বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষায়তনে মুসলিম ছাত্র ছাত্রীদের ভালবাসা বিয়ে ও ডিভর্সের বিড়ম্বনা বাবা মাকে ব্যাথিত করে তুলছে।

লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ২২ মে, ২০১৩, ০৩:১৯:৫১ দুপুর

সমাজের বাস্তবতায় আর দৈনন্দিন চলাফেরায় আজকালকার অভিভাবকরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন।সন্তানদের চলাফেরায় ও মেলামেশায় অতিতের অবস্হা এখন নেই।অতীত তুলনা করলে বর্তমান জীবন শুন্যের কোঠায় দেখতে পান অনেক বাবা মা।আমাদের সময় হঠাৎ করে আমরা কেউ বাবা মা'কে বলতে পারিনি মা আমি এখনি আসছি আমার এক বান্ধবি আমাদের সাথে লান্চ করবে।বিশেষ করে মা'র সাথে অনেক কথা আমরা বলতে পারলেও বাবার সামনে গিয়ে কথা বলার সাহস আমাদের ছিল না। আর কোন অযাচিত বন্ধু বা বান্ধবির কথার তো প্রশ্নই ছিল না।অধিকাংশ পরিবারে ছিল কনজারভেটিভনেস।পরিবারে বা বাইরে বড় ছোট সবাই সবাইকে সম্মান ও স্নেহ করতো।এখন আর তা নেই।ছেলে মেয়েদের আচরনে যেমন ব্যাবধান বেড়েছে তেমনি পোষাক আষাক ও চলাফেরায় কেমন জানি উছৃংখলতা বৃদ্ধি পেয়েছে।এখন তাদের বায়না ধরতে বাধে না।মা ,আজ বন্ধুদের নিয়ে লান্চ করবো বাসায় ফিরতে দেরি হবে বা কাল অমুক যায়গায় বেড়াতে যাব।আর আমাদের অভিভাবকদেরও জীবনের ক্ষেত্রে ব্যাস্ততা বেড়ে গেছে বাড়তি সামাজিকতার ও আভিজাত্যের কারনে।খুব বেশি দিন নয় মাএ ৩০ বছর আগেও দেখেছি পারিবারিক বন্ধুদের কদর ছিলো।পারবারিক পরামর্শ করা হতো।সততার কোন অভাব ছিল না।কোন বন্ধু বিপদে পড়লে শুনা মাএ দৌড়ে আসতো।সেটি এখন আর নেই।একটি টেলিফোন করে খবর নেয়ারও কারো সময় নেই।সাকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত ছুটে চলছে ঘড়ির কাঁটার সাথে।রাস্তায় কখনো দেখা হলেও ফুরসত নেই একটু কুশল বিনিময় করার।যে মানুষগুলো ছিলাম আমরা তাই আছি,যে ভূখন্ডে বাস করতাম সেখানেই আছি।তবে পরিবর্তন হয়েছে আমাদের মানুষিকতা,আমাদের ষ্টেটাস,আমাদের সংস্কৃতি,সৃষ্টি হয়েছে নতুন নতুন অভাব।এই নতুন অভাবগুলো মেটাতে গিয়ে জীবন হয়ে উঠেছে মেশিন নামক যন্ত্র।যন্ত্রদানবের সাথে পাল্লা দিয়ে জীবনের মূল্যবান অনেকগুলো দিক হারিয়ে গেছে।

আমার যে কলেজ পড়ুয়া ছেলেটি তাকে লক্ষ্য করলে নিজের জীবনের সাথে অতিতের কম্পারিজন খুঁজে পাই।সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পড়া নিয়ে ব্যাস্ত।কখনো কলেজ , কখনো কোচিং,কখনো উদ্ভট বন্ধুদের সাথে চলাফেরা।কখনো বাসায় না বলে দীর্ঘ সময় পার করে ঘরে আসা।আবার অনেকের কাছে শুনেছি এ সব ছেলেরা এলকোহল ও গাঁজা পান করে ঘরে ফিরে।সিগারেটের কথা বাদ দিলাম যেখানে অনেক পিতাই ঘরে বাচ্চাদের সামনে পান করেন।বাবা মা'র সাথে খারাপ আচরন।এমনকি জিজ্গেস করা যাবে না কোথায় ছিল।আসলে যে জিনিস খুঁজে পাই তা হলো ভাল বন্ধুর সহযোগিতা আজ আর নেই।ছাএ জীবনে একবার পড়েছিলাম বই হলো তোমার ভাল বন্ধু।আবার শিক্ষকরা বলতেন বাবা মা তোমাদের বড় বন্ধু।আজকের ছেলেমেয়েরা যখন বন্ধুহারা তাহলে তারা সফল হবে কি করে।আর এটি একটি বড় কারন সফল না হওয়ার পিছনে।কবি নজরুল ইসলাম বলেছিলেন,'বন্ধু আমি পেয়েছি যার সাক্ষাৎ আমি নিজেই করতে পারবোনা।এরা সবাই আমার হাসির বন্ধু ,গানের বন্ধু ,ফুলের সওদার খরিদ্দার এরা।এরা সবাই আমার আ্ত্মীয় হয়ে উঠেছে, বন্ধু হয়ে উঠেনি কেউ।' এক সময় বন্ধুর পরিচর্যা ছিল।এক বন্ধু খারাপ কোন কাজ করতে দেখলে ভাল বন্ধু বাধা হয়ে দাঁড়াতো।বন্ধুকে পারিবারিক ভাবে লালন করা হতো।এতে পরিবারগুলো ও সহযোগিতা পেত।কোন উদ্বেগ থাকতোনা।আজ বাবা মা একজন বন্ধু দেখলে আঁতকে উঠেন কি জানি কখন ছেলে মাদকাসক্ত না হয়ে উঠে , গুম হয়ে না যায়, না ব্যাবিচারিদের সাথে মিশে যায় এ রকম আরো অনেক।আমাদের এ অবাস্হা থেকে পরিএান পাওয়া দরকার।আমরা উদ্ভিগ্ন সবাই।

আমার একটা অভ্যাস ছুটিতে গেলে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে অতীত স্মৃতি খুঁজে বেড়াতে যাই।দু'একবার গিয়ে এখন আর যেতে ইছ্ছে করে না।বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে এখন কিছু ছেলে মেয়ে এমন উছৃংখল হয়ে উঠেছে কাউকে পরোয়া করে না।পশ্চিমা অপসংস্কৃতি আমাদের ছেলে মেয়েদের যেভাবে গ্রাস করছে তা থেকে নিস্কৃতি কিভাবে অভিভাবকরা পাবে তা বলতে পারছিনা।তবে অভিভাবকরাই যে অনেকাংশে দায়ি তা অনায়াসে বলতে পারি।আমি আমার সন্তানকে কিভাবে লালন করছি,কোন প্রতিষঠানে পড়াছ্ছি, কখন কো্থায় যাছ্ছে তা ক'জন অভিভাবক মনিটর করেন।বিশ্ববিদ্যালয় জীবনটা একটা ফ্রি মিক্সিং এর যায়গা।যতই পারিবারিকভাবে আপনি ছেলে মেয়েদের লালন করুন বয়সের একটা ব্যাপার আছে।ভাল লাগার একটা ব্যাপার রয়েছে।ইসলামে পর্দার ব্যাপার এসেছে যেন অশ্লিলতা সমাজকে গ্রাস না করে।ছেলে মেয়ে যখন গ্রুফ ষ্টাডি করে তখন দীর্ঘ একটা সময় কাটে।সেখানে ভাবের আদান প্রদান হয়।ভালবাসা চিরন্তন এটা হয়ে যেতে পারে।আর এর পরিনতিতে প্রনয়ের উপাখ্যান ও তৈরি হওয়া অস্বাভাবিক নয়।এই ভালবাসা থেকে যে বিয়েগুলো হয় তার বেশির ভাগই বিড়ম্বনার শীকার হয়। কারন হলো আবেগের তাড়নায় দাম্পত্ব গড়া।এ অবস্হায় তারা নির্ভরশীল পিতা মাতার উপর।বাড়তি চাপের কারনে পড়ালেখায় যেমন বিভ্রাট ঘটে তেমনি পরিবারেও অশান্তি নেমে আসে।আর পড়াশুনা শেষ হওয়ার পর তাদের অনেকেরই মনোমালিন্য তৈরি হয়।তবে এই পরিস্হিতি যাদেরই তৈরি হয় দুই পরিবারের বাবা মাকে কোন নেগেটিভ অবস্হায় না গিয়ে তাদের সহযোগিতা করে পড়াশুনা শেষ করানো ও বাস্তব জীবনে কর্মের সহযোগিতা করাই শ্রেয় কারন সন্তান আপনার ভাল হলেও আবার খারাপ হলেও। অনেক পিতা মাতা রাগের বশবর্তি হয়ে তাদের পরিবার থেকে আলাদা করে দেয়। এতে সমস্যা না কমে অনেক ক্ষেত্রে বেড়ে যায়।যেহেতু তারা পিতা মাতার সন্তান তাদের ভাল পরিবেশ ও ভাল পরামর্শ দিয়ে গড়ে তোলাই উত্তম।

সূরা নিসায় ৩ ও ৪ আয়াতে আল্লাহ বলেন, বিয়ে কর ২,৩,৪ আর যদি বিচার না করতে পার তবে বিয়ে কর একটি।আর তাদের মাহর আদায় কর নি:স্বার্থভাবে,যদি তারা মাহরের কিছু অংশ খুশি মনে ছেড়ে দেয় তা ভোগ কর।' বিয়ের ব্যাপারটা কোন ঠুনকো ব্যাপার নয়।এটা সামাজিক একটা বড় দায়িত্ব।ইসলামে বিয়ের আগে কোন ভালবাসা তৈরি হয় না।বিয়ের পরই ভালবাসা তৈরি হয়।বর্তমান সময়ে ইসলামি রীতিতে খুব কমই বিয়ে হয়।আর সন্তান খারাপ হওয়ার এই একটি বড় কারনও বটে।এই ভালবাসার বিয়েগুলো যেমন দ্রুত হয় তেমনি ডিভোর্স ও হয় অতি দ্রুত।এর কারন হলো তাদের বিয়ে হয় অপরিনত বয়সে ও অনৈতিকতায়।আর এবিয়েগুলো টিকানো সম্ভব হয় না।যার পরিনতি ভোগ করতে হয় মেয়েদের।আমাদের উপমহাদেশে তালাক সম্পর্কেও তাদের খবর থাকে না কি অবস্হায় ও কোন পরিস্হিতিতে তালাক দিবে।প্রথম কথা হলো যাকে কেউ বিয়ে করেছে তাকে নিয়ে সংসার করার মনোবাসনা থাকা ও দোষ ক্রুটি বিবেচনা করাই উত্তম।বিদাআতি তিন তালাক একসাথে দেওয়ার রেওয়াজ আমাদের উপমহাদেশে যাতে তালাক হয় না।আল্লাহ সূরা বাক্কারার ২৩২ আয়াতে বলেন,'যখন তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের তালাক দাও ও তারা তাদের ইদ্দত পূর্ন করে।' এই ইদ্দত হলো তিনটি হায়েজ।তিনটি হায়েজে তিনবার তালাক দিতে হবে।প্রথম ও দ্বীতিয় হায়েজে এক এক বার করে তালাক দিবে।আল্লাহ চাইলে এর মধ্যে তাদের মিমাংসা হয়ে যেতে পারে।যদি না হয় তৃতীয় হায়েজে তিন যে তালাক দিবে সেটাই ফাইনাল এবং শরিয়ত মোতাবেক দুই পরিবারের মাধ্যমে তাদের মিমাংসা করে দিতে হবে।

বন্ধুত্ব তৈরি হতে হয় পারিবারিক বন্ধনের মাধ্যমে।দীর্ঘদিন ধরে পরস্পরের প্রতি আস্হা , বিশ্বাস ও ভালবাসার মাধ্যমে ধীরে ধীরে তৈরি হয় বন্ধুত্ব।বন্ধুত্বের সুফল যেমন আছে এর কুফলও আছে।বন্ধুত্বের চর্চা না থাকলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।বর্তমান মেশিনের যুগে কত বন্ধুত্ব যে নষ্ট হয়েছে লেনদেনের মাধ্যমে তার কোন ইয়ত্বা নেই।তবে কিছু বৈশিষ্ট্য যদি লালন করা যায় তাহলে বন্ধুত্ব টিকে থাকে দীর্ঘদিন।যেমন- পরস্পরের প্রতি গভীর বিশ্বাস ও আস্হা রাখা , বিপদে আপদে পরস্পরকে সহযোগিতার বন্ধনে আবদ্ধ করা, আনন্দ ও বেদনার বিষয়গুলো ভাগাভাগি করে নেয়া, কোন জটিল বিষয়ে মাশোয়ারা করে সমাধানের পথ খোজা,কোন ভুল বুঝাবুঝি হলে সহনশীলতার সাথে তা নিরসনের চেষ্টা করা।এ ছাড়াও অনেক ব্যাপার আছে যা লালন করলে দীর্ঘকাল বন্ধুত্ব টিকে থাকে।আজকাল অনেকের মধ্যে "Friend Politics" এর প্রভাব লক্ষ্য করে থাকি।একজন বন্ধু পলিটিশিয়ান হলেও পলিটি্ক্সের আকারে ভালবাসা ঠিক নয়। আস্হা ও বিশ্বাস মানুষের একটি মহৎ গুন।একে শক্তশালি করার প্রয়োজন।ভাল বন্ধু , স্বামি স্ত্রি সবার ক্ষেত্রে এ প্রযোজ্য।মনে রাখবেন আপনি যদি সৎ হন আর সততার সাথে অন্যকে ভালবাসেন সে ভালবাসা অবশ্যই টিকে থাকবে। যদি আপনার মধ্যে কপটতা থাকে অচিরেই আপনার বন্ধুত্ব হারিয়ে যাবে।আপনার বনধুর গুরুত্বপূর্ন সময়গুলোতে সময় দেয়ার চেষ্টা করুন যেমন- কারো অন্তর্ধান হলে, কোন বিপদ হলে ইত্যাদি।আপনি যেতে পারছেন না তবে আজকাল তো যোগাযোগের বাহন অনেক সহজ।টেলিফোন,ইমেইল, সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুক,টুইটার ইত্যাদিতে।তবে মনে রাখবেন এ সমস্ত বিষয়গুলো আজকাল কুইনিনের মত।কুইনিন জ্বর সারাবে বটে কিন্তু কুইনিন সারাবে কে? মোবাইল ও ফেসবুকের মাধ্যমে "মিলিয়ন ওফ টিন এজার" তাদের জীবন ধংশ করছে।আর বহু দাম্পত্য জীবনের ইতিমধ্যে অবসান হয়েছে।আজকাল আর একটি বিষয় লক্ষ্য করা যায়।এক বন্ধুকে আল্লাহ সম্পদশালী করলে আর এক বন্ধু ওটা দেখে অসুস্হ প্রতিযোগিতা শুরু করে।আল্লাহ পাক কোরানে বলেছেন আমি কাউকে দেই আবার কাউকে মেপেযোখে দেই।সুতরাং যাকে প্রাচুর্য দেন নি হতে পারে এ তার জন্য পরিক্ষা আবার যাকে দিয়েছেন তার জন্যও পরিক্ষা।এ নিয়ে বন্ধুত্বের অবসান যেন না হয় সে খেয়াল রাখতে হবে।আবার যে বন্ধু ধনবান হলেন তিনি যেন অন্য বন্ধুকে হেয় করে না দেখেন।বন্ধুর লেনদেনে কমিটমেন্ট ঠিক রাখুন।দিতে দেরি হলে আগেই সততার সাথে যোগাযোগ করে কারন গুলো বলুন।এতে বন্ধুত্ব আরো গভীর হবে।

আর একটি সামজিক রোগ দম্পতিদের মধ্যে তৈরি হয়েছে তা হলো পরকিয়ার প্রতি আসক্ততা।এর অনেক কারন রয়েছে তার মধ্যে কিছু কারন বলছি যেন দম্পতিরা একে অন্যের প্রতি ভালবাসা জন্মতে পারেন।আগেই বলেছি অপরিনত বয়সে বিয়ে হয়ে গেলে সে ভালবাসা টিকে কম ও পরকিয়াও স্হান করে নিতে পারে।ফ্রি মিক্সিং আর একটি কারন যেখানে অবাধে মেলা মেশা হয় ও নতুন সম্পর্ক তৈরি হয়।সংসার জীবনে দম্পতিদের ভুল বুঝাবুঝি ও বৈরি সম্পর্ক তৈরি করতে পারে।সূরা বাক্কারার ১৮৭ আয়াতে আল্লাহ বলেন,'তোমরা তাদের পোষাক,তারা তোমাদের পোষাক।' পোষাকের অর্থ হলো যা শরীরের সাথে লেগে থাকে।আল্লাহ দম্পতিদের সেই অবস্হানের কথাই বলেছেন।একে অন্যের প্রতি থাকবে চরম ভালবাসা।প্রতিমুহূর্তে একে অন্যকে আবিস্কার করতে পারে তাদের ভালবাসায়।দম্পতিরা যদি নিজেদের সব সময় মন থেকে কাছে রাখতে পারে তাহলে পরকিয়া স্হান পাবে না।আর প্রধান যে বিষয়টি রয়েছে তা হলো নৈতিকতার উম্মেষ ঘটানো ও দায়িত্ববোধ তৈরি করা।যে দম্পতি যত বেশি কোরান ও সূন্নাহের অনুশীলন করবে তাদের জীবনে এ সব ঘটনা খুবই কম ঘটবে।একদিন রাসূল সা: চাঁদনি রাতে আয়শা রা: এর সাথে দৌড় প্রতিযোগিতা করলেন ও আয়শা রা: হেরে গেলেন।আর একদিন দৌড় প্রতিযোগিতায় রাসূল সা: কে হারিয়ে দিলেন।আমাদের দাম্পত্ব জীবনে সময় দিতে হবে একে অন্যকে।নিজের উপার্জন যা-ই থাকুক না কেন এর মধ্যেই একে অন্যে সুখী থাকবে।আমাদের অনেকে বাইরে রোমান্স করি সেটা না করে তা ঘরে বৃদ্ধি করতে হবে।স্বামী বাইরে থেকে আসার আগে স্ত্রীরা সেজে গুছে থাকলে স্বামীর মনকে আকৃষ্ট করতে পারে।আবার স্বামীও দীর্ঘ বিরহে স্ত্রীকে জড়িয়ে প্রাপ্তিতে ভরে দিতে পারে।এসব ব্যাপারগুলোতে দু'জনকেই এগিয়ে আসতে হবে।ছুটির দিনে ঘুরে আসতে পারে দম্পতি কোন রোমান্টিক যায়গায়।আবার শুতে যাওয়ার আগে বারান্দায় আবছা আলোতে বসতে পারেন দম্পতি নিরিবিলি ও ভাব বিনিময় করতে পারেন।আনেক স্বামী বস হয়ে থাকতে ভাল বাসেন।তা নাকরে রোমান্স করলে আসুবিধে কোথায়।ধরুন স্ত্রী ঘরের ছোট খাট কাজ করছেন বা রান্না করছেন।সম্ভব হলে সহযোগিতা করুন বা ছুপি ছুপি গিয়ে ছিমটি কেটে দিন।সংসারে ভালবাসা জন্মালে কোন পন্কিলতাই গ্রাস করবেনা।

আমাদের পিতামাতাদের অবশ্যই এগিয়ে আসা উচিত বর্তমান এই সামাজিক অবক্ষয় রোধ করার জন্য। পাড়ায় পাড়ায় সুস্হ ইসলামিক বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তুলুন যাতে এলাকার মা বোনেরা তাদের সন্তানদের নিয়ে ছুটির দিন গুলোতে অবকাশ যাপন করতে পারে।এতে সুস্হ সামাজিকতা যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি বৃদ্ধি পাবে একে অন্যের সাথে দৃড় বন্ধন।সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকলে আপনি আমি আমাদের ঐতিয্য হারাবো আর হারাবো আমাদের মুল্যবান সম্পদ সন্তানদের।শুধু আমরাই হারাবো না জাতি হবে কান্ডারিবিহিন এক নৌকা যা নির্দেশনাহিনভাবে চলতে থাকবে।

বিষয়: বিবিধ

২৪৩৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File