"বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থার আপুদের ধরার প্রতিবাদে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি"

লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ২৯ আগস্ট, ২০১৩, ০৪:১৭:৫৫ রাত

ঢাকায় একটা মুহুর্ত্ব খুব কঠিন অবস্থা ছিলাম।বারিধারায় থাকতাম।ঐ সময়টি প্রচন্ড মানসিক কষ্টে কাটিয়েছি।একদম হিন্দী সিরিয়ালের কোন এক অন্ধ হিংসাক্ত আক্রোশে পড়ি গেয়েছি। নিঘার্ত ঐ রকম অন্ধকূপে আমার মত চঞ্চল মেয়ের থাকা যে কি ভয়ংকর দুঃস্বপ্ন তা বলা কঠিন।

যাইহোক

ঐ আত্নীয় অপছন্দ সত্ত্বেও গোপনেই তখন কুড়িল থেকে শুরু করে বাড্ডা এই এলাকা গুলো ছাত্রীসংস্থার আপুদের সাথে শুধু থাকার আমার একটু সৌভাগ্য হয়।

আমি নিজে কি অর্জন করেছি জানি না।অনেক ভালবাসা পেয়েছি আপুদের পুরো রক্তের আত্নীয়দের চেয়ে বেশি যদিও আমি আমার সমস্যা কাউকে কখনই বলিনি।

আমার ভাল লাগে না কেন আমি নিজের সমস্যা অন্যকে বলতে যাব।

আমি ভেবে দেখেছি আমার অনেক ভুল ত্রুটি আছে।

যার ফলে খুব অনিয়মিত ছিলাম সাংগঠনিক কাজে।

তবে

পৃথিবীতে আমার দেখা কিছু আদর্শবান নারী তৈরির কারখানা হচ্ছে ছাত্রীসংস্থা।

প্রতিটি আপুরি মধ্যেই রয়েছে একটা অমায়িক গুন।

যেখানে যে একবার অটল হয়ে দাড়িয়ে থাকবে তার দুনিয়া আখিরাত নিয়ে চিন্তা করার কিছুই নেই।কারণ সে যদি কষ্টেও থাকে তবে ভেবে নেয় এটা ত আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা।

মাঝে মাঝে যখন অনেক ব্যস্ত থাকতাম প্রোগ্রামে যেতাম না তখন এভাবেই বুঝাতেন আপুরা।

আমি ফাঁকি দিয়েই পার করে দিলামSad

পরস্পর ভাল কাজের প্রতিযোগিতা হয় ওখানে।

তবে আপুরা আমার পিছনে অনেক সময় দিয়েছেন।

অনেক চেষ্টা করছেন।

যার ফলে হয়ত আমি অনেকই কিছুই পেয়েছি আমার ছোট্ট জীবনে।

হয়ত ঐ মুহুর্ত্বে আমাকে আল্লাহ একটু শান্তির পরিবেশে যাওয়া একটা সহজ পথ দেখিয়ে দিয়ে ছিলেন।

আমি ঐ অঞ্চল থেকে চলে আসি আর রেখে আসি আমার ঐ প্রিয় আপুদেরকে।

২৪ জন আপুকে ধরেছে ত কি হয়েছেঃ

সুরা কাহফ পড়ছিলাম সেদিন আসলে দুনিয়াতে যে কোন ঘটনা ঘটলেই আমরা একটা মন্তব্য করি

কেন মিশরে এত নিরস্ত্র মানুষ শাহাদাত বরণ করল

কেন হেফাজাতের এত গুলো কর্মী শাহাদাতবরণ করল।

কেন ছাত্রীসংস্থার মেয়েরা বোকার মত প্রোগ্রাম করতে গিয়ে ধরা খেল।

আশ্চার্য জমিনে যা কিছুই ফয়সালা হয় তা আসমানে পর্দার উপরে মালিকের হুকুমেই সুতরাং কোথায় কল্যাণ নিহিত তা আল্লাহ ভাল যানেন।

যারা এই সাংগঠন সম্পর্কে যানে তারা সরকারকে আরও ঘৃণা করবে।

আর যারা জানে না এ রকম একটা নামের সংগঠন আছে তাদের কাছে নামটা পৌছে যাবে।

তারা কি জানে আমি অনেক পরিবারকেই দেখেছি মা বাবা নিজেই ছাত্রীসংস্থার প্রোগ্রামে দিয়ে যায়।

আমার বাবা ঢাকা আসার পর কখনই রাজি করাতে পারিনি আমি মেসে থাকব।

এই বাবা ছাত্রীসংস্থার টিসি হলে।

আব্বু নিজ উদ্দোগে আমাকে পাঠাতেন।ঈদপূর্ণমিলনী,

টিসি আর নৈশ ইবাদাত নিয়ে একটা পোষ্ট দিব চিন্তা করেছি একদিন এগুলো স্কুল কলেজ জীবনে।

আমার ক্লাসের কথা একটু বর্ণনা করছিঃ

ছাত্রীসংস্থা প্রথম দিকে যে আপুদের ধরা হয়।তারপর ক্লাসে গিয়েছি

ত আমাকে একটা ফেন্ড প্রশ্ন করলঃ

আচ্ছা তোকে ধরেনি।

আমি বলতাম আমাকে কেন ধরবে আমি আপুদের মত অত ভাল নাকি।

ওখানে যে আপুরা আছেন তারা সকলেই অনেক ভাল আপু বুঝছ।

কত কৌতুহল দেখলাম অনেকের চোখে মুখে কিন্তু ঘৃণা আমি কার চোখে মুখেই দেখি নি।

সেই সময় ফেসবুকে লেখালেখি করতাম।ত আমাদের গ্রুপের টিচার উনি ছাত্র ইউনিয়ন যুক্ত স্যার আমাদের ছয় জনের গ্রুপের কে কোন রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত

ত চার জন বি এন পি।

এখন আমাকে স্যার বলছেন

তুমি ত জামায়াতই কর(যদিও আমি জামাত করি না জামাত আমার বাবা করেন)

আমিও বললামঃ

জ্বি স্যার আমি জামায়াতই করি আর আমি মোটেও বি এন পি সাপোটার নই।

আমি ত কখনই ক্লাসে বলিনি যে আমি কোন দলের সমর্থন করি।

বুঝলাম স্যারেরাও ফেসবুক চেক করেন।

আমি বলি কি খুব শক্তিশালী মিডিয়া ফেসবুক আর ব্লগ।

ছাত্রীসংস্থার আপুদের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

তাদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হোক।

নতুন মস

বিষয়: বিবিধ

১০৯৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File