্ছি আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন মাবুদ নেই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিছ্ছি হযরত মোহাম্মদ সা: আল্লাহর বান্দাহ ও রাসূল।সর্বোত্তম কিতাব আল্লাহর কিতাব এবংসর্বোত্তম পথ হযরত মোহাম্মদ সা: এর পথ।ইসলাম যে পথের নির্দেশনা দিয়েছে তা মানুষকে সরল পথে পরিচালিত করে অন্যান্য ধর্ম যে পথ দেখিয়েছে তা ভুল পথে পরিচালিত করে।

আমাদের সামনে একটি মুখ্য বিষয় রেয়েছে তা জানা আমাদের সকলের জন্যই জরুরি।আর বিষয়টি হলো " জীবনের উদ্দেশ্য ও শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠা" আমরা সবাই শান্তি চাই।শান্তির জন্য প্রতিনিয়ত লড়াই করি।আসলে শান্তিতে কি আছে? কেউ বলবে আমরা ভালভাবে বেঁচে থাকতে চাই।প্রতিনিয়ত মিডিয়া পর্যবেক্ষন করলে দেখবেন যারা পৃথিবীতে নেতৃত্ব দিছ্ছে তারা সেমিনার করছে শান্তির জন্য, শান্তির কথা বলছে,শান্তির জন্য যুদ্ধ করছে।এই যে আমরা ৪১ বছর পার করে দিলাম স্বাধীনতার পর কেউ কি আমাদের শান্তি দিতে পেরেছে? মানব ধর্ম হলো সে শান্তির সাথে বসবাস করতে চায়।এ একটি কারনে আল্লাহ নবী রাসূল পাঠিয়েছেন অসংশোধিত মানুষগুলোকে সংশোধন করে সমাজকে পুষ্ট রাখার জন্য।নবী রাসূলদের আগমন শেষ হয়েছে নবী মোহাম্মদ সা: এর আগমনের মাধ্যমে।আর এ দায়িত্ব এখন মুসলিম উম্মাহর উপর যারা তাকে সঠিকভাবে অনুসরন করে।প্রশ্ন হলো এ মানুষগুলো কোথায়? মুসলিম উম্মাহর কোথাও কোরআন ও সূন্নাহর আইন দ্বারা দেশ পরিচালিত হছ্ছে না একমা্ত্র সৌদি আরব ছাড়া।বর্তমান পৃথিবিতে ইসলামিক মডার্নিজমের নামে অধিকাংশ দেশে গনতন্ত্রের ছায়ায় কেউ কেউ ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেও আসলে সেটা ইসলামের পথ নয়।যাই হোক সমাজকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সমাজের হৃদয়বান মানুষগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।এ মানুষগুলো ধর্মিয় মুল্যবোধের উপর প্রতিষ্ঠিত হবে,সত্যবাদিতা থাকবে,ন্যায় অন্যায় বোধ জাগ্রত থাকবে,পরোপকারি হবে,মানুষকে কল্যানের দিকে ডাকবে ও অকল্যাণ থেকে দূরে রাখবে। এ মানুষগুলোর সংখ্যা যদি সমাজে একজনও হয় তাও অনেক।এর দ্বারা সমাজ আলোকিত হতে পারে।রাসূল সা: ২৩ বছর নবুওতি জীবনে একটা অন্ধকার জাতিকে আলোকে রুপান্তরিত করেছিলেন।এ জীবনটাই আমাদের একমাত্র অনুসরনীয় পথ।আমাদের দেশে মানুষ ইসলামকে বুঝে না বলে কোন ইসলামিক দল দ্বারা ইসলামকে নিরুপন করে।আসলে ইসলামের বিভক্ত দলগুলো ইসলামের কথা বললেও তাদের মধ্যে ইসলামের পূর্নতা নেই।সে জন্য সমাজ ইসলামের সৌন্দর্য দেখতে পায় না।

আমাদের জীবনের একটা উদ্দেশ্য রয়েছে।কেন আমরা মানুষ হয়ে জন্মালাম? আমরা কেন অন্য কোন প্রানী বা বস্তুর মত জন্মালাম না সে প্রশ্ন কি আমরা নিজেদের করেছি?অধিকাংশ মানুষই চিন্তা করে না।রাসূল সা: বলেছেন,ঈসা ইবনে মারিয়াম বলেন এ পৃথিবি একটা বৃদ্ধা মহিলা যে সজ্জিত হয়ে মানুষকে ডাকছে।আর মানুষ তার দিকে ছুটে গিয়ে প্রতারিত হছ্ছে।পৃথিবির অন্য প্রানী বা বস্তু জানে তার সৃষ্টির উদ্দেশ্য কি আর সে জন্য প্রতিটি জিনিস চলে তার আপন গতিতে।শুধু মানুষের একটি অংশ তা করে না।মানুষকে সৃষ্টি করে তার স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে একটি নির্দিষ্ট কালের জন্য।আর মানুষ হলো সৃষ্টির সেরা জীব।একটি শ্রেনী তাদের অজ্গতার কারনে অবমুল্যায়িত হয়েছে।এই অজ্গ মানুষগুলোকে পথ দেখানোর জন্য আর একটি শ্রেনী দিন রাত কাজ করে যাছ্ছে কোরআন ও সূন্নাহর আলোকে তাদের সংশোধন করার জন্য।মানুষ কি ভেবে দেখেছে তাকে যে জীবন দেয়া হয়েছে শুধুমাত্র ক'টি দিন জীবন যাপন করে চলে যাওয়ার জন্য? রাসূল সা: বলেছেন মানুষের জীবন হলো একাটা পথিকের জীবন যে পথ চলতে চলতে সামন্য বিশ্রাম নিবে আবার পথ চলবে এর মধ্যেই তার জীবনবসান হবে।মানুষের জন্ম নেয়ার যে কারন রয়েছে প্রতিটি ধর্ম , মতবাদ ও দর্শন কোন না কোনভাবে এই মৌলিক প্রশ্নের উত্তর দিতে ছেয়েছে।এক কথায় বলা যায় ,আমরা যে পৃথিবিতে বাস করি এটা বস্তুবাদি ও ধর্মনীরপেক্ষ পৃথিবী।পৃথিবীর অনেক দেশ যেমন-ভারত ,বৃটেন ,ফ্রান্স,এমেরিকা ও ইউরোপের বেশির ভাগ গনতান্ত্রিক দেশ দাবি করে তারা ধর্ম নীরপেক্ষ রাষ্ট্র।সোভিয়েত ইউনিয়ন এক সময় দাবি করতো তারা একটি নাস্তিক সমাজ যাদের চিন্তাধারা পুরোপুরি বস্তুবাদি।বস্তুবাদি সমাজ বলে আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য এ জীবনটাই।Theory of evolution ও একথাটিই বলে।আর এক শ্রেনীর মানুষ এ থিয়রি অবলম্বন করেই জীবন পরিচালনা করছে।তারা ভাবে আমরা মানব জাতি প্রকৃতির একটি পন্য।তাদের মতে এখানে আল্লাহর কোন অস্তিত্ব নেই।তারা বলে মানবজাতির পূর্ব পুরুষ ছিল বানর জাতীয় প্রানী।তাদের মতানুসারে বুঝা যায় পশু আর মানুষে কোন পার্থক্য নেই।একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন আজকের পৃথিবিতে ইসলামিক ও অনৈসলামিক সমাজে মানুষের বসবাস কিরুপ।একটি পশু যেমন একটি বাসস্হান , খাদ্য ও একটি সঙি পেয়ে সুখ অনুভব করে , মানুষের মধ্যেও একটি শ্রেনী এ জিনিসগুলো পেলেই তারা সুখী।তাহলে মৌলিকভাবে মানুষ ও পশুর মধ্যে তেমন ব্যাবধান নেই শুধু মানুষের পরিবেশটা একটু আলাদা।বস্তুবাদের আসল কথা এখানেই আর Theory of evolution ও এ কথাটিই বলে।অবাধ যৌনতা,নগ্নতা,ব্যাভিচার,

সমকামিতা এসবই মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি।আমাদের বেশিরভাগ মানুষ এর মধ্যে আটকা পড়েছে।

আমরা বলি আমরা মুসলমান কিন্তু বাস্তবে আমরা বশিরভাগই এ দুনিয়াকে উপাসনা করি।আজকের পৃথিবিতে

মানুষের ভাবনা হলো একটু স্বছ্ছন্দে থাকা।একটা সুন্দর বাড়ি,একটি সুন্দরি স্ত্রী ও দু'টো সন্তান।তারা একটা ধর্ম পালন করে যা তাদের পূর্ব পূরুষ থেকে পেয়ে এসেছে যদিও তাদের পূর্ব পূরুষরা অজ্গ।একজন মুসলিমের জন্য তার স্রষ্টাকে জানা জরুরি।পৃথিবির বিভিন্ন ধর্ম পর্যালোচনা করলে দেখা যায় মানুষ তাদের দেবতাদের উপাসনা করে।তাদের একটা বিশ্বাস রয়েছে যে,এই দেবতারা তাদের অভাব অভিযোগ মেটাতে পারে।প্রকৃত বিশ্বাস হলো যার কাছ থেকে কিছু চাওয়া হয় তার কাছ থেকে কিছু পাওয়া।এ ছাড়াও মানুষ আরো কিছুর উপাসনা করে।যেমন-টাকা , ডলার , পাউন্ড , ইউরো ইত্যাদি।অনেকে ভাববে টাকাকে আবার কিভাবে উপাসনা করা হয়।রাসূল সা: বলেছেন,ধীক সেই সব মানুষকে যারা উপাসনা করে দিনার ও দিরহামকে।' টাকাকে উপাসনা করা হয় কারন মানুষ টাকার উপরই নির্ভর করে।আর টাকা না থাকলে হা হুতোশ করতে থাকে।এমনকি শির্ক পর্যন্ত পৌঁছে যায়।ধরুন আপনি একটি বিপদে পড়লেন কারো কাছে টাকা পাছ্ছেন না।হঠাৎ আপনার এক বন্ধু টাকা দিয়ে আপনার সমস্যার সমাধান করলো।আপনি বলতে শুরু করলেন বন্ধুটি না থাকলে আপনি মরেই যেতাম।বিপদ থেকে আল্লাহই উদ্ধার করলেন অথচ আপনি ক্রেডিট টি দিয়ে দিলেন আপনার বন্ধুকে। এভাবে আপনি শির্ক করে ফেললেন। আমাদের ইবাদাতে এ রকম অনেক শির্ক আছে যার আমরা খবর রাখি না।রাসূল সা: আরো বলেছেন ধীক তাদের যারা পছন্দ করে কারুকার্য করা জামা কাপড়কে।'বর্তমান সময় এটা বেশ পরিলক্ষিত হছ্ছে।সমাজে এখন এর প্রতিযোগিতা চলছে। কোন লেটেষ্ট জিনিস বাজারে আসলে তার প্রতিযোগিতায় মানুষ মেতে উঠে।আর এভাবে ফেশনের উপর বিশ্বাস জন্মে যায়।ক্ষমতা ও সম্মান কাউকে নিয়ে যেতে পারে আল্লাহর সমকক্ষে।প্রশ্ন করুন আমাদের নিজ নিজ অবস্হান থেকে।আমরা কি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করছি না অন্য কিছুর জন্য।আমাদের সমস্ত ইবাদাত করতে হবে আল্লাহর জন্য।আশা করতে হবে আল্লাহর কাছে,চাইতে হবে আল্লাহরই কাছে।এটাই জীবনের উদ্দেশ্য।

আমাদের গভীরভাবে ইবাদাতকে বুঝতে হবে।এর অর্থ অনেক ব্যাপক।অধিকাংশ মানুষ ইবাদাতকে না বুঝেই করে থাকে আর সে কারনে নিমজ্জিত হয় শির্ক ও বিদাআতে।আরবি ভাষা থেকে যখন কোন কিছু অনুবাদ করা হয় অন্য কোন ভাষায়,দুর্ভাগ্যজনক ভাবে শব্দগুলোর অনেক অর্থ হারিয়ে যায়।উপাসনাকে ইংরেজিতে worship বলা হয়।আর এই শব্দটি সংকীর্ন অর্থ প্রকাশ করে।একজন বিশেষজ্গ ইবাদাত শব্দটি ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে,সবকিছু আল্লাহ যেগুলো ভালবাসেন ও সন্তুষ্ট থাকেন, আমাদের হৃদয় ও অঙ প্রত্যঙ যে কাজগুলো করে এই ই হলো ইবাদাত।ইবাদাত সারাজীবন ও জীবনের সর্বক্ষেত্র জুড়ে।জীবনের প্রতিটি কাজ ভিতর ও বাইরে থেকে এমনভাবে করতে হবে যেন আল্লাহ খুশি হয়ে যান।হৃদয়ের প্রধান একটি কাজ হলো নি্য়্যাহ বা অভিপ্রায়।আমাদের অভিপ্রায় অনুযায়ি কর্মের ফল দেয়া হবে।এই অভিপ্রায়কে অনেকে মুখে উচ্চারন করে থাকে যা রসূল সা: করেন নি। এটা করে তারা বিদাআর কাজ করে থাকে । আর বিদাআ হলো ভ্রষ্টতা , এই ভ্রষ্টতার জন্য আগুনে জ্বলতে হবে।আমরা যখন কোন কাজ করবো তখন আল্লাহকে সবার উপরে রাখবো।এটা আমার দেখার দরকার নেই যে কে কি বলছে।আামার কাজ হলো আল্লাহকে সন্তুষ্ট করা ও আখেরাতে মুক্তি পাওয়া।হৃদয়ের আর একটি কাজ হলো আশা বা নির্ভর করা।এই নির্ভরতা থেকে জন্ম নেয় আস্হা।আমার একটি ব্যাংক এ্যকাউন্ট আছে। আমি কি এই এ্যকাউন্টের উপর আস্হা রাখবো না আল্লাহর উপর।এই পরিক্ষাটি হয়ে যায় যখন আমার কাছে কেউ টাকা চাইতে আসে।আল্লাহ বলছেন ব্যায় কর হে আদমের সন্তানেরা আমিও তোমাদের জন্য ব্যায় করবো।রাসূল সা: বলেছেন তোমরা সদাকা দিয়ে কখনো ক্ষতিগ্রস্হ হবে না।'তিনি আরো বলেছেন যখন তুমি ব্যায় করবে কোন ভাল কাজে আল্লাহ পূরস্কৃত করবেন দশ থেকে সাতশত গুন।আমাদের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে আল্লাহর কাজে।আপনার সম্পদ , বাড়ি ,টাকা পয়সা ,ব্যাংক এ্যাকাউন্ট আপনাকে কল্যানকামি করবে না যদিনা এগুলো আল্লাহর পথে ব্যায় হয়।আল্লাহ বলছেন সুদ নেয়া হারাম , সুদের ব্যবসা করা হারাম।আমরা ভেবে দেখেছি কি আমাদের মধ্যে কতজনের মর্টগেজ লোন আছে? সুদি ব্যাংকে কতটা এ্যাকাউন্ট আছে? এগুলো আমরা কেন করেছি যখন আমরা জানি আল্লাহ এগুলোকে হারাম করেছেন।আমরা ভাল কাজও করছি আবার খারাফ কাজও করছি।আল্লাহ পবিত্র তিনি চান পবিত্র মাল ও পবিত্র হৃদয়।ইউরোপের এক সময়ের পপ সিংগার ইসলাম পূর্ব নাম Cat Steven বর্তমান নাম ইসমাইল ইউছুপ।তাকে বলতে শুনেছি " আমি ইসলাম গ্রহন করার আগে ইসলাম সম্পর্কে পড়েছি , বুঝেছি এর পর ইসলাম গ্রহন করেছি।আমি যদি বর্তমান মুসলিমদের চরি্ত্র ও আচরন দেখতাম তাহলে ইসলাম গ্রহন করা কঠিন হতো।' হৃদয়ের আর একটি কাজ হলো ভালবাসা।ভালবাসা সঠিক পথে পরিচালিত হলে তা হবে ইবাদাত।আর বিপরীত পথে পরিচালিত হলে হবে শির্ক।অতিরিক্ত ভালবেসে করে ফেলতে পারেন শির্ক ও বিদাআত।যেভাবে ভারত উপমহাদেশে গজে উঠেছে পিরতন্ত্র।এ পথগুলো ইসলামের পথ নয়।লাখ লাখ মানুষ অন্ধের মত তাদের অনুকরন করছে যেভাবে ইহুদি ও খৃষ্টানদের পাদ্রিরা তাদের জন গনকে শোষন করছে ও দ্বীন থেকে দূরে সরিয়ে ফেলছে।আল্লাহ ভালবাসার ব্যাপারে সূরা আল ইমরানে একটি শর্ত দিয়ে দিলেন।আল্লাহ রাসূল সা: কে বলেন, ' বলুন যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস তাহলে আমার অনুসরন কর তাহলে আল্লাহ তোমাদের ভালবাসবেন ও গুনাহ মাফ করে দিবেন।'হৃদয়কে সিক্ত করতে হবে আল্লাহর ভয় ও রাসূল সা: এর অনুসরনের মাধ্যমে।আমাদের কাউকে ভালবাসতে হবে আল্লাহর জন্য,শক্রুতা করতে হবে আল্লাহর জন্য,কাউকে কিছু দিতে হবে আল্লাহর জন্য আবার কাউকে বন্চিত ও করতে হবে আল্লাহরই জন্য।এই গুন যতক্ষন অর্জিত না হবে ততক্ষন বুঝা যাবে না আমাদের এই ইসলাম ধর্ম কত মধুর ও কত চিরন্তন।এই অবস্হা অর্জন করতে হবে বাস্তব কাজের মাধ্যমে।সূরা আল ইমরানের ১৭ আ্য়াতে আল্লাহ বলেন তারা হবে,'ধৈর্যশীল,সত্যবাদি,অনুগত,দানশীল ও রাত জাগরনকারি।'আমাদের অঙ প্রত্যঙের মাধ্যমে এর বহিপ্রকাশ ঘটবে।নামাজ কায়েম করা, যাকাত দেয়া,রমজানের রোজা রাখা, হজ্জ করা,ভাল কাজের আদেশ ও অন্যায় কাজ থেকে মানুষকে বিরত রাখা,পোষাকের শালিনতা বজায় রাখা, একে অন্যের সাথে সুন্দর আচরন করা ইত্যাদি।বস্তুবাদিরা তাদের আত্মাকে হারিয়ে ফেলে পাপের কারনে।সে জন্য পার্থিব সম্পদ আহরনে তারা বিভোর থাকে।

মুসলমানদের একটি অংশ এখন কাফের মুশরিকদের অনুসরন করে জীবন যাপন করছে। কবি আল্লামা ইকবাল একবার মুসলিমদের সম্পর্কে বলেছিলেন,'হায় মুসলমান! কাটিং সাটিং মে তোম খৃষ্টান,কালসারমে তোম হনুদ,তোমকো দেখ কে শরমায়া ইয়াহুদি।' এ হলো আজ মুসলমানদের অবস্হা।আমাদের দৈনন্দিন জীবনে হিসাব নিকাশ কষতে হবে।আল্লাহর কাছে বিরাট জবাব দীহিতা রয়েছে আমাদের।আজকে মুসলিমদের এক অংশ ইসলামকে না বুঝার কারনে সমাজকে অস্হির করে তুলছে। রাসূল সা: যে যুদ্ধগুলো করেছেন তা কাফের ও মুশরিকদের বিরুদ্ধে।আর তিনি প্রতিরোধ করেছেন। নিজের থেকে যুদ্ধে জড়ান নি। দুর্ভাগ্যবশত আজ মুসলিম অন্চলগুলোতে মুসলিমরা নিজেরা নিজেদের মুসলিম ভাইদের হত্মা করছে।এটা ইসলামকে জয়ি করার জন্য নয়।ইসলামিক মডার্নিজম ইসলামের পূর্নাঙ পথ নয়।গনতন্ত্রের অধিনে ইসলাম কখনো জয়ি হতে পারে না।এটা শুধু মা্ত্র ক্ষমতার দখল।মুসলিম উম্মাহ একটি উম্মাহ। একে ভাগ করা চলবে না।সবাইকে এক হয়ে আল্লাহ ও রাসূল সা: এর আদর্শের কাছে মাথা নত করে এক পতাকার নিছে আসলেই ইসলামের বিজয় আসবে।এর বাইরে কোন পথ নেই।

বিষয়: বিবিধ

১৫৯০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File